August 17, 2015

জিমেইল হ্যাকিং

জিমেইল আই.ডি হ্যাক করা সবচেয়ে কঠিন কারন এর নিরাপত্তা সবচেয়ে জোরদার তাই এই পদ্ধত্তি ছাড়া অন্য কেন পদ্ধত্তি নেই।( কীলগার ব্যাতীত)
সবাইকে স্বাগতম আমার আজকের টিউনিং পেজে। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের জিমেইল হ্যাকিং সম্পর্কে ট্রিকস্ দিব। আমরা সকলেই জানি জিমেইল হ্যাক করা সোজা ব্যাপার নয়। কেবল মাত্র অতি দক্ষ্য হ্যাকার ছাড়া এটি সম্ভব নয়। তাই বর্তমান যে সকল জিমেইল আই.ডি হ্যাক হচ্ছে তা সবই কীলগার সফটওয়্যারের মাধ্যমে। তবে এই ট্রিকসটির মাধ্যমে কীলগার ছাড়াও কারও জিমেইল আই.ডি হ্যাক করা সম্ভব। এসব ট্রিকসটি দিয়ে আপনি একদিকে অন্যের উপকার অথবা আপকার করতে পারেন। সে চিন্তা আপনার বিবেকের কাছে রইলো। এই পৃথিবীর প্রতিটি বিষয়ের ভাল মন্দ দিক রয়েছে। একজন ডাক্তার চাকু দিয়ে যেমন রোগীকে সুস্থ করেন আবার অন্যদিকে একজন আপরাধী সেই চাকু দিয়ে অসৎ ভাবে মানুষের অপকার করে। এখানে কেবল মাত্র ব্যক্তির অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। তবে এ কথা সত্য যে অপরাধের বিচার একদিন হবেই, হোক সেটা ইহকালে বা পরকালে। আমার এই টিউটির উদ্দেশ্য আপনাদের উপকার করা, তবে কোন ভাবে যদি কেউ এর আপব্যবহার করে তবে ভবিষৎতে এর থেকে ১০০গুন উন্নত মানের হ্যাকিং টিউন আমি আর করবো না। যাক অনেক কথাই বলে ফেললাম এখন কাজের কথায় আসি…


১। প্রথমে এখান থেকে Gmail Phisher টি ডাউনলোড করুন।
২।এর ভিতরে মোট তিনটি ফাইল, যথাক্রমেঃ
  1. gmail.html
  2. log.txt
  3. mail.php
৩। এখন এই তিনটি ফাইলকে যেকোন webhost সাইটে পাবলিস করেদিন। যেমনঃ
৪। এবার gmail.html নামক ফাইলটির লিঙ্ক আপনার কাঙ্খিত ব্যক্তির নিকট পাঠিয়ে দিন এবং তাকে লগিং করতে বলুন। তাকে লগিং করতে বাধ্য করবার জন্য নানা রকমের চাটু মূলক বা হতভম্ব হবার মতন অথবা উত্তেজনা মূলক কথা মেইলে লিখতে পারেন। তারপর কেবল আপেক্ষার পালা।
৫। যখন সে gmail.html এ তার জিমেইল আই ডি এবং পাসওয়ার্ড লিখতে তা সাথে সাথে “log.txt” নামে আপনার webhost সাইটে সেভ হবে।
 Gmail Hacking !!! (এই টিউনটি দ্বারা কেউ সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হলে টেকটিউনস নিঃদিধায় ডিলিট বা পাসওয়ার্ড প্রোটেক অথবা ডাউনলোড লিঙ্কটি বন্ধ করতে পারবেন।) | Techtunes
৬। এখন log.txt ফাইলটি ওপেন করে আপনার কাঙ্খিত ব্যক্তির জিমেইল আই ডি এবং পাসওয়ার্ড দেখতে পাবরেন।
 Gmail Hacking !!! (এই টিউনটি দ্বারা কেউ সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হলে টেকটিউনস নিঃদিধায় ডিলিট বা পাসওয়ার্ড প্রোটেক অথবা ডাউনলোড লিঙ্কটি বন্ধ করতে পারবেন।) | Techtunes
সূত্র:http://technohelpbd.blogspot.com/2010/05/blog-post.html

আসুন হ্যাক করি ফেসবুক আ্যাকাউন্ট



 আসুন সহজ নিয়মে ফেইসবুক হ্যাক করি। নিচের নিচের নিয়মটি অনুসরণ করুন :

১। প্রথমে http://www.facebook.com এ যান।
তারপর forgot password 
এই লিংকে ক্লিক করুন।


২।এখানে যার প্রোফাইল হ্যাক করবেন তার ইমেইল অথবা ইউজার নেম বসিয়ে দিয়ে search অপশন ক্লিক করুন। যার প্রোফাইল হ্যাক করবেন তার account show করবে। this is my account এই লিংকে এন্টার চাপুন।


৩।এখন যেই পেজ টি আসবে সেখানে “No longer have access to these” এই অপশনে ক্লিক করুন।


৪। তারপর যে পেজ আসবে সেখানে আপনার একটা নতুন ইমেইল আইডি বসাবেন। 

ফেসবুক আপনাকে Security question করবে , চিন্তা করার কিচু নাই আপনি ৩ বার ভুল উত্তর দিবেন।

এরপর এই পেজে চলে যাবেন


৫. আপনার আসল হ্যাকিং শুরু হবে এখন । এই পর্যায়ে ফেসবুক ৩ জন ব্ন্ধু সিলেক্ট করতে বলবে। তাই আপনাকে আগেই তিনটি ফেক আ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এবং যার আ্যাকাউন্ট হ্যাক করবেন তাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো লাগবে। ফেসবুক এই ৩ টা আ্যাকাউন্ট এ পাসোর্য়াড কোড পাঠায় দিবে যা কিনা আপনারই ফেক আ্যাকাউন্ট ।
আপনি ৪ নং ধাপে যে ইমেইল টা দিয়েচিলেন সেটাতে ফেসবুক Password Recovery Email পাঠাবে। ব্যাস আপনি পেয়েগেলেন পাসওয়ার্ড।

Note: The victim will be emailed about the password change. So, this method of hacking Facebook account is useful only for those whose victim does not check emails regularly. 

