October 29, 2015

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ‘ফ্রীল্যান্সার’ টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ১০ (শেষ)

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ‘ফ্রীল্যান্সার’ টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ১০ (শেষ)


দেখতে দেথতে ফ্রীলান্সিং নিয়ে পূর্বে ৯টি টিউটোরিয়াল প্রকাশ করেছি। সাধ্যমত চেষ্টা করেছি একদম প্রথম থেকে সব বিষয়গুলোকে সহজ ভাষায় সাজিয়ে উপস্থাপন করতে। আজ শেষ পর্বে কিছু গুরুপ্তপূর্ণ কথা বলেই শেষ করবো, এই বিষয়গুলো অনুসরন করতে পারলে একজন সফল ফ্রীলান্সার হতে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না বলে আশা রাখছি। তো চলুন শুরু করি…
 
যেকোন কাজে নিজেকে প্রোফেশনাল ভাবাটা যুক্তিযুক্ত মনে করি। তাহলেই কাজের মজা পাওয়া এবং নিজের মেধার সঠিক ব্যবহার করা যায়। কারন, যখন কেউ নিজের জন্য কাজ করে বেশির ভাগ-ই সময় এবং মেধাকে ঠিক কাজে লাগাতে পারে না। এক্ষেত্রে কাজটিকে অনেকটা নিজের করে ভাবাটাই সমস্যার শুরু। এধারনাটি পরিবর্তন করে সব কাজকে আপনার ক্লাইন্টের কাজ মনে করে শুরু করে দিন। দেখবেন কাজটি অতি দ্রুত এবং সময়ের মধ্যে আপনার কাঙ্খিত রূপ দিতে পেরেছেন। এখন প্রশ্ন হল, আপনি কি নিজেকে প্রোফেশনাল ভাবতে লজ্জ্বা/ভয় পান? ;) যদি লজ্জ্বা/ভয় পান তাহলে আপনাকে দিয়ে কোন কাজই হবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই ধারনাটি পাল্টায় ফেলুন। নিজের কাজকেই অন্যের কাজ মনে করে কাজটি শুরু করুন। আর নিজেকে প্রোফেশলান না ভাবতে পারলে আপনার সারা জীবনের কর্ম ফল “শূণ্য”!!!

এবার মূল আলোচনা:

প্রোফেশনালিজম, নিজের কাজে মানদন্ড। এক্ষেত্রে আমি কয়েকটি বিষয়কে কেন্দ্র করে নিজেকে সবসময় মূল্যায়ন করতে পছন্দ করি এবং তাতে ফলাফলও ভালই পাচ্ছি। আমার পাকিস্তান এর ক্লাইন্ট এবং আমি এক সাথে কাজ করছি অনেক দিন প্রায় ৩ বছর হবে। প্রথম প্রথম প্রায় উনার আর মাঝে প্রতিটি কাজের মূল্য নির্ধারন করতে সমস্যা হত। কারন কাজের ধরনগুলো একটা আরেকটা থেকে আলাদা। আর উনি আমাকে কাজে রেট অনেক কম দিতে চাইতেন, তারপরও এক পযায়ে একটা মূল্য নিধারন করে কাজ করতাম। যদিও আমার লাভ হতনা তেমন একটা, তারপরেও এভাবে চললো কিছুদিন। লাভ এই জন্যই প্রথমে বেশি চাইতাম না কারন কাজটি আমার জন্য কমফর্ট্যাবল এবং কাজগুলো ২/৩ দিন সময়ের মধ্যে করে দেয়া যায়।
আমি সবসময় নিজের কাজগুলোকে অন্যের সাথে তুলনা করি। কাজটি ভাল করতে পারলাম কিনা সেটি দেখি। এর অর্থ হল নিজেরই নিজের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়ার প্রবণতা। আর ঐ যে প্রথমেই বলেছি, প্রোফেশনালিজম, নিজের কাজে মানদন্ড। এটিকে আত্তস্থ্য করতে সব সময় চেষ্টা করতাম, এখনও করি। তারপর, কাজ করতাম আর কিছু দিন পরপর আমি মূল্য বাড়ানোর জন্য বলতাম। বায়াররাও আস্তে আস্তে রেটও বাড়াতেন কোন রকম কথা ছাড়াই। এবং কিছু কিছু করে এখন বায়ারদের থেকে ন্যায্য পাওনাই পাচ্ছি। :) কারন আমার সাথে কাজ করতে করতে তারা কাজের মানটাকে বুঝতেন। আর বুঝবেন না বা-ই কেন? আমিতো কাজ করছি তাদের জন্য, তারা যদি আমার থেকে তাদের কাজ আদায় করে নেন ভাল মতই তাহলে তারা অবশ্যই আমাকে মূল্যায়ন করতেও কার্পন্য করবেন না এবং বর্তমানে করেনো না।
আসলে যেকোন কাজে মূল্য নির্ধারনের মূল বিষয়টি নিজের কাজের মানের উপরেই নির্ভর করে। হয়তো অনেকেই আপনাকে বলবে, আপনার তো এই কাজটি করতে সামান্য সময়ই যথেষ্ট্য। তাহলে এতো দাম হাকাচ্ছেন কেন? কারন এটা ব্যবসায়ের একটি ঐতিহ্যগত প্রথা অনেক আগে থেকেই চলে আসছে, ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে দর কাষাকষি। উপযুক্ত ছোট উদাহরনের মাধ্যমে ব্যাপারটি আলোচনা করছিঃ
ধরুন, আপনি একজন ইলেক্ট্রিক টর্জ মেরামতকারী। প্রায় বিকল/নষ্ট একটি টর্জ নিয়ে একজন আপনার কাছে এসে তার সমস্যার কথা জানালো। আপনি সমস্যাটি বুঝে কয়েক মিনিটেই ঠিক করে দিলেন। পরিশ্রমিক হিসাবে আপনি দাবি করলেন ১০০ টাকা। এখন টর্জ এর মালিক আপনাকে প্রশ্ন করে বসলো, “স্ক্রু টাইট দেয়ারমত মাত্র কয়েক মিনিটের কাজের জন্য ১০০ টাকা দিতে হবে কেন? আপনি তো বেশি চাচ্ছেন।” তিনি এমনটা প্রশ্ন করতেই বা বলতেই পারেন। আসলেই ভিতরের ব্যাপারটিতো আর তিনি জানেন না। আপনার কাজ হচ্ছে তাকে ব্যপারটি বুঝিয়ে বলা এইভাবে, “দেখুন, কাজটি কয়েক মিনিটের তা ঠিক। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই কয়েক মিনিটের কাজটি করতে আমার কত দিন অন্য মিস্ত্রির পিছনে ঘুড়তে হয়েছে। কতদিন তার দোকানের বাবুর্চিগিরী করতে হয়েছে। কত দিন তার বাসার জন্য বাজার করতে হয়েছে। তারপর না তার কাছে এসব কাজ শিখার সুযোগ পেয়েছি তার যন্ত্রপাতি নাড়ার অনুমতি পেয়েছি। এখন আপনিই বলুন, আমার যতদিন, সময় এবং শ্রম ব্যয় করে এসব শিখেছি। তার কাছে এই কয়েক মিনিটের কাজের মূল্য কি আরো অনেক বেশি হতে পারে না?” :)
নিজের কাজকে অন্যের কাজে প্রেসেন্ট করতে জানুন। তাহলে, আশা করা যায় আপনার পণ্যের ক্রেতা যদি একজন সুস্থ মস্তিস্ক এবং বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তি হন তবে, তিনি আর কোন প্রতি কথা না বলে আপনা পাওনা দিতে বাধ্য হবেন। আসলে এই উদাহরনটি শুধু মাত্র আপনার কাজের মানদন্ডকে মূল্যের সাথে তুলনা করতেই তুলে ধরা। :)

