January 5, 2016

ঘরোয়া চাকুরি/ ব্যবসা হিসেবে ফরেন-এক্সচেঞ্জ (ফরেক্স) – বিশেষ করে হোম সিকদের জন্য।

ঘরোয়া চাকুরি/ ব্যবসা হিসেবে ফরেন-এক্সচেঞ্জ (ফরেক্স) – বিশেষ করে হোম সিকদের জন্য। 


Ads by Techtunes - tAds
স্বাধীন যেকোন পেশা যে কারো জন্য উন্মক্ত। তবে বিশেষভাবে অনেকে ঘরোয়া পেশাগুলো কে অধিক মুল্য্যয়ন করে থাকেন যার যার সুবিধা, বিবেচনায় এবং ইচ্ছায়। এই ধরনের পেশা সারা পৃথিবীতে অনেক আছে, বিশেষ করে ফ্রী-ল্যান্সিং এর দুয়ার খুলে দিয়েছে অনেকখানি। ঘরে বসে বাইরের প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করা বিষয়টি সত্যি অনেক মজার। আর এই মজাটা আমাদের দেশের তরুন প্রজন্ম খুব ভালো ভাবেই নিচ্ছেন। এবং সফলতার সাথেই নিচ্ছেন।
প্রযুক্তির আশীর্বাদে মানুষ এর জীবন এখন অনেক সহজ, অনেক গতিসম্পূর্ণ এবং অনেক সুন্দর। মানুষের অনেক কল্পনা এখন বাস্তবে রুপ নিচ্ছে প্রযুক্তির কল্যাণে। প্রযুক্তির এইরকম একটি আশীর্বাদ হল ঘরে বসে অনলাইনে আয়।  ঘরোয়া অনেক পেশার মধো আজ আমি আলোচনা করব, ফরেন এক্সচেঞ্জ (ফরেক্স) ট্রেডিং বিষয়ে। মুলত আমার আরেকটি আলোচনায় আমি এই পেশা সম্পর্কে বিস্তারিত গাইডলাইন দিয়েছিলাম। যারা আগের আলোচনাটা মিস করেছিলেন তারা চাইলে পড়ে নিতে পারেন। (ফরেক্স কি, কেন শিখবো, কতদিন লাগবে? কত টাকা আয়? কত ইনভেস্ট করতে হয়? প্রফেশন হিসেবে কেমন ? বিস্তারত)।
প্রথমেই বলতে চাই বর্তমান সময়ের সিডিউল বেসড বাইরের অনেক পেশার চেয়ে ঘরে বসে ফরেক্স ট্রেডিং এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন তার অনেক অনেক বেশি। হ্যাঁ , সত্যিই তাই। হতভাগ করার মত কিছু বলছি না। ফরেক্স ট্রেডিং ট্রেডিশনাল শেয়ার মার্কেট এর মত এক ধরনের মার্কেট যেখানে মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে প্রফিট করে থাকেন। এই পেশাটি উম্মক্ত। আপনি বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে শুধুমাত্র নেট কানেকশন এবং ল্যাপটপ পিসি ব্যাবহার করে আপনার ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন, ওপেন একটি ব্যবসা তাই আপনি কারো কাছে বাঁধা নন কিংবা কেউ আপনার কাছে। আপনি সম্পূর্ণ প্রসেসটা করতে পারেন নিজে নিজেই।
ট্রেডিশনাল একটি ব্যবসা আপনি যদি ক্ষুদ্র মূলধন ২০ লাখ দিয়ে শুরু করেন সেট আপ থেকে শুরু করে যে প্রকার ব্যবসা করেননা কেন প্রতি মাসে আপনি সব খরচ বাদ কত প্রফিট আসা করতে পারেন? এভারেজ ৩০০০০-৫০০০০ সর্বচ্চ, কোন কোন ক্ষেত্রে সেটাও সম্ভব হয় না। সিম্পলভাবে আমি যদি এই ইনভেস্টমেন্টকে ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড এর অনুপাতে হিসাব করি তাহলে শারীরিক অস্তিত্বহীন সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই ব্যবসা থেকে আপনি মাসিক ২-৩ লাখ টাকা প্রফিট নিতে পারেন অনাসয়ে। এই হিসাবটা আমার একটা অন-ইন এভারেজ, আপনি দক্ষতার বদৈলতে প্রফিট করে নিতে পারেন তার ও অনেক বেশি আনলিমিটেড মানি। যার জন্য আপনার প্রয়োজন নেই কোন বিশেষ ব্যবসা পজিশনের। নেই কোন স্টাপ কিংবা ব্যবসায়িক ইউটিলিটিজের। আপনার পিসি এবং ইন্টারনেট কানেকশনই হচ্ছে আপনার ব্যবসার মুল সেট আপ। তাই ঘরে বসে এই ব্যবসাটি আপনার ভাগ্যর পরিবর্তন আনতে পারে অনেক সহজে এবং অনেক কম সময়ে।

কিভাবে আপনি ঘরে বসেও এই ব্যবসাটা করতে পারেনঃ
  •  নিজের সুবিধা মত সময়ে ট্রেড করতে পারবেন।
  • ফরেক্স মার্কেট ২৪ ঘন্টা সপ্তাহের সোমবার থেকে শুক্রবার এক টানা ওপেন থাকে তাই অন্য চাকরির মত নির্ধারিত সময় মাপিক চলতে আপনি বাধ্য নন, আপনার ইচ্ছে হলে আপনি মধ্য রাতে বসে ট্রেড করুন।
  • পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মার্কেট হল ফরেক্স যেখানে দৈনিক টার্ন-অভার ৪ ট্রিলিয়ন ডলার এর মত তাই সবার অফুরন্ত সম্ভাবনা আছে এই মার্কেট সম্পৃক্ত হওয়ার।
  • সর্বনিম্ন মূলধন $১ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ মূলধনে আপনি নিজের ক্ষমতা মাপিক ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
  • একক কারো প্রতিনিধিত্ব এই বাজারে কোন রুপ প্রতিফলন তৈরি করতে পারে না। স্বয়ং বিল গেটস এর পুরো অর্থের সামর্থ্য নাই এই বাজারকে পরিবর্তন করার।
  • দামের উর্ধগতি এবং নিম্নগতি উভয় ট্রেন্ডে ট্রেড করতে পারবেন।
  • এটি স্পট ট্রেডিং মার্কেট তাই ইনস্ট্যান্ট বায়-সেল করতে পারেন, কোন রকম মেচিউরিটির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
  • আপনার লেনদেনগুলো সম্পূর্ণ সিকিউর আপনার নিজের তৈরি আকাউন্ট পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে যেখানে কারো এক্সেস এর কোন সুযোগ নেই।
  • ব্রোকার দ্বারা ভিবিন্ন রকম মানি মিডিয়ার মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন নিজের পছন্দ মত।
  • লোন সুবিধান কারনে নিজের পুজির চেয়ে বেশি ক্ষমতায় ট্রেড চালিয়ে যেতে পারবেন।
  • ডেমো একাউন্ট নামক ফ্রী এবং প্রি-ইনভেস্টমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে নিতে পারেন মুল ইনভেস্টমেন্টে যাওয়ার আগে।
  • কোন কাজে বাইরে যেতে হলে নিজের মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ ট্রেড কনট্রোল করার সুবিধা।
  • ফুল অথবা পার্ট টাইম বেসিস নিজের পছন্দ মাপিক করতে পারেন।
  • গ্র্যাজুয়েট-ননগ্র্যাজুয়েট সবার জন্য উন্মত অর্থাৎ শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল।
উপরের যে সুবিধার কথা গুলো বললাম তার সবকটি আপনি পেতে পারেন কোন রকম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছাড়ায় সম্পূর্ণ ঘরে বসে। প্রতিটি ব্যবসার মুল হল আগে সেই ব্যবসাটা সম্পূর্ণ আয়ত্তে আনা, ভালোভাবে শিখে নেওয়া। তাই মুল ইনভেস্টমেন্টে যাওয়ার আগে অবশ্যই ,অবশ্যই, অবশ্যই সম্পূর্ণ বিষয়টি পরিষ্কার এবং দক্ষ হয়ে তারপর শুরু করুন।
এইবার আসুন জেনে নেই এই ব্যবসাটিতে কি ধরনের সীমাবদ্ধতা আপনার থাকবে কিংবা কোন ধরনের ঝুঁকি আপনার থাকতে পারে। নিমক্ত বিষয়গুলোর প্রতি সচেতন থাকুন ব্যবসাটি আরম্ভ করার পূর্বে।
  • ইনভেস্টমেন্ট এর সময় লজিক এর চেয়ে ইমোশনকে প্রাধান্য দেওয়া।
  • নিজের সম্পূর্ণ মূলধন তথা লিভিং সিকিউর মানি নিয়ে ব্যবসায় নেমে পড়া।
  • পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন না করেই ব্যবসায় নেমে পড়া।
  • ব্যবসার সম্পূর্ণ কনসেপ্ট রীতিনীতি গুলো খামখেয়ালীর সাথে পরিচালনা করা।
  • প্রতিটি ট্রেড থেকে প্রফিট আসা করা।
  • নিজের দক্ষতার চেয়ে বেশি রিস্ক নিয়ে নেওয়া।
এই রকম ভিবিন্ন ব্যতিক্রম ধর্মী সুবিধার জন্য সারা বিশ্বে ঘরোয়া পেশা হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ফরেক্স ট্রেডিং, বিশেষ করে মহিলারা যারা বাইরে বেরিয়ে চাকুরি কিংবা ব্যবসায় নিজেদের অন্তুভুক্ত করতে চায় না সম্ভব হয় না, ঘরে বসে আয় করার জন্য ফরেক্স হতে পারে তাদের প্রথম পছন্দ। এবং আপনি হতে পারেন আপনার পরিবারের একজন বড় আর্নার, পরিবর্তন করতে পারেন নিজের ভাগ্যকে, স্বাবলম্বী হতে পারেন আর্থিকভাবে।
আপনার সামনের অনেক অনেক পেশায় আপনার জীবনকে সুন্দর এবং পরিপূর্ণ করার ক্ষেত্রে ফরেক্স ট্রেডিং ও হতে পারে আপনার একটি সফল পেশা সফল পছন্দ। সেই প্রয়াসে bdforexpro.com || Bangladesh forex professional community. আপনার পাশে, আপনার ফরেক্স ট্রেডিং সহযোগিতায় সব সময়।