*আশা করি কেউ খারাপ কাজে ব্যবহার করবেন না
*তাহলে এই পোস্টের মাধ্যমে শিক্ষা হইল...ভুলেও অপরিচিত ফ্রেইন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করা যাবে... আর করিলে তার ভার বহন তাকেই করিতে হবে...

Source:http://technohelpbd.blogspot.com/2012/03/blog-post_19.html

ফেইসবুক হ্যাকিং


বর্তমানে ফেসবুক আই.ডি হ্যাক করা সবচেয়ে কঠিন কারন এর নিরাপত্তা সবচেয়ে জোরদার তাই এই পদ্ধত্তি ছাড়া অন্য কেন পদ্ধত্তি নেই।( কীলগার ব্যাতীত)
 Facebook Hacking !!! হ্যাকিং পর্বঃ ২ | Techtunes
সবাইকে স্বাগতম আমার আজকের টিউনিং পেজে। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের ফেসবুক হ্যাকিং সম্পর্কে ট্রিকস্ দিব। আমরা সকলেই জানি বর্তমানে ফেসবুক আই.ডি হ্যাক করা সোজা ব্যাপার নয়। কেবল মাত্র অতি দক্ষ্য হ্যাকার ছাড়া এটি সম্ভব নয়। তাই বর্তমান যে সকল ফেসবুক আই.ডি হ্যাক হচ্ছে তা সবই কীলগার সফটওয়্যারের মাধ্যমে। তবে এই ট্রিকসটির মাধ্যমে কীলগার ছাড়াও কারও ফেসবুক আই.ডি হ্যাক করা সম্ভব। এসব ট্রিকসটি দিয়ে আপনি একদিকে অন্যের উপকার অথবা আপকার করতে পারেন। সে চিন্তা আপনার বিবেকের কাছে রইলো। এই পৃথিবীর প্রতিটি বিষয়ের ভাল মন্দ দিক রয়েছে। একজন ডাক্তার চাকু দিয়ে যেমন রোগীকে সুস্থ করেন আবার অন্যদিকে একজন আপরাধী সেই চাকু দিয়ে অসৎ ভাবে মানুষের অপকার করে। এখানে কেবল মাত্র ব্যক্তির অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। তবে এ কথা সত্য যে অপরাধের বিচার একদিন হবেই, হোক সেটা ইহকালে বা পরকালে। আমার এই টিউটির উদ্দেশ্য আপনাদের উপকার করা, তবে কোন ভাবে যদি কেউ এর আপব্যবহার করে তবে ভবিষৎতে এর থেকে ১০০গুন উন্নত মানের হ্যাকিং টিউন আমি আর করবো না। যাক অনেক কথাই বলে ফেললাম এখন কাজের কথায় আসি…

______________________________________________
১। প্রথমে এখান থেকে “Facebook Hacking” টি ডাউনলোড করুন।
২।এর ভিতরে মোট দুইটি ফাইল পাবেন, যথাক্রমেঃ
  1. Index.html
  2. write.php
৩। এখন এই তিনটি ফাইলকে যেকোন webhost সাইটে আপলোড করেদিন। যেমনঃ
৪। এবার Index.html নামক ফাইলটির লিঙ্ক আপনার কাঙ্খিত ব্যক্তির নিকট পাঠিয়ে দিন এবং তাকে লগিং করতে বলুন। তাকে লগিং করতে বাধ্য করবার জন্য নানা রকমের চাটু মূলক কথা বা হতভম্ব হবার মতন অথবা উত্তেজনা মূলক কথা মেইলে লিখতে পারেন। এছাড়া ফেসবুকে মেসেজ আকারে লিঙ্কটি দিতে পারেন এতে সন্দেহের মাত্র কম হবে। তারপর কেবল আপেক্ষার পালা।
৫। যখন সে Index.html এ তার ফেসবুক আই ডি এবং পাসওয়ার্ড লিখতে তা সাথে সাথে “passes.txt” নামে আপনার webhost সাইটে সেভ হবে।
Facebookphishing Facebook Hacking !!! হ্যাকিং পর্বঃ ২ | Techtunes

৬। এখন “passes.txt” ফাইলটি ওপেন করে আপনার কাঙ্খিত ব্যক্তির ফেসবুক আই ডি এবং পাসওয়ার্ড দেখতে পাবরেন।
 Facebook Hacking !!! হ্যাকিং পর্বঃ ২ | Techtunes
আসা করি আমার এই টিউনটি আপনাদের কাজে লাগবে। আর ভাল লাগলে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। সবার প্রতি অনুরোধ রইলো এর অপব্যবহার না করবার

Source : http://techtunes.com.bd/hacking/tune-id/22272/

August 16, 2015

চলুন ফ্রীল্যান্সিং করি- (গ্রাফিক্স ডিজাইন যেভাবে শিখবেন?)-


আবারও আপনাদের মাঝে ফিরে এলাম ধারাবাহিক টিউনের ষষ্ঠ পর্বে। গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে অনলাইন জগতের এক বিশাল সম্ভাবনাময় ভান্ডার। প্রতিনিয়ত মানুষ এর প্রয়োজন অনুভব করছে। দিন দিন তুমুল হারে বেড়েই চলেছে এর চাহিদা। তাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আপনিও যুক্ত হতে পারেন পৃথিবীর সাথে। এটি হচ্ছে এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি চাইলেই নিজেকে একজন ভাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম এবং সাধনা করতে হবে। কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলে না, কথাটা অনলাইন এবং অফলাইন দুটোর জন্যই প্রযোজ্য।


যাই হোক চলুন দেখি গ্রাফিক্স ডিজাইন এ কি কি কাজ পাবেন-
১. লোগো ডিজাইন
২. প্রোডাক্ট হলোগ্রাম ডিজাইন
৩. ইমেজ রিসাইজ এন্ড এডিটিং
৪. ফটো রিটাচিং
৫. স্কেচ তৈরি
৬. ওয়েব সাইটের জন্য পিএসডি তৈরি
৭. বিভিন্ন পিএসডি ইমেজকে ভেক্টরে কনভার্ট করা
৮. বিজনেস কার্ড ডিজাইন
৯. ব্যানার/পোস্টার ডিজাইন
১০. স্টিকার ডিজাইন ইত্যাদি