উদাহরণটি অনুসারে আমার যুক্তি: নতুনদের জন্য অনুস্বরনীয় !
১. নিজের কাজের মূল্য নিজেই নির্ধারন করবেন, তবে হুট করে অতিরিক্ত দাম হাকাবার মত ভুল করবেন না। একদম নতুন অবস্থায় আলোচনা সাপেক্ষে কাজ কাজ করবেন। কারন নতুন অবস্থায় নিজের কাজ সম্পর্কে ভালমত রিভিউ করতে না পারলে অযাথা মূল্য বেশি চাইলেও পাবেন না।
২. যেকোন কাজ কোন বায়ার এর সাথে শুরু করার আগে তার সাথে ভবিষতেও কাজ করতে পারেন বা সে দেয় এমন চিন্তা নিয়েই কথা বলবেন। আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে কাজের রেট বাড়ান।
৩. প্রধম অবস্থাতে যেকোন কাজের জন্য এবং স্থায়ীভাবে বায়ার ধরার জন্য কাজ কম রেটেই করতে পারেন। তবে, কেউ আপনাকে রেশি রেট দিলে সেটা ভাল। বায়ার আর আপনার মধ্যে পারস্পানিক সম্পর্ক যেন ঠিক থাকে সেভাবে কাজ সম্পন্নকরে যাবেন। উভয়ই কাজের মূল্য এর ব্যাপারে আলোচনা করে স্থির করবেন। আপনার সাথে কোন বায়ারের মূল্য নির্ধারনে বার বার সমস্যা হলে তার সাথে কাজ না করাই ভাল। কারন, বাস্তবিকতার আড়ালে এধরনের বায়ারদের লেনদেনের কোন ভবিষত সম্পর্ক সৃষ্টি হয় না। কার কেউ ছাড় না দিলে ভবিষতে কাজ করার ইচ্ছাও জাগবে না। এ কারনে এই ধরনের মানুসিকতা না রেখে দুই পক্ষকেই সমঝোতার মাধ্যমে কাজ করাটাই ভাল এবং সুদূর প্রসারি।
৪. বার বার ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলছি, হয়তো অনেকে বিরক্ত হচ্ছেন। কেউ হয়তো ভাবছেন, দুনিয়াতে এতো বায়ার থাকতে কেন ভবিষতে কাজ করার কথা বলছি, কারন হল: আপনি কাজ করছেন ঠিক আছে, হয়তো আপনি যে কাজটি পারেন সে কাজটির জন্য দাম এ ছাড় দিতে রাজি নন আপনি। এবং আপনার সেই কাজটি অন্যরাও সচরাচর জানে। তাই মূল্য কন্সিডার না করার কারনে কাজটি আপনি হারাতে পারেন, সাথে তার মাধেমে আরো অন্য বায়ার আসার সম্ভাবনাকেও।নিশ্চিত আয় থেকেও বিরত থাকলেন।
৫. এবার যদি আসেন দুই পক্ষের যোগ্যতা নিয়ে বলতে: তবে বলবো কেউ বিনা পয়সায় কিছুই অর্জন করতে পারে না। সবাইকেই অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু যখনই প্রোফেশনালিজম এর অন্তর্ভূক্ত হবেন এখানেই চিন্তা করে পা রাখবেন প্রথম দিকের পদক্ষেপ গুলো। যেমন, একজন ডাক্তার হয়তো লন্ডন থেকে ডাক্তারি পাশ করে আসছেন। লক্ষ টাকা খরচ করে নিজের চেম্বার সাজিয়েছেন। কিন্তু উনি সেবার বিনিময়ে কিছু দাম ছাড় দেন না বলেই হয়েতো “উনার চেম্বার ফাকা”! আপনি নিজে প্রথম বার হয়তো তার বেধে দেয়া দামেই দাত তুললেন কিন্তু, তার নাছোড়বান্দা দাম এর কারনে হয়তো পরবতীতে তার কাছে আর যাবেন না এবং অন্যদের কেও তার কাছে রেফার করবেন না। কি ঠিক বলছি কিনা? ;) 

Source:


YouTube ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে আয় করুন

YouTube ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে আয় করুন

কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আর এই ব্লগেতো পাওয়ার কথাই না। অনলাইনে আয়ের হাজার হাজার
পদ্ধতির মধ্যে একটি পদ্ধতি আছে যা অনেকেরই জানা নাই। আর তা হল- YouTube ভিডিও এর মাধ্যমে আয়।
  আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি মসকরা করছি। কিন্তু এটা কোন মসকরা নয়। সত্যিই বিশ্বের
সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং সাইট YouTube থেকেও আপনি আয় করতে পারবেন অনেক বড়
অংকের টাকা। নিচে আমি কয়েকজন ব্যাক্তির নাম ও তাদের আয়ের পরিমান উল্লেখ করলাম-
1. Shane Dawson (431 million views and earn $315,000)

2. The Annoying Orange (349 mil views and earn $288,000)

3. Philip DeFranco (248 mil views and earn $181,000)

4. Ryan Higa (206 mil views and earn $151,000)

5. Fred (200 mil views and earn $146,000)
কিভাবে আয় করবেন?
YouTube থেকে আয়ের অনেক উপায় রয়েছে। নিম্নে কয়েকটা পদ্ধতি আলোচনা করা হল-
১. সুন্দর একটা YouTube Channel Name তৈরী করুন
প্রথমে YouTube এ গিয়ে একটা ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন করুন। একাউন্ট তৈরী করার সময় যেকোন নাম
না দিয়ে এমন নাম দেন যার সার্চ বেশী, যে নাম যে কেউ মনে রাখতে পারবে।
২. ভিডিও তৈরী-
ভিডিও তৈরীর জন্য আসলে দুইটি পথ অবলম্বন করা যেতে পারে। প্রথমটা হল- ভিডিও ক্যামেরা
দিয়ে ভিডিও তৈরি করা। আপনার যদি কোন ক্যামেরা না থাকে তাহলে আপনি আপনার
কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, অবশ্যই ভাল সফটওয়্যার
ব্যবহার করতে হবে এবং আপনার কম্পিউটার দ্রুত থাকতে হবে। শুধু একটা বিষয়কে মাথায়
রাখবেন, তাহল- আপনাকে অবশ্যই মজাদার ভিডিও তৈরী করতে হবে। মজাদার বলতে আমি
কমেডি ফিল্ম তৈরী করার কথা বলছিনা। আমি বলছি, আপনার ভিডিও ভিউয়ারদের জন্য
আনন্দদায়ক এবং তারা যেই ধরণের ভিডিওর জন্য সার্চ করছেন সেই ধরণের ভিডিও।
উদাহরণস্বরুপ, আপনি একটা Channel তৈরী করলেন ফটোশপ টউটোরিয়ালের আর আপলোড
করলেন বিভিন্ন কার্টুন, তাহলতো হল না। আপনি আপনার চ্যানেল যদি থাকে টিউটোরিয়ালের
উপর তাহলে আপনি এখানে ভিডিও টিউটোরিয়ালই আপলোড করেন।
৩. আপনার ভিডিও YouTube এ আপলোড-
আপনি যখন আপনার তৈরীকৃত ভিডিও আপলোড দিবেন, তখন অবশ্যই আপনার কী-ওয়ার্ডগুলো
দিয়ে দিবেন এবং সাথে সাথে আপনার ভিডিও এর ডেসক্রিপশনটাও দিয়ে দিবেন। আপনার ভিডিও
এর সাথে আপনার ওয়েবসাইটের URL টাও দিয়ে দিবেন।
৪. আপনার আপলোডকৃত ভিডিও বিভিন্ন সোসিয়াল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করুন-
শুধু যে ভিডিও আপলোড করে দিলেন আর আপনি ট্রাফিক পেয়ে গেলেন, এটা ঠিক নয়। আপনি
আপনার ভিডিওগুলো বিভিন্ন সোসিয়াল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন: ফেসবুক, টুইটার, গুগোল+
ইত্যাদি সমূহে শেয়ার করুন।
৫. আপনার ভিডিওয়ের জন্য ব্যাকলিংক তৈরী করুন-
একটা কথা ভাল করে মনে রাখবেন, YouTube ভিডিও পাবলিশিংও এক ধরনের ব্লগিং। তাই,
আপনাকে ইউটউব, গুগোল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে ভাল অবস্থানে আসার জন্য অবশ্যই কিছু
ব্যাকলিংক তৈরী করতে হবে। শুধু আপনার টপিক রিলেটেড সাইটে লিংক তৈরি করুন।
৬. আপনার প্রতিযোগীদের বা আপনার মত কাজ করছেন এরকম লোকদের অনুসরণ করুন,
আপনি যদি সফল হতে চান, তাহলে আপনার প্রতিযোগীদেরকে অনুসরণ করুন। দেখুন তারা
কিভাবে সফল হচ্ছেন। তাদের সফলতার ইতিহাসটা পড়ুন।
৭(ক). কিভাবে YouTube থেকে টাকা আয় করবেন?
এতক্ষণ যা বললাম তাহল, কিভাবে একটা ভিডিও তৈরী করবেন বা কিভাবে আপনার চ্যানেলে
ট্রাফিক বৃদ্ধি করবেন। এখন আমরা জানবো কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করবেন।
আপনি যদি উন্নতমানের জনপ্রিয় ভিডিও তৈরী করতে পারেন, তাহলে আপনি ইউটিউবের
এ্যাডসেন্স পার্টনারশীপ থেকেই এটা অফার পেতে পারেন। তারপর আপনাকে YouTube
Partnership Program (YPP) এর জন্য অফার করতে হবে। YouTube Partnership
করে তাহলে ‍পুনরায় এপ্লাই করার জন্য আপনাকে আরো ২ মাস অপেক্ষা করতে হবে। আর যদি
আপনার চ্যানেলকে তারা একসেপ্ট করে তাহলে মিষ্টি ‍মুখ করেন। কারণ, তারা আপনাকে প্রতি
মাসে $200 দিবে। কি মজা!
৮(খ). কিভাবে YouTube থেকে টাকা আয় করবেন?
# এফিলিয়েট পন্যের ভিডিও রিভিউ দিয়ে।
# এ্যাডভারটাইজিং স্লট ভিডিওয়ের মাঝে দিয়ে।
# আপনার ভিডিওয়ের ডিসক্রিপশনে এ্যাড স্লট দিয়ে।
# তাছাড়াও আপনি যদি ভাল কী-ওয়ার্ডের একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করতে পারেন, তাহলে
আপনি ঐ চ্যানেল বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারেন।
আপনি যদি কোয়ালিটি ও জনপ্রিয় ভিডিও তৈরী করতে পারেন, তাহলে আপনিও আয় করতে
পারেন হাজার হাজার ডলার।
সবার জন্য শুভ কামনা রইল। আল্লাহ্‌ হাফেজ।
http://technohelpbd.blogspot.com/2015/03/youtube.html