Source: http://www.techtunes.com.bd/freelancing/tune-id/260888

ফরেক্স কি, কেন শিখবো, কতদিন লাগবে? কত টাকা আয়? কত ইনভেস্ট করতে হয়? প্রফেশন হিসেবে কেমন ?

 ফরেক্স কি, কেন শিখবো, কতদিন লাগবে? কত টাকা আয়? কত ইনভেস্ট করতে হয়? প্রফেশন হিসেবে কেমন ?


ফরেক্স কি, শিখতে কোথায় যাব? কতদিন লাগবে? কত টাকা আয়ের গ্যারান্টি? কত ইনভেস্ট করতে হয়? ইনভেস্ট ছাড়া কি ট্রেড করা সম্ভব? প্রফেশন হিসেবে কেমন, সবাই কি পারবে? এই সবকিছু একটু বুঝিয়ে বলেন।– ট্রেডার , নন-ট্রেডার সবার জন্য।

মুল আলোচনায় যাওয়ার আগে হালকা একটু জেনে নেয় ফরেক্স কি এর কি কি সুবিধা আছে এবং প্রফেশন হিসেবে এটা কেমন হতে পারে। বিষয়টা আসলে শেয়ার করছি অনেকজানার ভেতর সামান্য অজানার তাগিতে, বেশ কদিন ধরে একটা প্রশ্ন ফেইস করছি অনেকে ফরেক্স, ফরেক্স শব্দটা শুনতে শুনতে বিরক্ত, যে ফরেক্স শিখতে কোথায় যাব? অনেকে অনেক ধরনের সুবিধার কথা বলছে, কেউ কেউ বলছে ট্রেনিং করলে নিশ্চিত আয়, আবার এটাও অনেকে বলছে মাসে ৫০,০০০-৭০,০০০ টাকা সহ আনলিমিটেড আয়ের ব্যবস্থা ,আবার এমন কাউকে শো করছে যারা নাকি প্রতিমাসে ১,০০,০০০(এক লক্ষ) টাকার চেয়ে বেশী ইনকাম করে ফরেক্স ট্রেডিং এর মাধ্যমে। সব মিলিয়ে বিষয়টা অনেকের কাছে এখনো অস্পষ্ট। তাই আমার ফরেক্স ট্রেডিং এর অভিজ্ঞতা এবং উপরোক্ত সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলোর যথাযথ সমাধানের চেষ্টায় এই অভিপ্রায়। আশা করছি আপনাদের ফরেক্স ট্রেডিং অভিজ্ঞতা ও শেয়ার করবেন। তাতে করে মিনিমাম একটা লাভ যে নতুনরা মিসগাইড হবে না।

ফরেক্স কিঃ
নতুন ভাবে মনে হয় কাউকে বোঝানোর দরকার নেই যে ফরেক্স কি তারপরও আলোচনার স্বার্থে এবং একেবারে নভিস যারা তাদেরকে বলছি; ফরেক্স হল এমন একটি ট্রেডিং মার্কেট যেখানে একটি মুদ্রার বিপরিতে আরেকটি মুদ্রা কেনাবেচা করে প্রফিট করা যায়। আর এই মার্কেটে ট্রেডিং সুবিধাগুলোও নতুনরা একবার জেনে নিতে পারেন।

ফরেক্স শিখতে কোথায় যাব?
খুব সহজ উত্তর হল কোন ফরেক্স ট্রেনিং সেন্টারে চলে যান অথবা আপনার পরিচিত কেউ ফরেক্স জানলে তারকাছ থেকে যেকোনভাবে শিখতে শুরু করুন। আসুন এইবার একটু গভীরে যায়। ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে ফরেক্স শিখলে কেমন হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে মোটামুটি সব ফরেক্স ট্রেনিং সেন্টারের সাধারণ ফরেক্স ট্রেডিং এর ট্রেনিং ফি ৮,০০০-১০,০০০ টাকার মধ্যে। সময় ২-৪ সপ্তাহ। ভালো। কোন বিষয় সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হলে ট্রেনিং আর কোন বিকল্প নেই। নিজে নিজে সবাই সব কিছু পারে না। ট্রেনিং সেন্টারের এই এক মাসের ট্রেনিং এ আপনি ফরেক্স ট্রেডিং রাজ্য একটু পা দিলেন এখন বাকি কাজ আপনার, নিয়মিত অধ্যায়ন এবং চেষ্টায় আপনাকে একজন ট্রেডার রুপে গড়ে তুলতে পারে। সে জন্য দরকার লম্বা একটা সময় নিয়ে অনুশীলন শুরু করা। আর এই কাজটি করতে আপনি ট্রেনিং সেন্টারে জেতে বাধ্য নন, আপনি চাইলে নিজে নিজে বিষয়টা আয়ত্তে আনতে পারেন। তবে রেডিমেইড হলে সময়টা কম লাগে। খেয়াল করুন প্রথমত ফরেক্স কোন ডাক্তার দ্বারা বানানো কোন বড়ি নয় যে এক নিমিষে গুলিয়ে গেয়ে নিলেন অথবা এমন কোন প্যাকেজ নয় যে এক মাসের মধ্যে সব বুঝে গেলেন। ফরেক্স হল একটা “ লং টাইম লার্নিং প্রসেস ফর লাইফ টাইম এন্ড লাইভ আর্নিং ”। অল্প বিদ্যা যেমন ভয়ংকর তেমনি সামান্য কদিনের প্রচেষ্টায় বিষয়টি আয়ত্তে আনার চিন্তাও তেমনি ভয়ংকর। তাহলে আপনি