প্রথমেই আসা যাক স্কেচিং এঃ
স্কেচ কে স্কেচ না বলে ড্রয়িং বললে বুঝতে হয়ত সহজ হবে। অনেকেই বলেন আমি তো ড্রয়িং করতে পারি না। আবার অনেকেই বলেন ড্রয়িং এর ব্যাপারটা অনেকটা আল্লাহ্‌ প্রদত্ত দান। হ্যাঁ আমিও আপনাদের সাথে একমত। সবার চিন্তা এক রকম নয়, তবে আপনি যদি চেষ্টা করেন এবং প্রচুর পরিমাণ প্র্যাকটিস করেন তাহলে আপনিও একসময় ভাল মাপের ডিজাইনার হতে পারবেন। ড্রয়িং করতে গেলে আমি আপনাদের বলব আপনি আগে কয়েকজনের ড্রয়িং ভাল করে দেখেন এবং বোঝার চেষ্টা করেন। প্রতিটা ড্রয়িং ভাল করে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করেন এবং চিন্তা করেন কিভাবে কিভাবে এই ড্রয়িংটা করা হয়েছে। আসলে ভাল ড্রয়িং এর কিছু নীতি থাকে। যেমন যারা ড্রইং নিয়ে পড়াশোনা করেন তারা জানেন তাদেরকে বিভিন্ন বিষয় শেখানো হয় যেগুলো তাদেরকে তাদের ড্রয়িং ফুটিয়ে এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ হেল্প করে। প্র্যাক্টিক্যাল ড্রয়িং শেখার একটি ভাল অনলাইন ওয়েবসাইট হচ্ছে www.drawspace.com, এই সাইট থেকে একদম নতুনরাও ড্রয়িং শিখতে পারবেন। এখান থেকে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রীতেই বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করতে পারবেন। এই সাইটে গিয়ে রেজিঃ করে ফেলুন এবং হোমপেজে দেখবেন বিভিন্ন বিষয়ের ড্রয়িং এর টিউটোরিয়াল দেয়া আছে। আপনি সেগুলো দেখুন এবং বাসায় ড্রয়িং প্রাকটিস করার চেষ্টা করুন। এভাবে চেষ্টা করলে আপনি অবশ্যই ড্রয়িং শিখতে পারবেন।

এবার আসা যাক লোগো ডিজাইনঃ
লোগো কি?
এক কথায় কোন কোম্পানি, দেশ বা ব্যাক্তিগত কোন কিছুর পরিচয় বহনকারী ছবি। যেমন কোন মোবাইল এর পেছনে আপেলের ছবি দেখেই আপনি বলে দিতে পারবেন এটা iPhone, ঠিক এই ভাবেই একটি লোগো একটি কোম্পানির ব্যক্তিত্ব বহন করে। আর এই জন্যই লোগো ডিজাইন এত গুরুত্বপূর্ণ। তবে লোগো ডিজাইন শিখতে হলে আপনাকে আগে অবশ্যই বিভিন্ন কোম্পানির লোগো দেখতে হবে এবং সেখান থেকে আইডিয়া নিতে হবে। লোগো সবসময় Adobe Illistrator দিয়ে ডিজাইন করতে হবে এবং সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার ডিজাইন করা লোগো যেন কোম্পানির নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
লোগো ডিজাইন শেখার জন্য আপনাকে যা মাথায় রাখতে হবেঃ
আপনি যদি একজন ভাল মাপের লোগো ডিজাইনার হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিচের বিষয়গুলোর উপর জোড় দিতে হবে-
১. লোগোর সাথে কোম্পানির এবং এর আডিয়েন্স এর যোগসূত্র তৈরিঃ একটি লোগো শুধুমাত্র দেখার সৌন্দর্যর জন্য তৈরি করা হয়। এর ভেতর থাকে একটি কোম্পানির অন্তর্নিহিত মেসেজ। তাই কোন কোম্পানির লোগো তৈরি করার আগে আপনাকে আগে সেই কোম্পানি সম্পর্কে একটু জেনে নিতে হবে। আর লোগো ডিজাইন করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে এই কোম্পানি কাদের সাথে কাজ করে এবং কি ধরনের সিম্বল বা প্রতিক ব্যবহার করলে সবচাইতে উত্তম ব্র্যান্ডিং সম্ভব? এই ক্ষেত্রে আপনাকে কালার নির্ধারণ করতে হবে খুবই সচেতনতার সাথে। তবে সিম্পল লোগো ডিজাইন করাই উত্তম। এখানে উদারহনস্বরূপ- আপনি যদি কোন গার্মেন্টস কোম্পানির লোগো ডিজাইন এর কাজ পান তাহলে লোগোতে স্টিল এর বোতাম বা সুতা উল্লেখ করতে পারেন, তবে সেটা অবশ্যই সুন্দর এবং সাবলীল হতে।
২. কোম্পানির ব্র্যান্ড এর দিকে নজর দিনঃ
লোগো ডিজাইন এর ক্ষেত্রে আগে একটি স্কেচ তৈরি করে নিলে ভাল হয়। আগেই দেখে নিন ক্লাইন্ট এর আগে কোন লোগো আছে কিনা, ক্লাইন্ট এর অন্য কোন কোম্পানি থাকলে সেগুলোর লোগো দেখুন, এতে করে আপনি ক্লাইন্ট কি ধরনের লোগো পছন্দ করেন সেটা আপনি বুঝতে পারবেন। এইভাবে সবার আগে আপনি ক্লাইন্ট এবং তার আইডিয়া এবং পছন্দ জেনে নিন। এতে করে সহজেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লোগো ডিজাইন করতে পারবেন।
৩. সব কিছুরই ব্যাকআপ রাখুনঃ
লোগো ডিজাইন করতে গেলে দেখা যাবে, আপনি একবারে আপনার লোগো ডিজাইন কমপ্লিট করে ফেলতে পারবেন না। প্রথমবার সাবমিত করার পর ক্লাইন্ট আপনাকে কোন অংশ পরিবর্তন করতে বলতে পারে। পরে সেটি  চেঞ্জ করার পর আবারও কোন জায়গায় চেঞ্জ করতে বলতে পারে। এই জন্য প্রতিবার সাবমিট করার সময় অবশ্যই এই সময়ের আলাদা ব্যাকআপ রেখে দিবেন। কারন এমনও হতে পারে- ৩ বার আপনাকে দিয়ে লোগোর বিভিন্ন অংশ চেঞ্জ করানোর পর ক্লাইন্ট বলতে পারে প্রথম বারের টাই ভাল ছিল। তাই আপনি যদি প্রতিবারের ওয়ার্কসাবমিট এর ব্যাকআপ না রাখেন তাহলে পরে অনেক ঝামেলায় পরবেন। আর তাই ভুলেও কখনো ব্যাকআপ রাখতে ভুলবেন না।