আপনার ব্লগস্পট সাইটকে সাজান মনের মত করে

আপনার ব্লগস্পট সাইটকে সাজান মনের মত করে

 


আজকে আমি ব্লগস্পট সাইটকে কীভাবে ভিজিটরের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন তার উপর বিস্তারিত আলোচনা করছি। আমার এই টিউনটি হয়তো অনেকেরই কাজে লাগবে।আমার মত যারা গরীব মানুষ এবং যাদের ডোমেইন কেনার সামর্থ্য বা ইচ্ছা নেই তারা অথবা যারা ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান এই টিউনটি মূলত তাদের জন্যই।প্রথমে ব্লগার.কম এই সাইটে গিয়ে একটি ফ্রি ব্লগস্পট ওয়েবসাইট  খুলে নিন।(ব্লগার.কম সাইট এ একাউন্ট খুলতে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।তবু কোন সমস্যা হলে মন্তব্য করুন উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।)

সাইট তৈরি করার পর আপনার সাইটটিকে সাজানো বা আকর্ষণীয় করে তো প্রয়োজন।যাতে ভিজিটর আপনার সাইটকে পছন্দ করে।

ব্লগস্পট সাইটকে সাজানোর টিপস্ :
১.পপুলার পোস্ট(POPULAR POST): প্রথমে আপনার সাইটে পপুলার পোস্ট গ্যাজেট যুক্ত করুন।আপনার সাইটে যে পোস্টগুলো বেশী দেখা হবে সেগুলোই পপুলার পোস্ট হিসেবে দেখাবে।এর জন্য যা করতে হবে :
আপনার সাইটে সাইন ইন করুন ডিজাইন /Design এ ক্লিক করুন।

তাহলে উপরের ছবির মত আসবে।এবার একটি গ্যাজেট যুক্ত করুন/Add a Gadget এ ক্লিক করুন।নতুন একটি উইন্ডো আসবে এবং
একেবারে বামে বুনিয়াদি/Basic সিলেক্ট থাকা অবস্থায় আপনি জনপ্রিয় পোস্ট/Popular Post নামক গ্যাজেট দেখতে পাবেন।এর ডানপাশে
যুক্ত করুন/+বাটনে ক্লিক করুন।ব্যাস আপনার কাজ শেষ।এবার টেমপ্লেট সংরক্ষন/Save Templet এ ক্লিক করে সেভ করুন।
২.ক্যাটাগরিস(CATAGORIES): ক্যাটাগরিস যুক্ত করে আপনি কোন বিষয়ে/বিভাগে কতটি পোস্ট করেছেন তা দেখাতে পারবেন। এর জন্য যা করত হবে :
পপুলার পোস্ট যেভাবে যুক্ত করেছেন ঠিক একই ভাবে ক্যাটাগরিস যুক্ত করতে পারবেন।পূর্বের মত Add a Gadget এ ক্লিক করে লেবেল/Lebels নামক গ্যাজেট যুক্ত করে Save করুন।
৩.অনুসন্ধান বক্স(SEARCH BOX): আপনার সাইটে অনুসন্ধান বক্স(SEARCH BOX)ভিজিটরকে যেকোনো তথ্য দ্রুত খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।যেভাবে অনুসন্ধান বক্স(SEARCH BOX)যুক্ত করবেন:
পূর্বের মত Add a Gadget এ ক্লিক করে অনুসন্ধান বক্স/SEARCH BOX নামক গ্যাজেট যুক্ত করে Save করুন।
৪.SEO:অধিক ভিজিটর পেতে সার্চ ইন্জিনে আপনার সাইটকে সাবমিট করার বিকল্প নেই।এর জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:
এই
এখানে ক্লিক করুন।
তারপর খেয়াল করে দেখুন ৩ টি বক্স আছে ।ওই খানে আপনার 1.সাইটের ঠিকানা দিন, 2.নিচের লাইনে আপনার কিওয়ার্ড দিন
এবং3.আপনি কয়টি সাইটে এড করবেন তা সিলেক্ট করে সাবমিট এ ক্লিক করুন।এবার আপনার সাইটের ADDRESS/URL দিয়ে SUBMIT এ ক্লিক করে আপনার সাইটকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন(GOOGLE/YAHOOO সহ) 200টির মত সার্চ ইন্জিনে।
NOTE:অনেকে মনে করে থাকেন যে এইভাবে সার্চ ইন্জিনে ওয়েব সাইটকে যুক্ত করা যায় না।আমি মনে করি তাদের ধারণা ভুল,কেননা আমার
সাইটকে আমি এইভাবেই সার্চ ইন্জিনে যুক্ত করেছি এবং সার্চ ইন্জিন আমার সাইট খুঁজে পায়।
৫.You Might Like Also গ্যাজেট:আমরা অনেক ওয়েব সাইটের পোস্টের  নিচে You Might Like Also হিসেবে আরও কিছু (৪/৫টি/বেশীও হতে পারে)পোস্ট সামান্য বর্ণনা ও ছোট ছবি সহ দেখা যায়।যার মাধ্যমে সাইটের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির সাথে ভিজিটর মুগ্ধ হয়ে অন্যান্য পোষ্টও দেখে থাকে।
প্রথমে এই সাইটে যান। 

এবার নিচের ছবির মত ৪টি ফাঁকা ঘর দেখতে পাবেন।
EMAIL লেখা ফাঁকা ঘরে আপনার EMAIL দিন।BLOG LINK লেখা ফাঁকা ঘরে আপনার SITE এর LINK দিন।PLATFROM লেখা ফাঁকা ঘরে BLOGGER সিলেক্ট করুন।WIDTH এ আপনি কয়টি পোস্ট দেখাবেন তা উল্লেখ করুন।
Get Widget এ ক্লিক করুন।
এখন একটি নতুন পেজ দেখতে পাবেন যেখানে লেখা থাকবে :
  1. Click Install Widget to open Blogger in a new window, and follow the steps below in that window. Login to your Blogger account if necessary.
আপনি Install Widget এ ক্লিক করুন।ব্যাস কাজ ফিনিশ,টেমপ্লেট সংরক্ষন এ ক্লিক করে SAVE করুন।
৬. লাইভ ক্রিকেট স্কোর: লাইভ ক্রিকেট স্কোর নিয়ে এর আগে আমি পোস্ট করেছিলাম(টিউনারপেজ.কম এ)।তার লিঙ্ক না দিয়ে আপনাদের সেই
সম্পর্কে আবার বলছি।
এবার এইখানে ক্লিক করে সাইন আপ করুন।
এখন এই খানে GENERATE HTML CODE হতে HTML CODE নিন।
আপনার সাইটে সাইন ইন করুন ।
এবার ডিজাইন এ যান।
একটি গ্যাজেট যুক্ত করুন/ADD A GADGET এ গিয়ে HTML/JAVASCRIPT নামক গ্যাজেট যুক্ত করুন।
এবার HTML CODE টি এইখানে PASTE করুন।
৭. হিডেন ভিজিটর কাউন্টার :ভিজিটর কাউন্টার এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগে
ভিজিটর সংখ্যা জানতে পারেন।এই সম্পর্কে আরও অনেক টিউন সার্চ করলেই
পাবেন।তবে আমি এখানে হিডেন ভিজিটর কাউন্টার নিয়ে বলছি।আপনার ব্লগে
হিডেন ভিজিটর কাউন্টার যুক্ত করে শুধুমাত্র আপনিই দেখুন ব্লগের ভিজিটর সংখ্যা
(অন্য কেউ পাবে দেখতে পাবেনা)।