কিভাবে শুরু করবেন?
স্টেপ ১ #
আপনি প্রথমে দেশি-বিদেশি (বাংলাভাষায় ফরেক্স ট্রেনিং এর লেসন পেতে ফরেক্স ক্যাম্পাস অথবা বাংলা ভাষায় ফরেক্স শিখার সম্পূর্ণ লেসন ভিত্তিক বইটি এবং ইংরেজি লেসন এর জন্য www.babypips.com ) যেকোন একটা সাইট মার্ক করেন তারপর প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময় বের করেন আপনার রেগুলার রুটিন থেকে তারপর একটু একটু করে স্টাডি শুরু করেন মনে রাখবেন তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে লোড নিবেন না। জোর পূর্বক কিছু আয়ত্তে আনার চেস্টা করবেন না। আপনি যদি সময় কে সময় দেন তাহলে সময় আপনাকে সময় দিবে। আপনার স্টাডি কে তিনটি ভাগে ভাগ করে নিন নয়ত তালগোল পাকিয়ে ফেলতে পারেন (বিগেনিং, প্রফেশনাল এবং এডভান্সড এই তিনটি লেভেলে).
স্টেপ ২ #
স্টাডি চালিয়ে যেতে অনেক বিষয় অনেক সময় অস্পষ্ট থাকতে পারে সেই ক্ষেত্রে ফোরামে (www.bdforexpro.com) আপনার সমস্যাটি বা যে বিষয়টি বুঝতে পারছেন না তা জিজ্ঞেস করুন। অনেক অভিজ্ঞ ট্রেডার আছে যারা আপনার সমসাটির ভালো সমাধান দিতে পারবেন।
স্টাডির যখনি ডেমো ট্রেডিং অধ্যায় শেষ করে ফেলবেন তখন থেকেই ডেমো প্র্যাকটিস শুরু করেন। আর পাশাপাশি চালিয়ে যেতে থাকুন আপনার নিয়মিত স্টাডি। নিয়মিত স্টাডি যেভাবে ফিক্সড করেছেন সেভাবে ডেমো ট্রেডিং প্র্যাকটিসটা ফিক্সড করবেন।

স্টেপ ৩ #
ধরে নিলাম আপনার ব্যাসিক স্টাডি কোর্স শেষ এখন আপনি মোটামুটি ট্রেড বোঝেন এবং ট্রেড করতে পারেন। তাহলে এখন কি করবেন।
আসলে এখনি আপনি ডিসিশন নিবেন আপনার দ্বারা কি আসলেই ট্রেড সম্ভব? এতদিনের ফরেক্স শেখার অভিপ্রায় কতটা আপনাকে আনন্দ দিতে পেরেছে কিংবা যতটুকু ফরেক্স করেছেন তাতে আপনি কতটুকু হ্যাপি? নিজে নিজে এই প্রশ্নের উত্তরটা নিয়ে নিন, যদি আপনার উত্তরটা হয় আপনি বেশ উপভোগ করছেন এবং এই প্রকার আর্নিং কনসেপ্টটা আপনাকে বেশ আনন্দ দিচ্ছে তাহলে আমি বলব আপনি ফরেক্স করবেন বলে ডিসিশন নিতে পারেন। এবং আপনার পরবর্তী স্টেপ শুরু করুন। আর যদি এতোদিনের প্রচেষ্টায় আপনি নিজেকে এই প্রকার আরনিং সিস্টেম এর সাথে কোপ করাতে পারছেন না, কিংবা বিশয়টা আপনার ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না, আপনি ঠিক আনন্দ পাচ্ছেন না তাহলে আমি বলব আপনি জোর করে কিছু করতে যাবেননা, আপনাকে বুঝতে হবে এই প্রকার আর্নিং আপনার জন্য সুইটেবল না, আপনি আর জোর করে বেশিদুর চেষ্টা না করে আপনার পছন্দের অন্য কোন ব্যবসা করুন। কারন প্রথম অবস্থায় যতটুকু বুঝেছেন অন্তত আশা করি অতটুকু বুঝে গেছেন যে এটা একটা আর্ট আপনি যত ভালো-ভাবে আনন্দের সাথে সময় দিতে পারবেন আপনি তত তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবেন। তাই আপনার এসেসমেন্ট পিরিয়ড যেহেতু পজিটিভ না তাহলে আপনি এই প্রকার ব্যবসার চিন্তা বাদ দিন। কারন সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না এটা আপনি ভালো ভাবে জানেন।

স্টেপ - ৪ #
ঠিক আছে ধরে নিলাম আপনি ডিসিশন নিয়েছেন আপনি ট্রেড করবেন। তাহলে এখন সময় এসেছে নিজেকে মুল ট্রেডার রুপে তোলার। আপনি স্টুডেন্ট কিংবা, চাকুরীজীবী। আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মের বাইরে প্রতিদিন ১-২ ঘন্টা সময় বের করে নিন যেহেতু বিষয়টাতে আপনি বেশ আগ্রহি এবং ইনজয় করছেন।
এইবার হল আপনার দ্বিতীয় এসেসমেন্ট:- আমি খুব করে ভালো লাগার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছি, কারন জোর করে করা কাজের ফলাফল ভালো হয় না। এইবার আপনার স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক রেখে সম্পূর্ণ অপশনাল একটি বিষয় হিসেবে ফরেক্স প্র্যাকটিস করুন, অতিদ্রুত এই মার্কেট থেকে রিটার্ন আশা করতে যাবেন না। অতিরিক্ত একটি বিষয় হিসেবে এগুতে থাকেন এক পর্যায়ে আপনি যখন আবিষ্কার করবেন না আপনি ভালো ট্রেড করছেন এবং আপনার ৪-৬ মাসের রেগুলার অনুশীলন যদি আপনাকে সার্বিকভাবে পজেটিভ রেজাল্ট দেয় তাহলে আপনি ইনভেস্ট আর কথা চিন্তা করতে পারেন।

স্টেপ - ৫ #
মুলত আপনি এখন জেনে গেলেন যে ফরেক্স ট্রেডিং এর অনেক গুলো ফর্মুলা এবং অনেক স্ট্রেটিজি আছে। তেমনি আপনি আরো জানলেন যে একেকটি বিষয় দিয়ে একেকভাবে স্ট্রেটিজি তৈরি করা যায়। কিন্তু সবগুলো বিষয় দিয়ে একসাথে আবার ট্রেড করা সম্ভব নয়। তাই এখন আপনার কাজ হল ডিসিশন নেওয়া যে কোন স্টাইলে রেগুলার ট্রেড করবেন। আপনি জানেন যে মুলত ট্রেড করার ফর্মুলা তিনটাঃ
  • টেকনিক্যাল এনালাইসিস
  • ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস
  • এবং ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস ।
মুলত বেশিরভাগ ট্রেড হয়ে থাকে টেকনিক্যাল এনালাইসিস স্ট্রেটিজিতে এবং এই স্ট্রেটিজিই সবচেয়ে বড় এবং সময় সাপেক্ষ।