এবার আসি অন্যান্য ডিজাইন ওয়ার্ক এঃ
লোগো ডিজাইন হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর একটি অংশ। তবে এটি ছাড়াও আরও অনেক কাজ রয়েছে এই খাতে। বিলবোর্ড থেকে শুরু করে আপনার বইয়ের কভার পেইজের ডিজাইন এর কাজও পাওয়া যায় অনলাইনে। ইন্টেরিয়র ডিজাইন এরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি হচ্ছে একটি ঘরের ভেতরের অংশ কেমন হবে সেটা ডিজাইন করা। এই রকম বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন এর কাজ রয়েছে।
এবার চলুন জেনে নিই কিভাবে শিখতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য আমি বলব আপনি ইংরেজী কোন ওয়েবসাইট থেকে টিউটোরিয়াল দেখুন। এতে করে আপনি অনেক কিছু খুব বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই রকম দুইটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে- lynda.com এবং tutsplus.com, গুগলে graphics design tutorial লিখে সার্চ করলেই অনেক টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই সকল সাইটের টিউটোরিয়াল গুলো ফ্রী নয়, এই জন্য আপনি চাইলে টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট কিনে নিতে পারেন। তবে আমি বলব- যারা টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করতে পারেন তারা টরেন্ট এ একটু খুজে দেখুন, ভাল করে খুজলে অবশ্যই ভিডিও গুলো ফ্রীতে পেয়ে যাবেন। টরেন্ট ফাইল কিভাবে ডাউনলোড করতে হয় সেটি আপনারা বিভিন্ন বাংলা ব্লগ এ খুজলেই পেয়ে যাবেন। তবে আমি খুব শীঘ্রই চেস্টা করব আপনাদেরকে টরেন্ট ডাউনলোড করার উপর টিউন করতে। যাই হোক, যদি ইংরেজী টিউটোরিয়াল গুলো সংগ্রহ করতে না পারেন তাহলে নেটে অনেক সাইট রয়েছে যেগুলো আপনাকে অনেক লিখিত টিউটোরিয়াল দিবে। আপনি সেগুলো দেখে শিখতে পারেন। তবে এখন সুখবর হচ্ছে- বাংলা ভাষায় অনেকেই অনেক টিউটোরিয়াল বের করেছেন যেগুলো দেখে আপনি শিখতে পারেন। তবে বাংলা টিউটোরিয়াল গুলো দেখে প্র্যাক্টিস করলে আপনি অনেকটাই উপকৃত হবেন। যারা ইংরেজি ভাল জানেন তারা অবশ্যই অবশ্যই ইংরেজি টিউটোরিয়াল গুলো দেখবেন, কারন ইংরেজি টিউটোরিয়াল গুলোতে একদম ভেতর থেকে আলোচনা করা হয় যেগুলো অন্য কোথাও এত বিস্তারিত করে আলোচনা করা হয় না।
ফটোশপ এর বিভিন্ন টিউটোরিয়াল পাবেন নিচের এই সাইটগুলোতে-
http://www.digitalartsonline.co.uk/features/illustration/50-best-photoshop-tutorials/
http://www.photoshoptutorials.ws/
http://www.photoshopessentials.com/
https://www.youtube.com/user/pstutorialsws
আশা করি সবাই উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের যে কোন প্রশ্ন করতে আজই আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন।
কিছু মিস করার আগেই যোগ দিন আমাদের সাথে! আমাদের ফেসবুক গ্রুপ।
যারা যারা এসইও শিখতে আগ্রহী তারা আমাদের নতুন আপডেট টিউটোরিয়াল দেখে শিখতে পারেন। এখানে ক্লিক করুন।

source:http://it-bari.com/ 

এসইও সম্পর্কে কিছু অতি কমন কিন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং তার উত্তর!

কোন নতুন ব্যাক্তি যখন ইন্টারনেট থেকে একটু আধটু জানতে শুরু করেন এসইও সম্পর্কে তখনই তার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে নানা প্রশ্ন। আবার এর মধ্যে তো লোকের কান-পরামর্শ আছেই। আর তাই নতুন অবস্থায় আমরা আপনাদের কাছ থেকে এসইও রিলেটেড যে প্রশ্ন গুলো সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকি সেই গুলো নিয়েই সাজিয়েছি আমরা আজকের পর্ব।