এই সাইটে যান।

 এবার রেজিষ্টেশন এ ক্লিক করে রেজিষ্টেশন করুন ।

হিডেন ভিজিটর কাউন্টার যুক্ত করার জন্য রেজিষ্টেশন

করার সময় নিচের অংশে NOT public stats এর

অপশনটি SELECTকরতে হবে। এবার আপনি একটি

কোড পাবেন। কোডটি আপনার সাইটে গিয়ে ডিজাইন

এ যান।একটি গ্যাজেট যুক্ত করুন/ADD A GADGET

এ গিয়ে HTML/JAVASCRIPT নামক গ্যাজেট যুক্ত

করুন।

এবার HTML CODE টি এইখানে PASTE করুন।
৮.সাম্প্রতিক পোস্ট(RECENT POST) GADGET: আপনার সাইটে সাইন ইন করুন ডিজাইন /Design এ ক্লিক করুন।এবার একটি গ্যাজেট যুক্ত করুন/Add a Gadget এ ক্লিক করুন।নতুন একটি উইন্ডো আসবে এবং একেবারে বামে বৈশিষ্ট্য/ Featured সিলেক্ট করুন।আপনি সাম্প্রতিক পোস্ট/ RECENT POST নামক গ্যাজেট দেখতে পাবেন।এর ডানপাশে যুক্ত করুন/+বাটনে ক্লিক করুন।ব্যাস আপনার কাজ শেষ।এবার টেমপ্লেট সংরক্ষন/Save Templet এ ক্লিক করে সেভ করুন।
৯. সাম্প্রতিক মন্তব্য (Recent Comments): আপনার সাইটে সাইন ইন করুন ডিজাইন /Design এ ক্লিক করুন।এবার একটি গ্যাজেট যুক্ত করুন/Add a Gadget এ ক্লিক করুন।নতুন একটি উইন্ডো আসবে এবং একেবারে বামে বৈশিষ্ট্য/ Featured সিলেক্ট করুন।আপনি সাম্প্রতিক মন্তব্য (Recent Comments)নামক গ্যাজেট দেখতে পাবেন।এর ডানপাশে যুক্ত করুন/+বাটনে ক্লিক করুন।ব্যাস আপনার কাজ শেষ।এবার টেমপ্লেট সংরক্ষন/Save Templet এ ক্লিক করে সেভ করুন।

১০.লাইভ চ্যাট রুম(LIVE CHAT ROOM):আপনার ব্লগের

লাইভ চ্যাট রুম(LIVE CHAT ROOM) যুক্ত করে VISITOR

দেরকে আপনার সাথে সরাসরি চ্যাটিং করার সুযোগ করে দিতে

পারেন।

লাইভ চ্যাট রুম(LIVE CHAT ROOM) তৈরির জনপ্রিয়

এই সাইটে যান।

এবার রেজিষ্টেশন করুন । এবার আপনি একটি কোড পাবেন।

কোডটি আপনার সাইটে গিয়ে ডিজাইন এ যান।একটি গ্যাজেট

যুক্ত করুন/ADD A GADGET এ গিয়ে

HTML/JAVASCRIPT নামক গ্যাজেট যুক্ত করুন।

এবার HTML CODE টি এইখানে PASTE করুন।

১১.সাধারন মেন্যুবার(SIMPLE MENUBAR):ব্লগে একটি SIMPLE MENUBAR ADDকরার নিয়ম:
আপনার সাইটে সাইন ইন করুন ডিজাইন /Design এ ক্লিক করুন।তাহলে উপরের ছবির মত আসবে।এবার একটি গ্যাজেট যুক্ত করুন/Add a Gadget এ ক্লিক করুন।এবার HTML CODE টি এইখানে PASTE করুন।


Link 1 |
Link 2 |
Link 3 |
Link 3 |
Link 3 |
Link 3 |
Link 3 |


=> URL 1, 2, 3, 4 পরিবর্তে আপনার পোস্টের লিংক উল্লেখ করুন


=> Link 1, 2, 3, 4 এর জায়গায়


HOME,TIPS,SOFTWARE,ANTIVIRUSপ্রভৃতি লিখুন।

ব্লগ থেকে আয়:

অনেকে সখ হিসেবে BLOG করে থাকেন।আবার অনেকে ব্লগ থেকে আয়েরও চেষ্টা করে থাকেন।ব্লগ থেকে আয়ের জন্য উতকৃষ্ট উপায় হচ্ছে GOOGLE ১.ADSENCE.গুগল

এডসেন্স ব্লগস্পট সাইটেও এড দিয়ে থাকে।এর জন্য

প্রয়োজন একটি তথ্যসমৃদ্ধ(কপি পেষ্ট বিহীন)ব্লগ।গুগল এডসেন্সের জন্য

যেভাবে আবেদন করবেন:

আপনার সাইটে সাইন ইন করুন ডিজাইন /Design

এর ঠিক ডানপাশে নগদ করুন/Monetize ক্লিক করে সাইন

আপ করুন।গুগল এডসেন্স এ এপ্রুভ হওয়ার জন্য ব্লগের

বয়স ৬ মাস হতে হবে(GOOGLE ADSENCE এর ফোরামে

প্রশ্ন করে একজন ১০লেভেলের ভলানটিয়ার আমাকে

এই তথ্য দিয়েছিলেন)। এছাড়াও  Google adsense কর্তৃপক্ষ

বাংলা সাইটে এড দেয় না।

NOTE:যদিও অনেকেই “গুগল এডসেন্স এ এপ্রুভ হওয়ার

জন্য ব্লগের বয়স ৬ মাস হতে হবে” এই তথ্য মানতে নারাজ।তারা GOOGLE ADSENCE FORUM এ গিয়ে

প্রশ্ন করলে সঠিক উত্তর  পাবেন। GOOGLE ADSENCE

FORUM এ GOOGLE ADSENCE সম্পর্কিত যেকোন

সমস্যার সঠিক উত্তর পাওয়া যায়। GOOGLE ADSENCE

FORUM এর লিঙ্ক এই মুহুর্তে দিতে পারছিনা।

GOOGLE.COM এ গিয়ে GOOGLE ADSENCE FORUM

লিখে সার্চ দিন পেয়ে যাবেন।GMAIL এ LOG IN থাকা

অবস্থায় আপনি FORUM এ প্রশ্ন পোস্ট করতে পারবেন।

এডসেন্সর বিকল্প: গুগল এডসেন্সর বিকল্প হিসেবে

টেকটিউনস্ এ দুটি জনপ্রিয় পোষ্ট রয়েছে।

যারা অনেক চেষ্টা করেও GOOGLE ADSENCE পাচ্ছেন না

তারা গুগল এডসেন্সর বিকল্প হিসেবে টেকটিউনস্ এর এই

পোস্টগুলো দেখতে পারেন।

২.গুগল এডসেন্স ছাড়া আয় করুন সহজেই:

গুগল এডসেন্স ছাড়াও আরও কিছু পদ্ধতিতে ব্লগ থেকে আয়

করা যায়।এই পদ্ধতিতে লিঙ্ক শেয়ার করে আয় করা যায়।এই

সম্বন্ধে বিস্তারিত বলছি:

প্রথমে এই সাইটে যান।

এবার রেজিস্ট্রশন করার জন্য Join Now Button এ  Click  করুন।


আপনার মেইল চেক করুন। একটি একটিভিশন মেইলপাবেন। সেটির একটিভিশন লিংক এ Click করে একটিভ করতে হবে।ওই মেইলে একটি
code পাবেন যা দিয়ে একটিভিশন লিঙ্কে ক্লিক করার পর  submit করতে হবে।

এবার আপনার Account এ  log in  করুন।
Account এ  Log in  করার পর  নিচের মত একটি  Box দেখা যাবে।

যেকোনো File এর Download Link টি এই Box এ রেখে  Shrink এ Click  করলে  Link টি Short হয়ে যাবে।


প্রতিটি লিঙ্ক এভাবে Short করতে পারবেন।
এবার আপনার Blog এ প্রাপ্ত এই Download Link ‌এর Short  link টি দিয়ে  নিন।
এখন কেউ File Download করার সময় এই Short  link এ Click করে SKIP AD চাপলেই আপনার আয়।
এইভাবে কেউ যতবার আপনার Short  link এ Click করে SKIP AD এ ক্লিক করবে আপনার আয় তত বাড়বে।
আয়ের পরিমান:
10000 টি Click পড়লে আপনি পাবেন 4$
5$ হলে Alertpay এর মাধ্যমে পেমেন্ট পাবেন।
ফাইল শেয়ার করে আয়:
ফাইল শেয়ার করেও আপনি আয় করতে পারেন।কিছু কিছু FILE SHARING সাইট রয়েছে যারা FILE SHARE এর জন্য পেমেন্ট করে থাকে।এই সব সাইট থেকে আপনার দেওয়া LINK থেকে কেউ ডাউনলোড করলে আপনার আয় হবে।
FILE SHARING করে আয় করার জন্য এই সাইটে যান।
সাইন আপ করুন।আপনার ফাইল আপলোড করুন এবং শেয়ার করুন।15$ হলে পেমেন্ট পাবেন।
যাদের ALERTPAY ACCOUNT  নেই তারা যেভাবে ALERTPAY ACCOUNT  খুলবেন:
প্রথমে এই সাইটে যান। 
একাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়া:
এলার্টপে সাইটে তিন ধরনের একাউন্ট রয়েছে – Personal Starter, Personal Pro এবং Business। একাউন্টগুলোর যেকোন একটিতে বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রেশন করা যায় এবং পরবর্তীতে যে কোন সময় একাউন্ট পরিবর্তন করা যায়। তিনটি
একাউন্টের সাহায্যই ইন্টারনেটে নিরাপদে কেনাকাটা করা এবং বিনামূল্যে অন্য ব্যবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। এর বাইরে তিনটি একাউন্টের আলাদা আলাদা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এগুলো হচ্ছে -
১) Personal Starter:
এই ধরনের একাউন্টের একমাত্র বড় সুবিধা হচ্ছে অন্য এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা গ্রহণ করতে কোন ধরনের ফি দিতে হয় না। তবে এই ধরনের একাউন্টে কেউ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিলে তা পাওয়া যায় না। আরেকটি অসুবিধা হচ্ছে মাসে ৪০০ ডলারের বেশি টাকা গ্রহণ করা যায় না এবং সকল পেমেন্টসহ সর্বমোট ২,০০০ ডলারের বেশি অর্থ গ্রহণ করা যাবে না।
২) Personal Pro:
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই ধরনের একাউন্টে সকল ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। এখানে টাকা গ্রহণে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তবে এক্ষেত্রে অন্য একজন এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা গ্রহণ করলে ২.৫% + ০.২৫ ডলার ফি দিতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোন ব্যবহারকারী টাকা পাঠালে ফি এর পরিমাণ হয় ৪.৯% + ০.২৫ ডলার। এই ধরনের একাউন্টের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে এর ব্যাবহারকারী ইচ্ছে করলে নিজের ওয়েবসাইটে এলার্টপে যুক্ত করে কোন পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবে এবং ক্রেতার কাছ থেকে সহজেই টাকা গ্রহণ করতে পারবে।
৩) Business:
এই একাউন্টটির সাহায্যে আপনার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এখানে একটি একাউন্টের সাহায্যে একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। এই একাউন্টের আরেকটা সুবিধা হচ্ছে একসাথে একাধিক ব্যাবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। আর টাকা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে Personal Pro একাউন্টের মতই সমপরিমাণ ফি দিতে হয়।
একাউন্টের ধরন নির্ধারণ করে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, ইমেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড, পিন নাম্বার ইত্যাদি দিতে হবে। পিন নাম্বারটি পাসওয়ার্ডের মতই একটি গোপন নাম্বার যা অর্থ লেনদেনের সময় প্রয়োজন পড়বে। সফলভাবে রেজিষ্ট্রেশন করার পর একাউন্টটি টাকা গ্রহণের উপযোগী হবে। তবে টাকা নিজের ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডে পাঠাতে একাউন্টটিকে Verify করতে হবে। এজন্য Become AlertPay Verified নামক একটি লিংক দেখতে পাবেন। এখানে নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্টের স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। এছাড়া যাদের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড আছে তারা এর মাধ্যমেও Verify হতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে ফোন নাম্বার যাচাই করা হয়।
এলার্টপে যেভাবে কাজ করে তার স্কিনশর্ট নিচে দেওয়া হল:
দেশে টাকা আনার উপায়:
এলার্টপে একাউন্ট থেকে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে টাকা আনা যায়। পদ্ধতিগুলো হল – চেক, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার এবং ব্যাংক ওয়্যার।
এক COMPUTER একটির বেশী ALERTPAY ACCOUNT খুলবেন না। বিশেষ দ্রষ্টব্য:অনলাইনে আয় করার পূর্বে যেকোন সাইট ভুয়া/SCAM কিনা তা নিজ দায়িত্বে দেখে নিন। এই জন্য GOOGLE.COM এ গিয়ে IS সাইটের নাম SCAM?লিখে সার্চ দিন। উদাহরণ:ধরি কোন সাইটের নাম যদি ABCD.COM হয় তাহলে IS ABCD.COM SCAM? লিখে সার্চ দিন।