স্টেপ - ৬ #
ধরে নিলাম আপনি টেকনিক্যাল এনালাইসিস স্ট্রেটিজিতে ট্রেড করবেন বলে স্থির করলেন তাহলে এইবারকার লক্ষ্য হল টেকনিক্যাল টার্মস গুলো শেখা। আপনি ইতিমধ্য জেনে গেছেন যে ট্রেন্ড পাওয়ার ট্রেডিং এর জন্য বিশেষ পদ্ধতি হল ট্রেন্ড সনাক্ত করে ট্রেড করা সেই জন্য অনেক অনেক টুল এবং স্টাডি করতে হবে আপনাকে। আর তাই শুরু করে দিন বিভিন্ন প্যাটার্ন ড্রয়িং, অ্যান্ডস্ট্যান্ডিং এবং এক্সিকিউশন । এতে করে প্যাটার্ন সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা চলে আসবে তারপর এডভান্স পিভট পয়েন্ট এবং ফিভনাসি রিট্রেসমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করে দিন



স্টেপ - ৭ #
এই স্টেপে আপনি আরো একধাপ এগুবেন চার্ট নিয়ে, এতক্ষণ পর্যন্ত আপনি জেনে গেলেন প্যাটার্ন ড্রয়িং পূর্বক তাকে নিশ্চিত করতে হয় কিভাবে ফিভনাসি দিয়ে। এখন মুলত সেই কাজটি আবার করবেন আগের চেয়ে বেশী স্ট্রেনথ নিয়ে। চলে আসুন Trading Classic Chart Patterns ধরে, মুলত বইটী ফলো করার মাধ্যমে আপনি পরিষ্কার হয়ে যাবেন যে চার্ট প্যাটার্ন গুলো কতদুর কাজ করে কতটা ইফেক্টিভলি বিভিন্ন মার্কেট সিচুয়েশনে। আপনার রেফারেন্সে ভালো কোন চার্ট প্যাটার্ন বই থাকলেও সেটা ফলো করতে পারেন। মুলত উদ্দেশ্য একটাই। চার্ট প্যাটার্ন শেখার সাথে সাথে সবগুলো প্যাটার্ন একসাথে মাথায় নিতে যাবেন না এতো করে ভয়ংকর অবস্থা হতে পারে। তাই সামান্য কয়েকটা প্যাটার্ন আয়ত্তে আসার পর এগুলো দিয়ে নিজে নিজে ৪-৫ টা স্ট্রেটিজি দাড় করান এবং ডেমো ট্রেডিং এর মাধ্যমে এদের ট্রেডিং সাকসেস মার্ক করুন। এইভাবে এগুতে থাকুন।

স্টেপ – ৮ #
এইবার একটু সহজ স্বচ্ছ পথে এগুই , ইনডিকেটর MACD নিশ্চয়ই পেয়েছেন, একেবারে মামুলি ভাবার দরকার নাই এই ইনডিকেটরটাকে, কারন আপনি হয়ত জানেন না এই ইন্ডিকেটরের কত পাওয়ার, আপনি জেনে খুশি হবেন অনেক অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার যারা ফরেক্স থেকে অনেক বেশি টপ ইনকাম করছেন তাদের প্রিয় ট্রেডিং স্ট্রেটিজি কিন্তু MACD কে নিয়ে। তাই প্যাটার্ন যখন বুঝে নিয়েছেন এইবার MACD এর সাথে একটু মাথা খাটিয়ে স্ট্রেটিজির সুচনা করুন এবং নিয়মিত ট্রেড করুন। মনে রাখবেন আপনি ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার জন্য হাজার হাজার স্ট্রেটিজি পাবেন সবগুলোর রশাতলে যদি নিজেকে ফেলেন তাহলে আপনার আর ট্রেড করতে হবে না, তাই এতো স্ট্রেটিজি এক্সপার্ট হওয়ার দরকার নেই।

স্টেপ - ৯ #
আপনি অনেকদুর চলে এসেছেন এখন এতদূর পর্যন্ত যখন এসেছেন তাহলে নিশ্চয় ট্রেডও ভালো করছেন। তাহলে আপনি জেনে রাখুন যে আপনি দ্বিতীয় এসেসমেন্টেও পাশ করেছেন সো ফরেক্স আপনি করতে পারেন। এটা ফাইনাল। এখন সময় এসেছে এক্সপার্ট হওয়ার। সেটা কিভাবে সম্ভব? আসলে বিষয়টা খুব বেশী কঠিন নয় আপনার জন্য। এক্সপার্ট ট্রেডিং মানে কি? এটা কি কোন পদক বা কোন স্বীকৃতি? এক্সপার্ট ট্রেডিং হল আপনি ভালো ট্রেড করেন আপনার ম্যাক্সিমাম ট্রেডই প্রফিট করে এবং আপনি মার্কেট সম্পর্কে খুব ভালো জ্ঞান রাখেন এবং মার্কেট ভলাটিলিটি বুঝেন এবং সেই মতে ট্রেড করতে পারেন। এখন এই সব গুলো বিষয় কিন্তু আপনি এক রকম এনালাইসিসে পাবেন না, আপনাকে সেইজন্য জ্ঞান রাখতে হবে কারেন্সি ফলিং এবং রাইসিং ইস্যু সম্পর্কে যা আপনি ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসে অনেকটুকু পেয়ে যাবেন, মনে রাখবেন ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস মানে কিন্তু শুধু ইকোনমিক ক্যালেন্ডার রিড করতে পারা নয় বরং কি কি কারনে কারেন্সি ফ্লাকচুয়েট হয় তা ও জানা অর্থাৎ ইকোনমিক ডাটা পয়েন্ট সম্পর্কে জ্ঞান রাখাকে বুঝায়। তাই বুঝতে পারছেন আপনার টেকনিক্যাল এনালাইসিসের সাথে সাথে ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস কতটা জুরুরি।
আসুন এইবার আরেকটা কমন এনালাইসিস সম্পর্কে জানতে হবে আপনাকে, নিজেকে যদি ফরেক্স এক্সপার্ট রুপে গড়ে তুলতে চান। সেটি হল ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস । একেবারে মামুলি ভাবার দরকার নেই ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিসকে কারন অনেক ভিন্ন নেগেটিভ মতামত আছে ক্যান্ডেলস্টিক ভিবিন্ন প্যাটার্ন সম্পর্কে আমি নিজেও অস্বীকার করছি না, তবে কিছু ফর্মুলা দিতে পারি যাতে করে আপনার ট্রেড সাকসেস হতে পারে, খেয়াল করুন যখন আপনি টেকনিক্যাল এনালাইসিস করে ট্রেডে ঢুকতে জান তখন যদি সাথে সাথে আপনার ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নটা ও একটু মিলিয়ে নিতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার ট্রেডটা নেগেটিভ হওয়ার কথা নয়। এখন হয়ত মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে বা ভাবছেন এতো এনালাইসিস করতে করতেতো আর ট্রেড ই করা হবে না, প্রারতপক্ষে এখন এমন মনে হলেও আসলে ব্যাপারটা তা নয়। কারন আপনি বিভিন্ন এনালাইসিস সম্পর্কে যখন ভালো ধারনা নিয়ে আসবেন তখন একটা অর্ডারে বিভিন্ন এনানলাইসিস দিয়ে অর্ডারকে পজেটিভ করা কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার মাত্র তাই খাবড়াবেন না বস।