তাহলে চলুন এক নজরে দেখে নিন প্রশ্ন গুলো এবং এর উত্তরঃ

প্রশ্ন ১. আমি তো কম্পিউটার বিভাগের ছাত্র না, আমি শিখতে পারব তো?
উত্তরঃ আমাদের দেশের লোকদের মাঝে অনেক বিভ্রান্ত আছে যে, কম্পিটার বিভাগের ছাত্র না হলে বুঝি ফ্রীল্যান্সিং বা কম্পিউটার সংক্রান্ত কাজ করা যাবে না। এই ধারনাটা একেবারেই মিথ্যা। কম্পিউটারে কাজ করার জন্য বা এসইও শিখার জন্য কম্পিউটার বিভাগের ছাত্র হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশে যারা এসইও বা আউটসোর্সিং এর কাজ করছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই কম্পিউটার বিভাগের ছাত্র নয়।
শেখার সদিচ্ছা এবং সঠিক গাইডলাইন পেলে যে কেউই এসইও তে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন। এক্ষেত্রে কম্পিউটার, বা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র বা আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন ২. অনেকেই তো বলছে শুনছি, এসইও এর চাহিদা নাকি দিন দিন কমে যাচ্ছে? কথাটা কতটুক সত্য?
উত্তরঃ এক কথায় বলতে গেলে কথাটা একেবারেই মিথ্যা, এবং যারা এই ধরনের কথা বলে তাদের অজ্ঞতা এবং মূর্খতার পরিচয়।
এখন তাহলে চলুন একটু জানি এসইও কেন করা হয়?
এক লাইনে বললে- আপনার প্রতিষ্ঠা করা কোম্পানিটা যাতে সবাই গুগলে বা ইন্টারনেটে খুব সহজে খুজে পায় এর জন্যই মূলত এসইও করা হয়।
ইন্টারনেটে খুজে পাওয়া গেলে তাতে কোম্পানির কি লাভ?
প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ অনলাইনে বিভিন্ন সার্ভিস বা পণ্য খুজে বেরায়। সেইখানে যদি আপনার প্রদান করা সেবাটি বা আপনার পণ্যটি সহজে খুজে পাওয়া যায়, তাহলে ভাবতেই পারছেন- আপনার পণ্যের বিক্রি কি পরিমান বেড়ে যাবে এবং আপনার পণ্যের কি পরিমাণ মার্কেটিং হবে? হ্যাঁ, মূলত এই জন্যই করা হয় এসইও।
আসুন একটা উদাহরণ দেয়া যাক-
সফট ড্রিঙ্কস এর জগতে কোকাকোলা এবং পেপসি অতি পরিচিত নাম। ছোট বাচ্চা থেকে বুড়ো পর্যন্ত সবাই ই জানে এই ড্রিঙ্কস গুলোর নাম। কিন্তু তাহলে কেন- প্রতিবছর কোম্পানি গুলো কোটি কোটি টাকা খরচ করছে তাদের ব্যবসা প্রচারের জন্য? কেন করছে তারা এই প্রচার?
হ্যাঁ, ঠিক একই রকম, অনলাইনে প্রচারের সর্বাধিক জনপ্রিয় সিস্টেম হচ্ছে এসইও। যেহেতু কোম্পানি যত দিন আছে, তার প্রচার ততদিন থাকবে, আর তাই এসইও ও থাকবে। কারন এসইও হচ্ছে কোম্পানির ব্যাবসা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান মাধ্যম। তাই, এসইও এর ডিমান্ড কখনোই কমবে না, বরং এটি প্রতি বছর তুমুল হারে বেড়েই চলেছে। এসইও না থাকলে বিশ্বের বেশিরভাগ কোম্পানির ই হাত হারিকেন নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। তখন হয়তবা, হারিকেনের দাম বেড়ে যেতে পারে! 😛
আর তাই যেই সব লোকেরা এই ধরনের কথা বলে, তাদের দিকে মোটেও কান দিবেন না, নিজেই নিজের জ্ঞান দিয়ে চিন্তা করুন এবং সিদ্ধান্ত নিন। মনে রাখবেন- এসইও শেষ তো ইন্টারনেটের ৯৯% সেবাই মূল্যহীন।
প্রশ্ন ৩. এসইও শিখতে কত দিন লাগবে?
উত্তরঃ এটাও এক কথায় বলতে গেলে- সারাজীবন। হ্যাঁ, শুনে আশ্চর্য হলেও এটাই সত্যি। সারাজীবন ধরে এসইও শিখলেও শেষ হবে না। তবে আমার এই রকম উত্তরে নতুনদের হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। এসইও এর মেইন বিষয় গুলো আপনি খুব দ্রুতই শিখে ফেলতে পারেন। আর একবার মেইন টার্ম গুলো শেখা হয়ে গেলে আপনি কাজ করার উপযোগি হয়ে উঠবেন। এর পর কাজও করবেন আর এর পাশাপাশি এসইও এর নতুন নতুন আপডেট গুলো সম্পর্কেও ধারনা নিবেন। তাহলেই চলবে।
এই ক্ষেত্রে আপনার এসইও শিখতে ১ মাস এর মত সময় লাগতে পারে। ১ মাস শেখা এবং আরও ১ মাস প্র্যাক্টিস করার পর আপনি নিজেকে কাজ করার জন্য উপযোগি করে তুলতে পারেন। তবে, অবশ্যই সব সময় চেস্টা করতে হবে নিজেকে আপডেটেড রাখার। তাহলেই কেবল আপনি নিজেকে সফল করে গড়ে তুলতে পারবেন।
প্রশ্ন ৪. দৈনিক কত ঘন্টা করে কাজ করতে হবে?
উত্তরঃ এর কোন লিমিটেশন নেই। কাজের চাহিদা এবং চাপের উপর নির্ভর করবে আপনি দৈনিক কত ঘণ্টা কাজ করবেন। অনেকেই আছেন যারা পার্ট টাইম হিসেবে দৈনিক ২-৩ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন কাজ করতে। আবার অনেকেই আছে ফুল টাইম ওয়ার্কার- যারা দিনে ৮-১২ ঘণ্টাও কাজ করে থাকেন। এখানে আপনি আপনার সুবিধামত কাজ করতে পারবেন।
আসলে এটা নির্ভর করে, আপনার হাতে কেমন সময় আছে, এবং কাজ কেমন আছে সেটার উপর।
প্রশ্ন ৫. এসইও দিয়ে কি পরিমান আয় করা যেতে পারে?
উত্তরঃ এর উত্তরে বলা যায়- ১ হাজার টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা। কারন- একটি কোম্পানির মোট সেলস এর অনেক বড় অংশ আসে এসইও এর মাধ্যমে। একজন এসইও ওয়ার্কার এর উপরেই নির্ভর করে কোম্পানির সেলস। আর এই জন্যই যে কোন কোম্পানিতে এসইও ওয়ার্কার এর চাহিদা খুব বেশি। কাজেই বুঝতেই পারছেন, এসইও অপ্টিমাইজার এর গুরুত্ব কতখানি?
আর এইক্ষেত্রে আপনি যত বেশি দক্ষ হবেন আপনার আয়ও তত বাড়বে।
মনে রাখবেন- এই পৃথিবীতে জ্ঞানের মূল্য সবচেয়ে বেশি। আপনি যত বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন এবং যত বেশি দক্ষতার প্রমাণ রাখতে পারবেন আপনার কাজের রেটও তত বাড়তে থাকবে। ফ্রীল্যান্স মার্কেট গুলোতে এমন অনেকে ওয়ার্কার আছেন যারা- ১৩-১০০ ডলার প্রতি ঘণ্টা রেটেও এসইও কাজ করছেন।
এখন একজন ওয়ার্কার যদি ১০০ ডলার প্রতি ঘণ্টা রেটে কাজ করে থাকেন, এবং দৈনিক ৫ ঘণ্টা কাজ করেন তাহলে তার আয় কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়।
তবে একটা কথা- আইটি বাড়ি নিজে স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে এবং ভালবাসে আপনাদের স্বপ্ন দেখাতে। কিন্তু তাই বলে আমরা আপনাদের এমন কোন তথ্য দেই না, যেটা কিনা হয়ে যায় দিবাস্বপ্ন। ১০০ ডলার প্রতি ঘণ্টা বলেছি বলে এটা কখনই ভাববেন না যে- শুরুতেই আপনি ১০০ ডলার রেট পেয়ে যাবেন, এই পর্যায়ে পৌঁছতে হলে আপনাকে ও সেইরকম লেভেলের এক্সপার্ট হতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন কঠোর সাধনা।
তবে, যদি কষ্ট করে ধরে থাকতে পারেন তাহলে ১০০ ডলার রেটেও আপনিও কাজ করতে পারেন। এর জন্য কঠিন পরিশ্রম এর বিকল্প নেই।
নিচে প্রমাণ স্বরূপ একজনের প্রোফাইল এর একটা স্ক্রিনশট দিলাম-