Source: http://technohelpbd.blogspot.com/2012/01/blog-post_05.html

ফ্রিলান্সিংয়ে যে ধরণের ভুল কখনোই করবেন না

ফ্রিলান্সিংয়ে যে ধরণের ভুল কখনোই করবেন না


মানুষ মাত্রই ভুল কিন্তু তারপরও আপনি যদি সর্তকভাবে কাজ করেন তবে এ ভুলের মাত্রা অনেক তো কমে যাবেই বরং না হওয়ার সম্ভবনাই বেশি থাকবে। ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ারে যারা নতুন মূলত তাদের জন্যই আমার এ লেখা।
যে কোন ক্যারিয়ারেই আপনাকে আপনার প্রফেশনালিজম ধরে রাখতে হবে যদি আপনি তা না পারেন তবে তা আপনার ক্যারিয়ারের জন্যই ক্ষতিকর। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অনেক সময় অনেক কিছু করি কিন্তু সতর্কভাবে করি না। ফলাফল হিতে বিপরীত হয়। সুতরাং সতর্কভাবে কাজ করুন এবং ক্যারিয়ারে সফল হন।
নিচের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখুন:
১. ক্লায়েন্টের সাথে যখন কথোপকথোন করবেন সবসময় খেয়াল রাখবেন যে ক্লায়েন্টের নামের বানান যেনো ভুল না হয়। ইমেইল করার সময় এ ব্যাপারে আরো বেশি নজর দেওয়া উচিত। এই ভুলটা দেখতে ছোট হলেও খুব বড় ধরনের ভুল। কারণ যারা ছোট ছোট বিষয়ে ভুল করে তারাই বড় ধরনের ভুল করে । মানুষের একটা স্বভাব হল কেউ যদি তার নাম বিকৃত করে এটা সে পছন্দ করে না সুতরাং কখনই ক্লায়েন্টের নামের বানান ভুল করবেন না।
২. নিজের নাম লেখার সময় বানান ভুল করবেন না, অনেকই আছে অতি দ্রুত লিখতে গিয়ে এ ধরনের কাজ করে ফেলে।
৩. আমার পরিচিত একজন ছিল যে তার নামের নিচে বিশাল বিশাল টাইটেল লিখত যেমন CEO of … Company, CTO of …..another company, Head …. of IT, Designer…. Developer এবং আরো অনেক কিছু। এটা নিজেকে বোতল প্রমান করার একটা নমুনা মাত্র। শুধু আপনার নাম লিখুন এবং নিচে একটি মাত্র টাইটেল লিখুন যেমন Software Engineer অথবা Designer এরকম। এতটুকুই যথেষ্ট। টাইটেল লাগালেই কিছু অর্জন করা যায় না বরং কাজ দিয়েই অর্জন করতে হয়।
৪. অবশ্যই গ্রামার এবং বানানের দিকে নজর দিবেন। ইংরেজী যদি ভালো না পারেন তবে ভালভাবে শিখুন এবং অবশ্যই ব্রাউজারে একটা ডিকশনারি ইন্সটল করে রাখুন। এতে বানান ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা। আপনি কি লিখছেন এটা যদি ক্লায়েন্ট বুঝতেই না পারে অথবা ভুল বোঝে তাহলে আপনার জন্যই বিপদ, কারণ ক্লায়েন্টের হাতেই রয়েছে আপনার ফিডব্যাক দেওয়ার চাবি।
৫. নেগেটিভ কথা বলার পরিবর্তে পজিটিভ কথা বলার অভ্যাস করুন। ধরুন আপনি হয়তো বলতে চাইতেছেন “এই কাজটা করার দরকার নাই”। এটা না বলে বলুন “এই কাজটা যদি আমরা এভাবে করি তাহলে অনেক ভালো হবে”।এতে ক্লায়েন্ট আপনার উপর খুশি হবে।
৬. টেক্সট চ্যাটে আমরা অনেকেই শর্ট ভাবে অনেক কিছু লিখে থাকি যা কখনই ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার সময় করবেন না। যেমন আমরা হয়তো লিখে থাকি U এটা না লিখে লিখুন You
৭. অতিরিক্ত বকবক না করে প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলুন। ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করে তুমি টুইটার এপিআই নিয়ে কাজ করছ কিনা? তাহলে আপনি এ বিষয়ে কথা বলুন অথবা এর সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয়ে কথা বলুন। কিন্তু আপনি যদি বলেন আমি টুইটার না জুমলা নিয়া অনেক কাজ করছি তাহলে ব্যাপারটা খুবই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে দাড়ায়।
৮. প্রজেক্ট ডেডলাইনের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ক্লায়েন্টকে যদি কথা দিয়ে থাকেন ২০ তারিখের মধ্যে কাজ করে দিবেন তবে যেকোন ভাবেই হোক সেটা সম্পন্ন করুন। অন্যথায় ক্লায়েন্ট আপনার উপর অসন্তুষ্ট হবে।
৯. আমরা সবাই কাজ করি টাকা আয়ের জন্য তাইনা। কেউ কাজ করে ভালবেসে কেউ করে বাধ্য হয়ে। কিন্তু কাজ করার পর যদি টাকাই না পান তাহলে কেমন লাগতে পারে একবার ভাবুন। সুতরাং একজন নতুন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার আগে যতভাবে পারুন তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন, যাতে কখনই খারাপ ক্লায়েন্টের হাতে পরতে না হয়।

একটি মন্তব্য
আমি ক্লায়েন্টের নাম কখনই ভুল করিনা কিন্তু ক্লায়েন্ট আমার নামে প্রায়ই ভুল করে। (বিরক্তিকর)
ক্লায়েন্ট যে কাজগুলো বাড়িয়েছে সেগুলো কিছু না বলেই করে ফেললে সেটা ভাল ফল দেয় কারন চেঞ্জ করতে বলার সময়ও তার একটা মানষিক চাপ থাকে কারণ সে মনে করে বিরক্ত করছে। বিরক্ত হয়েছি এ ভাব না দেখালে সে অনেকটা হালকা অনুভব করে এবং তাই খুশি থাকে। ভাল ক্লায়েন্ট হলে অইটুকু কাজের সাধারন ভেলুর চেয়ে ভালই দাম পাওয়া যায়। যেমন, ২৫০ ডলারের একটা কাজে আমি এক্সট্রা কাজের ভেলু আশা করেছিলাম ৫০ ডলার্। কিন্তু সে ২৭৫ ডলার দিয়ে অবাক করে দিল। মানে মোট ৫২৫ ডলার্।
কোন কিছু করতে বললে এবং সেটা না পারলে পারব বলার চেয়ে “আগে করিনি। পারার সম্ভাবনা কম তবু আমি দেখছি ” বলাই ভাল। তাহলে না পারলেও সমস্যা হয়না আর পারলে বায়ার বেশ ইপ্রেস হয়।

 লিখেছেন : Zannat Khan | মূল লেখা

Source:http://technohelpbd.blogspot.com/2012/05/blog-post_2000.html

আপনিও ক্যারিয়ার গড়তে পারেন একজন ফ্রিল্যান্স রাইটার হিসেবে

আপনিও ক্যারিয়ার গড়তে পারেন একজন ফ্রিল্যান্স রাইটার হিসেবে

 
“ফ্রিল্যান্সিং” হলো এখনকার সময়ের ইন্টারনেট ইউজারদের জন্য একটা হট টপিক। আমাদের দেশের মানুষের জন্যে এটি সৌভাগ্য যে আমরা এখন দেশে বসেই অন্য দেশের কাজ করে নিজেদের প্রয়োজনীয় টাকা আয় করতে পারছি, যদিও সবাই এ বিষয়ে সফল না। সফল না হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইংরেজী কম জানা, ধৈর্য না থাকা, রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাওয়ার চিন্তা, নিজের ক্ষমতার বাইরের কাজ করতে চাওয়া (যে কাজ পারবে না সেই কাজ করতে যাওয়া), কোন বিষয়ে শক্ত ভিওি নেই তবুও সে কাজ করতে যাওয়া ইত্যাদি। এক কাজে একাধিক মানুষ আবেদন করবে সেটাই স্বাভাবিক, আর এর মধ্যে থেকে আপনাকে আপনার নিজের সেরাটুকু দিয়ে যেতে হবে, সব কাজ যে আপনি পাবেন এমনটি কখনো ভেবে বসবেন না। ভালো ভালো ফ্রিল্যান্সাররাও অনেক গুলো কাজে আবেদন করে খুব অল্প সংখ্যকই কাজ পায়। আপনি প্রতিদিন বিভিন্ন প্রজেক্টে আবেদন করুন, ভালো কাজ পারলে এবং যে কাজ দিয়েছে তাকে বিভিন্ন স্যাম্পল দেখিয়ে এবং ভালো ব্যবহার করে যদি আকৃষ্ট করতে পারেন তবেই আপনি কাজ পাবেন, তাছাড়া পাবেন না। মাসে মাত্র ৪-৫টা ভালো মানের কাজ করতে পারলেই কিন্তু আর কাজ করার প্রয়োজন হয় না। আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো সেটি হলো আপনি যদি ফ্রিল্যান্স রাইটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তবে আপনাকে যা যা করতে হবে—