স্টেপ - ১০ #
হ্যাঁ, আপনি অনেক কিছুই জেনে গেছেন ফরেক্সে। তো এখন কি আর তাহলে শেখার কিছু নাই? শুধুই ট্রেড করবেন আর বেশী বেশী ডলার কামাতে থাকবেন? আমি আপনার স্বাদটাকে গুড়িয়ে দিচ্ছি না, তবে একটু মনে করিয়ে দিতে চাইছি যে ফরেক্স ট্রেডিং মার্কেট সারা বছর এক রকম থাকে না, আপনি যে স্ট্রেটিজিতে এখন ট্রেড করে প্রফিট নিচ্ছেন সেই একই স্ট্রেটিজি কিন্তু আরেকটি সময় অর্থাৎ বছরের অন্য আরেকটি মাসে সেই কাজ নাও দিতে পারে বা পুরোপুরি আপনার টার্গেট ফিল নাও করতে পারে কিংবা ট্রেড আপনার অর্ডারের বিপরীতে চলে যেতে পারে। তাহলে সারা বছর ট্রেড কিভাবে করবেন? নো-টেনশন বস ! আমি এমন বললে ও সব সময় এমন ঘটে না তবে একেবারে যে ঘটেনা তা কিন্তু নয় তাই একটু সাবধান করে দিলাম। এই ক্ষেত্রে সিমপ্লি আপনি সারা বছরকে তিনটা ভাগে ভাগ করে ফেলুন। যেমনঃ
  • অক্টোবর-জানুয়ারি,
  • ফেব্রুয়ারি-মে
  • এবং জুন-সেপ্টেম্বার।
খেয়াল করলে কিংবা ভালো ট্রেডিং এক্সপিরিয়েন্স হয়ে গেলে নিজেও ধরে ফেলতে পারবেন যে সারা বছরে মার্কেট যতই ভালো বা খারাপ থাকুক না কেন ৩-৪ টি টাইম সার্কেল আর বাইরে রিয়াক্ট করে না। তাই বাৎসরিক চার্ট ধরে আইডিয়াটা নিয়ে ফেলুন। হাঁপিয়ে উঠেছেন এতো সব স্টেপ ক্লিয়ার করতে করতে, আসলে আপনি তো বস একদিনে এগুলো করতে যাবেন না এবং পারবেনও না। তাই শেখার মাঝখানে যদি কিছুটা হলেও ক্লান্তি এসে যায় কিংবা একটু করে বিরক্তি কাজ করে তাহলে একটা শর্ট ব্রেক নিয়ে নেন, কারন বিরক্তির শিক্ষা আপনাকে আরো বিরক্ত করে ফেলবে তাই, রিফ্রেশ হয়েই আবার শুরু করেন তবে প্রতিদিন সামান্য করে এগিয়ে গেলে বিরক্ত হওয়ার কথা নয় বরং কিউরিসিটি আরো বেড়ে যাবে। কারন ফরেক্স হচ্ছে একটা টোটাল আর্ট যেখানে আপনার মেধার একটা চরম মূল্য পাওয়া যায়।
অবশ্য এতদূর আশার আগেই আপনি আপনার সাধ্যমত এমাউন্ট ইনভেস্ট করে অনেক অনেক ট্রেড করে ফেলেছেন আশা করি, তারপর ও রিকমন্ডিশন হিসেবে বলতে চাই, ভালো রিটার্ন চাইলে ভালো ইনপুট দিতে হবে। আমি বলছি না আপনি ৫০০,১০০০,২০০০ বা ৫০০০ ডলার দিয়ে ট্রেড শুরু করতে হবে শুধু বলতে চাই আপনি ট্রেড বুঝে গেছেন তাই আপনার সব দিক চিন্তা করে আপনার মত করে ইনভেস্ট করুন, হতে পারে সেটা $১০০০০ বা তারও বেশী। আপনার সব এনালাইসিস আর পাশাপাশি ইনভেস্টটা একটা বিরাট ফেক্টর, হ্যাঁ, আপনার কাছে হিউজ এমাউন্ট থাকতে পারে ইনভেস্ট করার মত কিন্তু আপনাকে ব্যাবহার করতে জানতে হবে রিস্কফ্রী ভাবে। আর আপনি যখন আমার আলোচনার এই পর্যায় পর্যন্ত শেখা শেষ করে ফেলতে পারবেন তাহলে আমি সিউর আপনাকে আর বলে দিতে হবে না আপনাকে কত ইনভেস্ট করতে হবে।

ইনভেস্ট ছাড়া কি ট্রেড করা সম্ভব?
উত্তরটা আমি খুব সিমপ্লি দিতে চাই, ইনভেস্ট ছাড়া ট্রেড করা সম্ভব নয় বস ! যখন এই মার্কেটে আছেন তখন শুনে থাকতে পারেন যে ফরেক্সের বিভিন্ন সাইট আছে যেখানে পোস্ট করলে বোনাস ডলার দেয় যা দিয়ে ট্রেড করতে পারা যায় কিংবা কোন কোন ব্রোকার তাদের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য ৫-১০ ডলার বোনাস দিয়ে থাকে। বিষয়টা সত্যি, এই সুযোগটা অনেকেই নিয়ে থাকে কিন্তু আপনি একজন প্রফেশনাল ট্রেডার কিংবা ভালো ডিসিপ্লিন এবং আনকন্ডিশনাল ট্রেডিং এর জন্য এমন চিন্তা করার দরকার নেই। বিষয়গুলো অনেকের কাছে অনেক পছন্দের হলে ও প্রকৃতপক্ষে এই উপায়ে ট্রেডিং মানি কালেকশন করতে গেলে মুল ট্রেডিং এর প্রতি আপনার ভালো লাগাটা হারিয়ে ফেলতে পারেন এবং আপনার বিজনেস সেন্টিমেন্টটা হারিয়ে যাবে আর কন্ডিশন অব্লাইজড করতে করতে আপনি বিরক্তই হবেন তাই এই সকল বিষয়ের প্রতি আসক্তি না রেখে সরাসরি ট্রেডে আসুন। এটাকে একটা বিজনেস হিসেবে চিন্তা করুন, সুযোগ সন্ধানী হওয়ার দরকার নেই। আর যেহেতু ব্যবসা-ই করতে বসছেন সো ইনভেস্ট ছাড়া প্রফিট হয় না সেটাতো জানেন, তা-ই মাথায় রাখুন।
যারা এখনো ফরেক্স এর কিছুই জানেন না কিন্তু আমার এই লিখাটা পড়েছেন তাদেরকেও বলছি আশা করছি আপনারা নতুন একটা ব্যবসার কনসেপ্ট পেয়েছেন এখন এই নতুন ব্যবসার জন্য আপনি কিভাবে এগুতে চান আপনার সব কিছু চিন্তা-ভাবনা মাথায় রেখে একটা প্ল্যান করুন ঠিক কিভাবে শুরু করতে চান। নিশ্চয়ই জানেন কোন কিছুর সুন্দর একটা শুরুই হল ঐ বিষয়ের অর্ধেক সমাপ্ত। এখন পর্যন্ত যারা ফরেক্স ট্রেড করে হয়রান, বিরক্ত, লুসার তাদের হিস্টোরি একটু রিসার্চ করুন দেখবেন তারা এলোমেলো ট্রেড করেছে কিংবা রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কিংবা মুল বিষয়গুলোর পর্যাপ্ত অনুশীলন ছাড়াই ট্রেড শুরু করেছেন। তাই আপনাদের বলছি স্বাভাবিক আর কয়টা ব্যাবসার মতই এটা চিন্তা করুন, ব্যবসার সফলতার মূলে যেমন রয়েছে কঠিন পরিশ্রম এবং অদ্ধাবসায়। হাঁ ফরেক্স যেহেতু একটি ভিন্ন ধারার ব্যবসা এখানে পরিশ্রম হল আপনার মেধার পরিশ্রম। তাই ব্যবসাটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এবং সবাই পারে না। অতিমাত্রায় উৎসাহিত হয়ে এক্সিডেন্ট করতে জাবেন না, কিংবা কারো কাছে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার মেথড হিসেবে এই ব্যবসাকে চিন্তা করবেন না।
ফরেক্স কি ফুল-টাইম না পার্টটাইম, প্রফেশন হিসেবে কেমনঃ
বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ফুল-টাইম ফরেক্স ট্রেডাররা সারাদিন সময় দিয়ে যে পরিমান ইনকাম করেন পার্টটাইম ট্রেডাররাও তা করতে পারেন। তাছাড়া ফরেক্সের টোটাল ট্রেডারদের ৬৫%+ হল পার্টটাইম ট্রেডার। তাছাড়া ফুল-টাইম ট্রেডাররা খুব ভালো মেন্টাল প্রেসার নিয়ে থাকেন যে কারণে তারা কিছুটা অলস প্রকৃতির হয়ে থাকে। অন্য কিছু খুব একটা তাদের ধারা হয় না হয়ে উঠেনা । শুরুর দিকে ফুল-টাইম হিসেবে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। মুলত ফুল-টাইম এবং পার্টটাইম ট্রেডিং এর মুল পার্থক্য হল প্রেসার, আপনি কত বেশী প্রেসার নিতে পারছেন। তাই বিষয়টাকে খুব বেশী জটিল করে না দেখে নিজের সেন্টিমেন্ট অনুসারে এগুতে থাকুন। আপনি ফরেক্স তিন ধরনের ক্যারিয়ারে বেশ ভালো সুবিধা করতে পারেন।
  • প্রফেশনাল ট্রেডার বা ইন্সটিটিউশনাল ট্রেডার।
  • ফরেক্স এনালিস্ট বা কারেন্সি রিসার্চার
  • E.A ডেভেলপার
এছাড়া ও রেগুলেটর এবং এক্সচেঞ্জ ম্যানেজার সহ নানা রকম আকর্ষণীয় পোস্টে অনেক হাই লেভেল জব করতে পারেন।
আপনি দক্ষ ট্রেডিং এ যদি একজন ভালো এনালিস্ট হতে পারেন তাহলে ট্রেডিং ছাড়াও আপনার জন্য আরেকটি বিশাল সম্ভাবনা আছে তা এনালিস্ট হিসেবে কাজ করা। সব ব্রোকারের, ভিবিন্ন ফরেক্স সার্ভিস প্রোভাইডারদের একটি বিশাল সেক্টর হচ্ছে কারেন্সি এনালাইসিস মুলত যে যত বেশী এবং যত ভালো ইফেক্টিভ এনালাইসিস গ্রাহকদের উপহার দিতে পারবে সেই তত ভালো মার্কেট দখল করতে পারবে আর সকল ফরেক্স প্রতিষ্ঠানের লং-জাম্প কিন্তু এই এক বিষয়তে হয়। তাই যদি নিজেকে একজন দক্ষ এনালিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে ফরেক্স প্রতিষ্ঠান গুলো আপনাকে লুফে নিবে এবং হাই রাইজ সেলারি দিবে যা হতে পারেন মাসিক ৩-৫ লক্ষ টাকা। আপনি আপনার ঘরে বসেই কাজটি চালিয়ে যাবেন আপনার দায়িত্ব অনুসারে যেভাবে আপনি আপনার ঘরে বসে ট্রেড করেন। তাই এই সেক্টরে সম্ভাবনা অনেক।