এই ব্যক্তির প্রোফাইল লিঙ্ক- এখানে ক্লিক করুন।
কাজেই কথা একটাই দাড়াল- এসইও এর চাহিদা মোটেও কমে নি এবং কমবেও না। ইন্টারনেট যতদিন, এসইও ততদিন। আর তাই আপনি কারো কথায় কান না দিয়ে আজ থেকেই শুরু করতে পারেন এসইও শেখা।
তাহলে কি সিদ্ধান্ত নিলেন?
আসলে অনলাইন টা হচ্ছে দক্ষতার জায়গা। যার দক্ষতা যত বেশি তার চাহিদাও তত বেশি। তবে এই দক্ষতা অর্জন করতে প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন।
আর তাই আপনারা যারা অনলাইনে আয় করতে আগ্রহী তাদের জন্য আইটি বাড়ি নিয়ে এল অনলাইনে আয়ের পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন সহ এসইও শেখার বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল, যা দেখে আপনি এসইও এর কাজ শিখতে পারবেন এবং ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলে বিড করে কাজ করে আয় করতে পারবেন। টিউটোরিয়ালটি পেতে এখানে ক্লিক করুন।

source:http://it-bari.com/some-question-relating-freelancing-seo-of-new-comers/ 

অনলাইনে আয় সম্পর্কে সুপার এক্সক্লুসিভ পোস্ট

অনলাইনে আয় নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে তরুণদের মাঝে এ নিয়ে যেন উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে। কিন্তু সমস্যা বাধে এ নিয়ে তেমন কোন ধারাবাহিক বা সঠিক তথ্য সম্বলিত কোন পোস্ট বা বই পাওয়া যায় না বললেই চলে। আর তাই, শুরুতেই অনেক কষ্ট করতে হয় এই পেশায় নবাগতদের। এমন সমস্যায় যদি আপনিও পড়ে থাকেন তাহলে আজকের লিখাটি বিশেষভাবে আপনার জন্যই তৈরি। এখানে আপনি অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে অতি সংক্ষেপে কিন্তু ভালভাবে জানতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনি কিভাবে সামনের দিকে এগুবেন সেটিও জানতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
Complete Online Earning Bangla Tutorial Guideline For Beginner

আচ্ছা অনলাইনে কি সত্যিই আয় করা যায়? নাকি পুরোটাই ভূয়া?

অনলাইন হচ্ছে এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে সঠিক রাস্তায় হাটলে অবশ্যই আয় করা সম্ভব। এবং এই আয়টা আমাদের দেশের অনেক চাকুরীজীবীদের মার্কেটের তুলনায় অনেক ভাল। এবং এখানে রয়েছে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা।
ফ্রীল্যান্সিং সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বেশ কয়েকবার প্রচারিত হয়েছে। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখতে পারেন নিচের লিঙ্ক থেকে-
ATN News চ্যানেলে ২ ডিসেম্বর ২০১৪ তে টকশো হয় টিভি তে। দেখুন এই লিঙ্কে- এখানে ক্লিক করুন।
দেখতে পারেন সময় টিভি তে প্রচারিত প্রতিবেদন- এখানে ক্লিক করুন। 
দেখুন চ্যানেল ২৪ এ প্রকাশিত প্রতিবেদন- এখানে ক্লিক করুন। 
দেখুন এটিএন নিউজের আরও একটি প্রতিবেদন- এখানে ক্লিক করুন। 
কি বুঝলেন? কিছু বিশ্বাস হল? যদি ক্লিক করে আয় করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন তাহলে সেটি ভূলে যান। আর অনলাইনে কাজ করার জন্য আপনার কোন জামানতের বা অগ্রীম টাকারও প্রয়োজন হবে না। তবে প্তারয়োজন কঠিন পরিশ্রম এবং দক্ষতা। তাই অনলাইনে আয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন, নিজে নিরাপদে থাকুন, সফল হউন।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক-

অনলাইনে আয় কি?

আসলে অনলাইনে আয় বলতে এক কথায় ইন্টারনেট থেকে টাকা উপার্জনকে বোঝায়। অনলাইন থেকে আয় করার প্রথম এবং পূর্ব শর্ত হচ্ছে একটি কম্পিউটার এবং সচল ইন্টারনেট সংযোগ। এই দুটি না থাকলে অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে কিছু স্পেশাল কাজ ব্যতীত নরমাল যে কোন কম্পিউটার দিয়েই এই কাজ গুলো করা সম্ভব। এর জন্য বিশেষ সুবিধা সম্পন্ন বা হাই কনফিগারেশনের কোন কম্পিউটারের প্রয়োজন নেই। তবে, অতিমাত্রায় লক্কর-ঝক্কর কমিপিউটার না ব্যবহার করার-ই পরামর্শ রইল আমার।

এবার আসি কাজে? কি কাজ?