১.ফ্রিল্যান্স রাইটারদের কাজ হলো শুধু আরটিকেল রাইটিং, ব্লগ রাইটিং, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, আরটিকেল রিরাইট, বই লেখা ইত্যাদি, তারা অন্য কাজও করতে পারে, তবে যারা প্রফেশনাল তারা একটি বিভাগেই কাজ করে। ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে হলে সবার আগে আপনাকে ইংরেজীতে দক্ষ হতে হবে, ইংরেজীতে ভালো দক্ষতা না থাকলে ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে পারবেন না।
২.ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরুর আগেই নিজেকে ঝালিয়ে নিতে হবে, প্রথমে নিজে নিজেই টপিক বের করে লেখা শুরু করুন, প্রথমে সহজ বিষয়ে লিখুন, পরবর্তীতে নিজেকে কঠিন কঠিন বিষয়ে লেখার জন্য চ্যালেঞ্জ করুন, এতে আপনার দক্ষতা ও আত্নবিশ্বাস বাড়বে।
৩.লেখার সময় গ্রামারের প্রতি বিশেষ নজর দিবেন, নিজের পক্ষে অনেক সময় নিজের ভুল ধরা সম্ভব নাও হতে পারে,তাই বিভিন্ন গ্রামার চেকার টুল আছে, সেগুলো দিয়ে গ্রামার চেক করাতে পারেন।
8.ভালো মানের লেখকদের বই এবং ভালো ব্লগারদের বই নিয়মিত পড়ুন, এতে বিভিন্ন বিষইয়ে জ্ঞান বাড়বে।
৫.প্রতিদিন কম করে হলেও ১০টি শব্দ শিখবেন ডিকশনারি থেকে, এতে আপনার শব্দের ভান্ডার বাড়বে।
৬.আপনি যদি সাইড প্রোফেশন হিসেবে ফ্রিল্যান্স রাইটিং কে নিতে চান তবে বড় প্রজেক্টে (৫০০ আরটিকেল বা তারও বেশি) কাজ করবেন না। এতে যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারার ঝুকি থাকে, সাধারণত ছোটখাট প্রজেক্ট যেমন ৫-১০০ আরটিকেলের কাজ করবেন, আপনি কতদিনে শেষ করতে পারবেন তা নিজে প্ল্যান করে নিয়ে তারপর আবেদন করবেন।
৭.কখনোই এমনটি ভাববেন না যে আপনি কপি পেস্ট করে আরটিকেল জমা দিবেন আর তারা এর জন্য আপনাকে টাকা দিবে। যদি কপি পেস্ট আরটিকেলেরই তাদের প্রয়োজন হত তবে তারা নিজেরাই কপি করে নিত, আপনাকে টাকা দিয়ে কপি পেস্ট নিশ্চই করাবেনা তারা।
৮.প্রফেশনাল আরটিকেল রাইটার যারা তারা সাধারণত বড় প্রজেক্ট গ্রুপে করেন, মানে কয়েকজন মিলে করেন এতে বেশ সুবিধা পাওয়া যায়।
৯.আরটিকেল যদি ইউনিক চায়, তবে কখনোই কোন ধরনের সফটওয়্যার বা ট্রান্সলেটরের সাহায্যে রিরাইট করে সেটাকে ইউনিক বানাবেন না, কারণ এতে লেখা ইউনিক তো দূরে থাক, লেখার আগা মাথা কিছুই থাকে না, সেরকম লেখা গ্রহণযোগ্য না, কারণ এতে লেখার ভাষাগত ত্রুটি, শাব্দিক ত্রুটি সহ নানা ভুল থাকবে। সুতরাং যারা এ জাতীয় মনোভাব পোষণ করেন যে আরটিকেল রিরাইট করে দিবেন তারা মনোভাব সংশোধন করুন।
১০.আরটিকেল রিরাইট করার কোন প্রজেক্ট পেলে সেটা ম্যানুয়ালি করবেন, কোন সফটওয়্যার বা ট্রান্সলেটর ব্যবহার করবেন না, যদি করেন তাহলে টাকা হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা ০.০০%। আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।
১১. সবসময় কোন নির্দিষ্ট ধরণের লেখার কাজ করার চেষ্টা করবেন, অনেকেই ভাবেন যে সব লেখা একই রকম, কিন্তু তা ভুল। অনেকে তাদের নিজস্ব ব্লগের জন্য লেখা চায়, অনেকে প্রিন্ট ম্যাগাজিনে দেয়ার জন্য লেখা চায়, অনেকে বই লেখার জন্য লেখা চায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই লেখার মান, কোয়ালিটি এবং স্ট্যাইল ভিন্ন ভিন্ন, তাদের যে যেভাবে যার জন্য লেখা চায় সেভাবেই লিখতে হবে।
১২. আবেদনের পূর্বে যে বিষয়ের আরটিকেল রাইটিং এর আবেদন করেছে তার একটা ভালো মানের ইউনিক স্যাম্পল দিয়ে দিন, কখনোই ভুলে করে হলেও স্যাম্পল দেখার জন্য কোন ওয়েবসাইটে যাওয়ার আবেদন করবেন না, এমনটি করলে, কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়, তবে আপনার যদি কোন পোর্টফলিও ওয়েবসাইট থাকে (যা কিনা সকল প্রফেশনাল আরটিকেল রাইটারেরই রয়েছে) তবে সেটাতে যাওয়ার জন্য বলতে পারেন, নিজের পোর্টফলিও ছাড়া অন্য কোন কিছুর লিঙ্ক দিবেন না।
১৩. নিজেকে কখনোই তুচ্ছ মনে করবেন না, আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীরা যত ভালো মানের লেখকই হন না কেন নিজেকে সবসময় তাদের সমকক্ষ মনে করবেন।কারণ তারাও এক সময় আপনার মতই ছিল, ধীরে ধীরে তারা উন্নতি করেছেন।
১৪. কোন কাজ পেলে সেটাকে নিয়ে অবহেলা করবেন না, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আপনার কাজ শেষ করে সেটাকে প্রুফরিড করুন অথবা গ্রামার চেকার এবং স্পেল চেকার দিয়ে লেখার ভুল সংশোধন করুন।
১৫. নিজেকে লেখার মাঝে উঝার করে দিবেন, ভালো মানের লেখা পেলে একই বায়ারের কাজ থেকে পরবর্তীতে আরো কাজ পেতে পারেন খুব সহজে।
১৬. কখনোই লেখার মাঝে নিজের মতামত তুলে ধরবেন না। যেমন ধরুন আপনি এমন প্রজেক্ট পেয়েছেন যেঁটাতে বলা হল মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে লিখতে, কিন্তু আপনি মাইকেল জ্যাকসনকে পছন্দ করেন না, আর সে কারণে যদি আপনি আপনার লেখার নিজের মতামত তুলে ধরেন যে আমি তাকে পছন্দ করি না, সে এই করসে, সেই করসে, তাহলে কিন্তু আপনার প্রজেক্ট গ্রহণযোগ্য হবে না, তাই লেখার সময় পক্ষ্যপাতিত্ব করবেন না।
১৭. অনেক সময় কঠিক বিষয়ে লেখতে হতে পারে, তখন আপনার উচিত সে বিষয়ে কিছুটা পড়ালেখা করে নেয়া, এতে লেখতে সুবিধা হবে, যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়ে কোন ধারণা না থাকলে কখনোই ভালো লিখতে পারবেন না। তাই যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়ের বিভিন্ন ফোরাম এবং ব্লগ ভিজিট করুন এবং পড়ুন, এতে আপনার ধারণা ক্লিয়ার হবে।
১৮. ছোটখাট প্রজেক্ট হলে যেমনঃ ২০০-৩০০ শব্দের লেখা হলে, এবং কোন জরুরী বিষয়ে লেখা হলে আগে খাতায় খসড়া করে নিয়ে পড়ে টাইপ করবেন।
উপরের টিপসগুলো মনে রেখে এবং মেনে চললে আশা করি আপনি একজন ভালো মানের ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে পারবেন।
Source: http://technohelpbd.blogspot.com/2012/05/blog-post_02.html

এডসেন্স ফর ডোমেইন - ইন্টারনেটে আয়ের আরেকটি সহজতর উপায়

এডসেন্স ফর ডোমেইন - ইন্টারনেটে আয়ের আরেকটি সহজতর উপায়

আমরা যারা এডসেন্স পাবলিশার তাদের কাছে উপরের দৃশ্যটি খুবই পরিচিত। কিন্তু আমরা অনেকেই চিহ্নিত অংশের এডসেন্স ফর ডোমেইন অপশনটি ব্যাবহার করি না। কিন্তু এই অপশনটি এডসেন্স এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ন। আজ এর বিস্তারিত নিয়েই আমার এই পোষ্টটি করা।

এডসেন্স ফর ডোমেইন কি?

এডসেন্স ফর ডোমেইন হল এডসেন্স এ কোন ডোমেইন কে পার্ক করে রাখা।

ডোমেইন পার্ক কি?

ডোমেইন পার্ক (Domain Park) হলো ধরুন আপনি খুব ভালো নামের একটি ডোমেইন কিনে রেখেছেন যার চাহিদা হয়তো ভবিষ্যৎ এ খুব বাড়তে পারে সেটাকে বিক্রীর জন্য কোন সাইটে রাখা তাই হচ্ছে ডোমেইন পার্কিং। যেমন ধরুন ওয়াল্ডর্কাপ ২০১১ বা আইপিএল ২০১২ এরকম বিভিন্ন ইভেন্টের ডেমোইন আগেই কিনে রাখলেন পরে তারা যখন ওই ডোমেইন খুজবে না পেয়ে আপনার ডোমেইনটি কিনতে চাইলেই আপনার পোয়াবারো বিশাল দামে বিক্রী করতে পারবেন অনয়াসেই।
domain_parking_250x251

ডোমেইন পার্কিং কতটা লাভজনক?