ফরেক্স মার্কেটে সফলতার মূল হল আপনার বিষয় হলঃ
ধ্যর্য + বিনম্রতা + শিক্ষা = সফলতা
তাই অনেকে অনেক সময় নিয়ে ট্রেড করছেন এবং ভিবিন্ন উপায়ে এনালিস্ট স্কিল তৈরি করছেন যেমনঃ চার্ট প্যাটার্ন, পিভট পয়েন্ট, ভিফনাসি রিট্রেস্মেন্ট, এলিয়ট ওয়েভ সহ নানা বিষয়ের গাণিতিক ব্যাখ্যাগুলো নিয়ে রিসার্চ করছেন এবং প্রাইস মুভমেন্ট বোঝার ক্ষমতা অর্জন করছেন। তাই যদি টার্গেট থাকে এনালিস্ট হবেন তাহলে তাহলে প্রথম থেকেই নিজের ট্রেডের ফর্মুলা গুলো নোট ডাউন করে রাখুন আপডেট করুন এবং প্রত্যেকটি স্ট্রেটেজির লজিক গুলোর একটি রুপ দাড় করান এইভাবে এগুতে পারেন। আসলে আপনি কিন্তু এনালিস্ট কারন আপনার প্রত্যেকটা ট্রেডে কিন্তু এনালাইসিস দরকার হচ্ছে যেভাবে আপনি ট্রেডে ঢুকেন। তাই বিষয়টার প্রতি সব সময় জোর দিন । অনুশীলন করতে করতে এক পর্যায়ে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার টার্গেটেড এরিয়া। তবে ঐ অবস্থানে পৌছাঁতে আপনাকে ৩-৫ বছর বা তার ও বেশী সময়ের একটা মাইল ফলক অতিক্রান্ত করতে হবে নিয়মিত অধ্যায়নের সাথে । তাই স্বাভাবিক ভাবেই কয়েকবছর ট্রেড করতে থাকুন ঐ সব বিষয়গুলো’র মাধ্যমে।

কিছু স্ট্রেইট কথাঃ মানলে সুফল পাবেন না মানলে দুর্ভোগে পড়তে হতে পারে।

১। লোন করে ট্রেড করবেন না।
২। টার্গেট ফিল করার জন্য ফোর্স ট্রেড করবেন না।
৩। লাইভ ট্রেডে যত টাকা ইনভেস্ট করবেন ঠিক তত দিয়েই ডেমো ট্রেড করুন।
৪। Yes বা No ফাংশনে ট্রেড অর্ডার করবেন না।
৫। মাঝে মাঝে ট্রেড থেকে বিরতি নিন।
৬। কম্পিটিশন করবেন না।
৭। সবগুলো ট্রেডের রেকর্ড রাখুন, পজেটিভ এবং নেগেটিভ ট্রেড কম্পেয়ার করুন। নেগেটিভ ট্রেড পর্যালোচনা করে শুধরে নিন।
৮। পরপর দুটি ট্রেডে পজেটিভ রেসাল্ট পেয়ে ৩ নাম্বার ট্রেডে ভলিয়ম বাড়িয়ে দিবেন না।
৯। মনে না চাইলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ট্রেড করবেন না।
১০। ট্রেড ওপেন করার আগে মিনিমাম ৫ মিনিট চার্ট এনালাইসিস করুন।

source: http://www.techtunes.com.bd/freelancing/tune-id/260888


একজন হতাশাগ্রস্থ ফ্রিল্যান্সার থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গল্পঃ আমি এবং ওডেস্ক

একজন হতাশাগ্রস্থ ফ্রিল্যান্সার থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গল্পঃ আমি এবং ওডেস্ক



হ্যাঁ গল্পটা আমারই। গল্পটা ভেবে রেখেছিলাম ৬ মাস আগে। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেদিন সফল হব সেদিনই এইটা শেয়ার করবো। একদিন এই গল্প লেখার মত সাহস ছিলনা আমার কিন্তু স্বপ্ন ছিল। আসলে এইটাকে গল্প বলা ভুল হবে, এটাতো বাস্তব।