নতুনরা প্রায়ই শুনে থাকেন অমুক অই কাজ করে, আবার আরেকজন অন্য কাজ করে, তাহলে এই বিভিন্ন কাজ গুলো কি?
ইন্টারনেটকে আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে তুলনা করলে সহজেই অনলাইনে আয়ের ব্যাপারটা বোঝা সম্ভব। আমাদের বাস্তব জীবনে আমরা সাধারণত দুই ভাবে অর্থ উপার্জন করে থাকি।
১. চাকুরি
২. ব্যাবসা
ঠিক তেমনি ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতেও (ভার্চুয়াল জগত হচ্ছে যেটা ধরা যায় না, বা কম্পিউটার সংক্রান্ত) আপনি ঠিক দুই ধরনের পদ্ধতিতেই টাকা আয় করতে পারবেন।
এখানেও রয়েছে ব্যাবসা এবং চাকুরি উভয়েরই সুযোগ। এখন নতুন অবস্থায় অনলাইনে আয়ের বিষয় গুলোতে এখানেই কিন্তু সব জটিলতার সৃষ্টি হয়।

তাহলে চলুন দেখি অনলাইন থেকে ব্যাবসা করে কিভাবে আয় করা যায়ঃ

অনলাইন থেকে অনেকেই বিভিন্ন ভাবে ব্যাবসা করে আয় করে থাকেন। যেমন- এর মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির মাধ্যমে। আমরা জানি এখন অনলাইনে হাত ঘড়ি থেকে শুরু করে মোবাইলও ইন্টারনেট থেকে কেন যায়। আর অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির এই ব্যাবসাকে বলা হয় ই-কমার্স বিজনেস। এছাড়াও অনলাইনের অন্যান্য ব্যাবসার মধ্যে রয়েছে- ব্লগিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি। এখানে, ব্লগিং হচ্ছে এমন এক ধরনের ব্যাবসা যেখানে আপনাকে আগে ভাল মানের তথ্য সমৃদ্ধ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এবং সেখানে এই তথ্য পড়ার বা জানার জন্য যখন বিভিন্ন লোকজন আপনার ওয়েবসাইটে আসতে থাকবে তখন সেখানে আপনি বিজ্ঞাপন বসিয়ে আয় করতে পারবেন।
যেমন ধরুন- আপনার একটি শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট আছে। এই ওয়েবসাইটে আপনি নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে লিখালিখি করেন। আর আপনার এই লিখা পড়ার জন্য এক জন দুজন করে রোজ আপনার সাইটে বিভিন্ন লোক আসে, কারন আপনার লিখাগুলো মানসম্মত এবং এখান থেকে মানুষেরা উপকৃত হয়। তো এমন এক সময় আসবে যখন একজন দুইজন করতে করতে প্রচুর লোক আপনার লিখা পড়ার জন্য নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটে আসবে। এখন যেহেতু আপনার সাইটে প্রতিদিন অনেকেই আসেন আপনার লিখা পড়ার জন্য তাই আপনি ভাবলেন, ” আচ্ছা যেহেতু অনেকেই আমার সাইটে আসে প্রতিদিন তাই আমি যদি শিখা বিষয়ক আমার একটি বই বা কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন আমার লিখার সাথে দিয়ে দেই তাহলে তো কিছু বিক্রি করা সম্ভব! ” হ্যাঁ, যেই কথা সেই কাজ, আপনি আপনার লিখার পাশাপাশি কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে দিলেন। ব্যাস এতে করে ওই বিজ্ঞাপন থেকে আপনার কিছু আয়ও হয়ে যাবে। মূলত এই থিমকে কাজে লাগিয়েই গোটা পৃথিবীতে কোটি কোটি টাকার ব্লগিং মার্কেট গড়ে উঠেছে।
এবার দেখি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিয়ে কিভাবে ব্যাবসা করা যায় অনলাইনে-
ধরুন আপনার জ্বর আসল। আপনি ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার আপনাকে দেখে বললেন অমুক হাসপাতাল থেকে আপনাকে এই টেস্টগুলো করিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এখন, ভাবুন তো, ডাক্তার আপনাকে অমুক হাসপাতালের কথা কেন বললেন? টেস্ট তো যে কোন হাসপাতাল থেকেই করানো যেত! হ্যাঁ, ডাক্তার আপনাকে অমুক হাসপাতালের কথা এই জন্যই বলেছেন কারন সেই হাসপাতাল থেকে টেস্ট করালে আপনার টেস্ট এ যা টাকা আপনি হাসপাতালকে দিবেন তার কিছু অংশ ওই ডাক্তার পাবেন। এর মানে হচ্ছে ডাক্তার ওই হাসপাতালের একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করেছেন। ঠিক এটাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখানে, আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য অনলাইনে প্রচার চালিয়ে বিক্রি করে দিতে হয়। প্রতি বিক্রিতে ওই কোম্পানি আপনাকে কিছু কমিশন দেয়।
এইভাবে ব্যবসা করেও অনেকে অনলাইন থেকে উপার্জন করছেন।
এই তো গেল ইন্টারনেট ভিত্তিক কিছু ব্যবসার নমুনা। তাহলে চলুন দেখি ইন্টারনেটে আপনি কিভাবে চাকরিও করতে পারবেন!

ইন্টারনেটে চাকরি বা ফ্রীল্যান্সিং?

ইন্টারনেটের চাকরিটা অনেকটা আমাদের বাস্তব জীবনের মত হলেও এখানে রয়েছে অনেক সুবিধা। রিয়েল লাইফে চাকরি করতে প্রয়োজন সার্টিফিকেট, কিন্তু ইন্টারনেটে চাকরি করতে গেলে এই সার্টিফিকেটের কোন প্রয়োজন নেই, এখানে দরকার শুধু দক্ষতা। বাস্তব জীবনে যেমন চাকরির একটা গদবাধা সময় থাকে, নিয়ম থাকে, এখানে কিন্তু এমন কিছুই নেই। এখানে আপনি সম্পূর্ণই স্বাধীন বা মুক্ত। আর এই জন্যই এই চাকরিকে বলা হয়ে থাকে ফ্রীল্যান্সিং বা মুক্তপেশা।

তাহলে কোথা থেকে পাবেন চাকরী?