ভাল ডোমেইন নিয়ে যদি পার্ক করে রাখতে পারেন তবে আজ আর কাল ভাল দামে বিক্রী হবেই। এক্ষেত্রে কয়েকটি উদাহরন টানি যেমন মাত্র ১০ডলারে কেনা ডোমেইন business.com বিক্রী হয়েছিল ৭ লাখ ডলারে। আর বারাক ওবামার নামের একটি ডোমেইন এখন পর্যন্ত ২১ লাখ ডলার দাম উঠেছে। আর আমার কয়েকটি ডোমেইন পার্ক করা আছে যার মধ্য একটি অত্যান্ত ভাল ডোমেইন এর দাম এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ডলার উঠেছে আমার ইচ্ছা এটি নূন্যতম ১.৫ লাখ ডলারে বিক্রী। এছাড়াও আমার আরো কিছু ডোমেইন আছে যা কয়েকশ ডলার পর্যন্ত দাম উঠেছে হাজার পেরুলেই এগুলো বিক্রী করে দেয়া হবে।

শুধু কি বড় দামের আশায়ই পার্ক করবেন?

না কারন বড় লাভের আশায় থাকলে কতদিনে আপনার প্রত্যাশিত দাম পাবেন তা বলা দুরূহ। কিন্তু আপনি যদি একটু ভাল ডোমেইন নিয়ে কয়েকশ ডলারে বিক্রীর জন্য চেষ্টা চালান তাহলে বলা যায় আপনি ঘন ঘন এরকম ডোমেইন বিক্রী করতে পারবেন। আর কয়েকশ ডলারে বিক্রীও কিন্তু অনেক লাভজনক কারন ডোমেইনটি মাত্র ১০ডলারে কেনা।

ক্ষতির সম্ভাবনা আছে কি?

যদি বিক্রী না হয় তাতেও কোন ক্ষতি নাই কারন যেখানে পার্ক করবেন সেখান থেকে অন্তত বছর শেষে ডোমেইন রিনিউ করার খরচ উঠবে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। তাই এটি সম্পূর্ণ ঝুকিমুক্ত এবং এতে ক্ষতি হবার কোন সম্ভাবনই নাই। আর যদি ডোমেইন কিনতে না চান বা প্রথমে ব্যাপারটা যাচাই করতে চান তাহলে Co.cc এর ফ্রি ডোমেইন দিয়েও যাচাই করতে পারেন কারন এই ডোমেইনও পার্ক করা যায়।

এডসেন্স ছাড়া আর কোথায় করা যায় ডোমেইন পার্কিং?

এডসেন্স ছাড়াও আরো অনেক জায়গায় ডোমেইন পার্ক করা যায়। তন্মধ্যে সবচেয়ে ভাল হলোSedo.com। সত্যি বলতে কি Sedo.com ই ডোমেইন পার্কিং এর সবচাইতে ভাল জায়গা।

কিভাবে করবেন ডোমেইন পার্কিং?

নিম্নের চিত্র গুলোর মত করে ধাপে ধাপে খুব সহজেই ডোমেইন পার্কিং করতে পারবেন এডসেন্সে।

SOURCE:http://technohelpbd.blogspot.com/2012/05/blog-post_7364.html

adsense_process01
adsense_process02
adsense_process03
adsense_process04
adsense_process05
adsense_process06
adsense_process07

reelancer.com টিউটোরিয়াল বাংলা ই-বুক, জেনে নিন কি কি করতে হবে

freelancer.com টিউটোরিয়াল বাংলা ই-বুক, জেনে নিন কি কি করতে হবে

http://data.freelancer.com/logo/2774373/Freelancer.com%20Logo-thumb-610x335-48421.jpg 
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য www.freelancer.com একটি ভাল সাইট। আপনি সহজে এই ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রশন করে প্রোফাইল তৈরী করে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। কিন্তু নাজানার কারণে অনেক কাজ ঠিকমত করা হয়ে উঠেনা। তাই Freelancer.com এ কিভাবে কি করবেন সই নির্দেশনা দিতেই ব্লগার আরিফুল ইসলাম শাওন। আমি বইটা আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম।



লেখকের কথা:

একটি কথা যারা আসলেই অনলাইনে আয় করছেন তাদের প্রতিটি মানুষের সফলতার পিছনে অনেক সময়, শ্রম এবং অধ্যাবসায় এবং চরম শিখার মানুষিকতাই তাদেরকে সাফল্যের দাঁড়প্রান্তে পৌছাতে সহায়তা করেছে। তাই এখনও যারা শিখার মানুষিকতা ছাড়া ইন্টারনেটে আয় করার স্বপ্নে বিভোর তারা এমন অর্থহীন স্বপ্নগুলোকে দূর করুন এবং সময় ব্যয় করে পুঙ্খানুপুঙ্খ কাজ শিখতে শুরু করুন।
অনেকেই আছে কাজ জানেন কিন্তু কিভাবে ফ্রীলান্সিং সাইটগুলোতে কাজের জন্য আবেদন করবেন তা জানেন না বা আপনার আশে পাশের এমন কেউই নেই যাদের থেকে আপনি সাহায্য সহায়তা নিবেন। আবার এমনও আছেন হাজার হাজার টাকা খরচ করেও শিখতে পারে নাই আসলেই কিভাবে এই সাইটগুলোতে কাজ করতে হয়। না পারার কারন হিসেবে বলবো আপনি প্রোফেশনালী কাজগুলো দেখায় নেবার মত এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে পান নাই যারা আপনাকে হাতে কলমে এই কাজ গুলো শিখায় দিবে। তাই নিজের পিছনের সময়গুলোর কথা চিন্তা করে এবং অন্যরা যেন সহজেই কাজে নামতে পারে এই প্রয়াস নিয়ে সবার জন্য মাতৃভাষায় চিত্রভিক্তিক পূর্ণাঙ্গ ফ্রীলান্সিং গাইড “ফ্রীলান্সার” টিউটোরিয়াল প্রকাশ করছি।
২০১১-তে যখন লিখতে শুরু করি তখন আর এখনের ফ্রীলান্সার সাইটের ইন্টারফেসগত কিছু পরিবর্তণ এসেছে। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো মিল নাও থাকতে পারে। তারপরেও চেষ্ঠা করেছি নতুন ফিচারগুলোকে সংযুক্ত কর বার। সাথে বানানগত যেকোন ভুল থাকলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে বাধিত করবেন। বইটি নিয়ে সামনে আরো কাজ করবার ইচ্ছা রয়েছে। 

যা আছে এই বইটিতে:


পিডিএফ বইটির টিউটোরিয়াল সূচীপত্রঃ

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” - টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ১

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে ব্যবহারকারী নিবন্ধন এবং প্রোফাইল সাজাবেন।

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” - টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ২

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে ফ্রীলান্সারে প্রোজেক্ট বিড করবেন।

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” - টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৩

বিষয়বস্তুঃ ফ্রীলান্সার এর সবগুলো মেন্যু পরিচিতি।

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” - টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৪

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে প্রোজেক্ট জয়লাভ করতে পারবেন

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” - টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৫

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে মানিবুকার্স দিয়ে টাকা উত্তোলন পদ্ধতি।

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” - টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৬

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে মানিবুকার্স থেকে ফ্রীলান্সার একাউন্টে ডলার ডিপোজিট/জমা করবেন।

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” - টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৭

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে ফ্রীলান্সারে বায়ার হবেন।

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” - টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৮

বিষয়বস্তুঃ যেভবে প্রোভাইডার/ওয়ার্কারকে মাইলস্টোন পেমেন্ট দিবেন এবং তা কাজ শেষে রিলিজ করবেন।

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” - টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৯

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে বায়ার এবং প্রোভাইডার/ওয়ার্কারকে ফিডব্যাক/রিভিউ দিবেন।

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” - টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ১০

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে নিচের কাজের মূল্য এবং চাহিদা ঠিক রেখে বায়ারের কাজ করবেন।

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” - টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ১১

বিষয়বস্তুঃ নতুন ফ্রীলান্সারদের সচারচর জিজ্ঞাসা প্রশ্ন (সজিপ্র) এবং তার উত্তর।

ডাউনলোড করুন এখান থেকে