শুরুর কথাঃ

আমার শুরুটা হয়েছিল ভুল পথে। প্রথম আমার ব্যাক্তিগত কম্পিউটার কিনি ২০০৯ এর সেপ্টেম্বরে। তার আগে শুধু পত্রিকায় পড়তাম অনলাইনে কাজ করে নাকি টাকা পাওয়া যায়। ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ছিল। তাই ভাবলাম আমিও অনলাইনে কাজ করব আর টাকা কামাবো।
২০১১ সালের নভেম্বর। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে ভাল ধারনা ছিল না। তারপরেও বিশাল একটা সুযোগ পেলাম টাকা ইনকাম করার। আর তা হল ক্লিক করে টাকা আয় করার। বহু কষ্টে ৫০,০০০ টাকা যোগার করে নেমে পরলাম ক্লিক মারতে। মনে মনে ভাবলাম আমারে আর ঠেকাই কে? খালি টাকা আর টাকা। বাবা মার অমতে আমার প্রেমিকাকে বিয়েও করে ফেললাম।
কিন্তু আমার ভুল ভাঙতে সময় লাগেনি। ৩-৪ মাস পরে ক্লিক কোম্পানি উধাও। নেমে এলাম বাস্তবের জমিনে।

হতাশাঃ

শুরু হল জীবন সংগ্রাম। জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে উঠল। আগে কোচিং করাতাম। বিয়ের পর সেটা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম বলে লোকলজ্জার ভয়ে সেটা আর ব্যক্তিগতভাবে চালু করতে পারিনি। কয়েকটা বড় ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল ক্লিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর। তারা শুধু বলত ভাই কাজ দিব তোমাকে। এভাবে কেটে গেল ৩-৪ মাস। কিন্তু কাজ আর পেলাম না। প্রচন্ড টাকার অভাব দেখা দিল। সেই দিন গুলো বর্ণনা করার ভাষা আমার নাই। শুধু একটা উদাহরন দেয় তাহলে বুঝতে পারবেন। আমার স্ত্রী কলেজে পড়ে। একদিন ১০ টা মাত্র টাকার জন্য আমার স্ত্রী কলেজে যেতে পারেনি।

সংগ্রামঃ

লোকলজ্জার ভয় ফেলে আমার এক ছোট ভাইয়ের কোচিং এ আবার পড়ানো শুরু করলাম। এত হতাশার মাঝেও আমি কিন্তু হাল ছারিনি। একদিন এক ভাইয়ের কাছে থেকে টেক-ইনফো বিডি নামের একটা ওয়েব সাইটের কথা শুনলাম। সেখান থেকে পেলাম টেকটিউনসের সন্ধান। এখানে এসে আমার উপলব্ধি হল যে আমি একজন মূর্খ। আমি আসলে কিছুই জানি না। তারপর বিভিন্ন ব্লগ পড়ে, গুগলে খুঁজে অনেক কিছু শিখতে লাগলাম। কিন্তু শিখতে গেলে তো মডেমে টাকা তুলতে হবে। সেই টাকা যোগাড় করাও আমার কাছে ছিলো কষ্টসাধ্য। এরপর captcha2cash নামক একটা ওয়েব সাইটে ক্যাপচা এন্ট্রির কাজ শুরু করলাম। ১০০০ ক্যাপচার জন্য $১। কিন্তু আসলে তারা ২০০০ ক্যাপচা এন্ট্রি করলে $১ দিত যা করতে আমার প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা সময় লাগত। ও হ্যাঁ এর মধ্যে ওডেস্কে একটা অ্যাকাউন্টও করেছিলাম। কিন্তু প্রোফাইলটা ছিল হ-য-ব-র-ল। পরে টেকটিউনসে বিভিন্ন লেখা পড়ে আমার প্রোফাইলটাকে মোটামোটি একটা লুক দিলাম। শুরু করলাম বিড আর বিড। এক সময় বিড করতে করতে যখন আমার পীঠ বাঁকা হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল তখন আশা ছেড়ে দিয়ে ভাবলাম ব্লগিং শুরু করব। অন্তত বিড করার ঝামেলা নাই।

ঠিক তখনি আমার পরিচিত এক ছোট ভাই(ওডেস্কে আমার সিনিয়র) একটা মারাত্মক সাজেশন দিল। ও আমাকে বলেছিল ভাই জীবনে যাই করেন, সেইটা প্রফেশনাল ভাবে করেন। ব্যাস! এই একটা কথায় আমাকে বদলে দিল। এরপর শুধু একটা কথায় মাথায় রেখেছি। ফ্রিল্যান্সিংই হবে আমার ক্যারিয়ার। যে করেই হোক আমি একদিন সফল হবই ইনশাল্লাহ।

সফলতার শুরু যেখানেঃ

আমি আমার প্রোফাইলটা আরেকটু ঘষামাজা করে আবার নতুন টেকনিকে বিড করা শুরু করলাম। আল্লাহর রহমতে এক সপ্তাহের মধ্যেই আমার প্রথম কাজটা পেয়ে গেলাম।
কাজটা হল eBay Australia এর প্রোডাক্ট অ্যানালাইসিস এবং রিসার্চ করা। প্রথম ২ দিন কাজটা বুঝতে পারিনি। তাছাড়া প্রথম কাজ বলে আমি একটু উত্তেজিতও ছিলাম। কিন্তু আমার ভাগ্য ভাল ছিল। কারন আমার বায়ার অসাধারন ভাল ছিল। সে আমাকে কাজের সব কিছুই ২-৩ বার ভাল করে বুঝিয়ে দিল। এবং আমি কাজটা করতে সমর্থ হলাম। সে ৪ জনকে হায়ার করেছিল। তার মধ্যে আমিই সবচাইতে বেশী কাজ করি। কাজটা ছিল $১/ঘণ্টা। আমি ৭০ ঘন্টা কাজ করেছিলাম। বায়ার আমার কাজে খুশি হয়ে আমাকে ৫ * ফিডব্যাক দিল এবং খুব ভাল একটা কমেন্ট করল।
এবার ভাবলাম আরতো চিন্তা নাই। আমার আর কাজের অভাব হবেনা। কিন্তু না অভিজ্ঞতা কম বলে পরবর্তী ২ মাসে আর কাজ পেলাম না ওডেস্কে। এদিকে fiverr.com একটা অ্যাকাউন্ট করে কয়েক দিনের মধ্যে ১০ টা কাজ পেলাম। এরপর ওডেস্কে আবার শুরু করলাম তুমুল প্রফেশনালভাবে। এইবার শুধু কাজ করা নয়, কাজ পাওয়ার এবং কাজ ধরে রাখারও কিছু টেকনিক শিখলাম।

বর্তমানঃ

এখন আল্লাহর রহমতে কাজ সব সময় থাকে। আমি মুলত ওয়েব রিসার্চ এবং ডাটা এন্ট্রির কাজ করি। মাঝে মাঝে কাজের চাপ খুব বেড়ে যায়। মাসে ২০০ ঘন্টার বেশি কাজ করিনা। কারন আমার একটা ব্লগ আছে। ওইটাতে একটু সময় দেই। কোন এস,ই,ও না করেও শুধুমাত্র কনটেন্টের জোরে সেদিনের সেই মূর্খ লোকটার ব্লগ এখন গুগলের প্রথম পাতায় ২য় অবস্থানে আছে কয়েকটা কিওয়ার্ডের জন্য।
আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া। আর আপনারা আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

উপসংহারঃ

আমি কোন প্রতিষ্ঠান বা বড় ভাইয়ের থেকে ট্রেনিং নিয়ে কাজ শিখিনি। যা শিখেছি তা সবই ইন্টারনেট থেকে। টেকটিউনসেরও বড় অবদান আছে এতে। ধন্যবাদ টেকটিউনস পরিবারের সকল ব্লগারদের যারা বিনা স্বার্থে মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ ধন্যবাদ জানাই আমার ছোট ভাই মাহবুব আর ফিহাদকে যারা আমার বিপদে সাহায্য করেছে।
পরিশেষে একটা কথায় বলবো পরিশ্রম করুন সফলতা আসবেই। কারন আল্লাহ কেবল পরিশ্রমী ব্যাক্তিদেরই ভাগ্য পরিবর্তন করে।
Source: http://www.techtunes.com.bd/freelancing/tune-id/199863