হ্যা, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন জায়গায় চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। যেমন ধরুন- প্রথম আলো বা বিভিন্ন পত্রিকায় আলাদা একটি কলাম ই থাকে চাকরির বিজ্ঞাপনের জন্য, যেখানে বিভিন্ন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের কোম্পানীতে চাকুরির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। এবং আমরা পত্রিকায় সেই বিজ্ঞাপন দেখে ওই কোম্পানীর সাথে চাকুরির জন্য যোগাযোগ করি।
অনলাইনের চাকুরির ব্যাপারটাও অনেকটা একই রকম। তবে এখানে, চাকুরীদাতা এবং আপনার মধ্যে একটি সিকিউর বা নিরাপদ যোগসূত্র তৈরি করার জন্য রয়েছে অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস। এই সকল মার্কেটপ্লেস গুলো মূলত হচ্ছে এক একটি ওয়েব সাইট। এই সকল সাইটে মূলত দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। একটি হচ্ছে ফ্রীল্যান্সার বা ওয়ার্কার অ্যাকাউন্ট এবং আরেকটি হচ্ছে বায়ার বা ক্লাইন্ট অ্যাকাউন্ট। একই সাইটে এই দুই ধরনের লোক থাকেন, একদল কাজ দেন এবং একদল কাজ করেন। যারা কাজ দেন তাদের বলে বায়ার বা ক্লাইন্ট, আর যারা কাজ করেন তাদের বলে ওয়ার্কার বা ফ্রীল্যান্সার।
যেমন, এই ধরনের জনপ্রিয় ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইট/মার্কেটপ্লেস হচ্ছে- আপওয়ার্ক.কম যার পূর্ব নাম ছিল ওডেস্ক.

আচ্ছা ক্লিয়ার হলেন না? তাহলে একটি উদাহরন দেখুনঃ

ধরুন- একটি অফিসের/কোম্পানীর জন্য একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন। এখন, ওই অফিসের মালিক কোথায় খুজবেন এমন একজনকে যিনি তার অফিসের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দিবেন?
তাই এই ধরনের একজন ওয়ার্কার খুজে পাওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন ফ্রীল্যান্সিং সাইটে একজন ওয়েব ডিজাইনার প্রয়োজন লিখে একটি জব পোস্ট করতে পারেন। এখন যেহেতু ওই ক্লাইন্ট একজন ওয়েব ডিজাইনার চাইছেন, তাই আপনার যদি ওই ফ্রীল্যান্সিং সাইটে কোন অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি ওই ক্লাইন্টের ওই জবটিতে কাজ করার জন্য আবেদন করতে পারেন। একই ভাবে একটি কাজে আপনার মত আরও অনেক ওয়ার্কার আবেদন করবে। এবং ক্লাইন্ট তখন বিভিন্ন জিনিস যাচাই বাছাই এবং ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে আপনাদের মধ্য থেকে একজন বা একের বেশি জনকে কাজটি করতে দিবে।
এবং এই ভাবে আপনি যদি কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করে ক্লাইন্টের কাছে জমা দিতে পারেন তাহলে ক্লাইন্ট আপনাকে পেমেন্ট করে দিবে।

আচ্ছা, সেটা তো বুঝলাম! তাহলে ক্লাইন্ট আমাকে কিভাবে পেমেন্ট করবে? আর আমি টাকাটা পাবই বা কিভাবে?

হ্যা, কাজটি যদি আপনি সফলভাবে করে দিতে পারেন তাহলে ক্লাইন্ট আপানকে সরাসরি পেমেন্ট করবে না। ক্লাইন্ট পেমেন্ট করবে সেই ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যেখানে আপনার সাথে ক্লাইন্টের পরিচয় হয়েছে। মানে, আপনি যেই ওয়েবসাইট থেকে কাজটি পেয়েছিলেন, ক্লাইন্ট সেখানে পেমেন্ট করবে। এবং সেই ওয়েবসাইট আপনার অ্যাকাউন্টে মোট পেমেন্ট থেকে ১০% চার্জ কেটে রেখে দিয়ে বাকি টাকা আপনাকে পরিশোধ করে দিব। এই টাকা প্রথমে আপনার অনলাইন বা ওই ফ্রীল্যান্সিং সাইটের অ্যাকাউন্টে আসবে এবং সেখান থেকে আপনি চাইলে সরাসরি বাংলাদেশী অনলাইন সাপোর্ট করে এমন যে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

অনেকেই তো বলে টাকা তুলতে গেলে নাকি পেপাল, মাস্টারকার্ড ইত্যাদি থাকতে হবে?

এক কথায় আমি বলব, না। ফ্রীল্যান্সিং যে টপ সাইট গুলো আছে সেখান থেকে আপনি সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই টাকা তুলতে পারবেন। এমনকি টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে ডলারে আসলেও আপনি ব্যাংকে ট্রান্সফার করার পর সেটি টাকায় কনভার্ট হয়ে যাবে। তাই পেমেন্ট নিয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই।
তবে কিছু সাইট রয়েছে যেখান থেকে টাকা তুলে গেলে একটি মাস্টারকার্ড প্রয়োজন হবে। তবে, মাস্টারকার্ড পাওয়া তেমন কঠিন কিছুই না। Payoneer থেকে আপনারা চাইলে সম্পূর্ণ ফ্রীতেই একটি মাস্টারকার্ড পেতে পারেন। এটি নিয়ে পরে একদিন বিস্তারিত লিখব ইনশাআল্লাহ।
যাই হোক, ওডেস্ক/আপওয়ার্ক, ইল্যান্স, ফ্রীল্যান্সার ইত্যাদি টপ কোয়ালিটি ফ্রীল্যান্সিং সাইট থেকে আপনি সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা তুলতে পারবেন, তাই পেমেন্ট নিয়ে এত চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই।

তাহলে কিভাবে শুরু করবেন?

আশা করি  উপরের লিখা গুলো পড়ে বুঝে গেছেন, যেহেতু এই সেক্টরে কোন ঘুস বা জামানত লাগে না, এবং কাজ শুরু করতে একটাকাও দিতে হয় না কাউকে তাই এখানে আপনার একমাত্র প্রয়োজন হবে ভাল ভাবে কাজ জানা। এখানে যে যত বেশি দক্ষ হতে পারবেন তার আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। ভাল করে কাজ না জানলে এই সেক্টরে কোনদিনই সফল হওয়া যাবে না। আর তাই কাজ শেখা অত্যন্ত জরূরী। আর তাই নতুন অবস্থায় আপনি যাতে সম্পূর্ণ প্রফেশনালভাবে কাজ শিখতে পারেন এর জন্য আমাদের আইটি বাড়ি এর রয়েছে সুপার কোয়ালিটি বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়ালসমূহ। যেটি দেখে অনেকেই কাজ শিখতে পারবেন এবং এই টিউটোরিয়াল দেখে অনেকেই অনলাইন থেকে বিভিন্নভাবে কাজ করে আয় করছে।
Source:http://it-bari.com/complete-online-earning-guideline-for-beginner/