এসইও – ওয়েব সাইট ডোমেন । SEO – Web Site Domain

এসইও – ওয়েব সাইট ডোমেন । SEO – Web Site Domain



আমরা যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে ১০০% ধরি এবং একে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করি তাহলে দেখা যাবে যে এর মধ্যে প্রায় ২০% ই হলো ডোমেন নেইম এর তথ্য। তাহলে চিন্তা করুন ডোমেনের নামকরণ বা এর সঠিক তথ্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এসইও করার সময় প্রথমেই আপনাকে নজর দিতে হবে আপনার ডোমেইনের নামের দিকে। লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যে বিষয় নিয়ে এসইও করতে যাচ্ছেন সে বিষয় এর সাথে আপনার ডোমেইন নামের মিল থাকে।

যখনই আপনি ইন্টারনেট এর মাধ্যমে একটি ব্যবসা শুরু করার চিন্তা করছেন, আমার মনে হয় যে আপনি প্রথমে আপনার ওয়েবসাইট ডোমেইন নাম নিয়ে ভাববেন। একটি ডোমেন নাম চয়েজ করার আগে আপনার নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিতঃ
  1. আপনার লক্ষ্য পাঠকবর্গ কারা হবে?
  2. আপনি তাদের কাছে কি বিক্রি করতে মনস্থ করেছেন। এটা কি একটা বাস্তব আইটেমট বা শুধু টেক্সট কন্টেন্ট ?
  3. কি আপনার ব্যবসায়িক ধারণাকে ইউনিক করে তুলবে অথবা বাজারে ইতিমধ্যে available যা অন্য সব কিছুর থেকে আলাদা হবে ?
অনেকে ডোমেইন এর মধ্যে কীওয়ার্ড থাকাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। ডোমেইন নামে কীওয়ার্ড বা মূলশব্দ সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এটা সাধারণত ডোমেইন নাম, সংক্ষিপ্ত স্মরণীয় (সহজে মনে থাকে) এবং হাইফেনবিহীন হলে সম্ভব হতে পারে।
আপনার ডোমেইন নাম এর মধ্যে কীওয়ার্ড ব্যবহার আপনার প্রতিযোগীদের থেকে আপনাকে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেয়। আপনার ডোমেইন নাম এর মধ্যে কীওয়ার্ড থাকলে সার্চ ইঞ্জিন লিস্টে ক্লিক-মাধ্যম- হার বৃদ্ধি করতে পারে এবং শব্দ সমৃদ্ধ বর্ণনামূলক আগমনকারী লিঙ্ক পেতে কীওয়ার্ডের ব্যবহার যা বিজ্ঞাপন দেওয়াকে সহজ করে তুলে।

দীর্ঘ এবং বিভ্রান্তিকর ডোমেইন নাম কেনা থেকে এড়িয়ে চলুন। অনেক মানুষ ড্যাশ বা হাইফেন ব্যবহার করে তাদের ডোমেইন নামের মধ্যে শব্দ আলাদা করে থাকে। আগে ডোমেইন নাম নিজেই একটি গুরুত্বপূর্ণ র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর ছিল কিন্তু এখন সার্চ ইঞ্জিনের উন্নত বৈশিষ্ট্য আছে এবং এটি আর এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর নেই। আপনার ডোমেন নাম এর মধ্যে দুই থেকে তিন শব্দ রাখুন মনে রাখা সহজ হবে। কিছু সর্বাদিক লক্ষণীয় (notable) ওয়েবসাইট তাদের নিজস্ব শব্দ তৈরি করে ব্র্যান্ডিং এর কাজ করে। যেমন কয়েকটি উদাহরণ ইবে, ইয়াহু!, এক্সপিডিয়া, স্ল্যাশডট, Fark , উইকিপিডিয়া, গুগল ইত্যাদি।

আপনাকে একবার টেলিফোনে এটা বলতে সক্ষম হওয়া উচিত এবং অন্যান্য ব্যক্তি এটির বানান কিভাবে জানতে পারে এবং আপনি কি বিক্রি করছেন তারা যেন সেটা অনুমান করতে পারে।
গুরু মন্ত্র
অবশেষে, আপনাকে নিম্নলিখিত প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হতে হবেঃ
  1. কেন আপনি আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান?
  2. কেন মানুষ আপনার সাইটে থেকে কিনবে এবং অন্যান্য সাইট থেকে কেন নয়?
  3. কি অন্যদের থেকে আপনার সাইটকে আলাদা করে তোলবে ?
  4. কে আপনার লক্ষ্য পাঠক এবং আপনি কি বিক্রি করতে মনস্থ করেছেন?
  5. আপনি কি মনে করেন যে তালিকা 5 থেকে 10 ওয়েবসাইটগুলো আশ্চর্যজনক এখন চিন্তা করুন কেন তারা আশ্চর্যজনক?
  6. 5টি বিভিন্ন ডোমেইন নাম তৈরি করুন। তাদের মধ্যে অন্তত 1টা মজার করুন। অর্ধ ডজন মানুষকে বলুন এবং কোনটি সবচেয়ে বেশী স্মরণ থাকে। সেই মানুষগুলো যদি আপনাকে ভাল না জানে তাহলে আপনি আরো সৎ প্রতিক্রিয়া পাবেন।
  7. আপনার ডোমেন কিনুন যা catchy, স্মরণীয় এবং আপনার ব্যবসা প্রাসঙ্গিক ।

source: http://bangla.salearningschool.com/seo-web-site-domain/

এসইও এর জন্য কনটেন্টই সেরা । SEO – Content is the King


2015

এসইও এর জন্য কনটেন্টই সেরা । SEO – Content is the King


কনটেন্টই মূলত এই সাইটে আপনি কি কি দেখাতে চান। যেমন টেক্সট, গ্রাফিক্স, এমনকি অন্যান্য ওয়েবসাইটের লিঙ্ক। আপনার সাইডে অত্যধিক গ্রাফিক্স ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এতে করে আপনার ওয়েব সাইড লোড হতে সময় নিবে।
আপনার ওয়েবসাইডকে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি কিভাবে করবেন তার জন্য হাজার হাজার লেখা, বই এবং ফোরাম সাইড পাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনাকে একটি নিয়ম অব্যশই মানতে হবে যে, স্বতন্ত্র, উচ্চ মানের কনটেন্ট।

স্বতন্ত্র, উচ্চ মানের কনটেন্ট

যখন মানুষ কোন তথ্যের জন্য কোন ওয়েবসাইডে যায়, তখন সে উক্ত ওয়েবসাইড হতে অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র কিছু পেতে চায়। বর্তমান সময়ে, সার্চ ইঞ্জিন খুব স্মার্ট হয়েছে এবং তারা ব্যাকরণ এবং শব্দগুচ্ছ সম্পূর্ণ বুঝতে সক্ষম হয়েছে।

এসইও কনটেন্ট লিখন (কপি লেখা)

এসইও কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নলিখিত বিষয় গুলো অব্যশই মেনে চলতে হবে।
  1. কনটেন্ট সুনির্দিষ্ট লোকদের জন্য লিখতে হবে।
  2. কীওয়ার্ড ডেনসিটির জন্য সার্চ ইঞ্জিন নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
  3. শিরোনাম অব্যশই আকর্ষণীয় এবং ভিজিটরদের কাছে আকর্ষক হতে হবে।
  4. বিভ্রান্তিকর, দ্ব্যর্থক, এবং জটিল ভাষা ব্যবহার করা যাবে না।
  5. আপনার ওয়েব পেজকে সংক্ষিপ্ত করতে হবে।

ভাল কনটেন্ট এর অন্যান্য উপকারিতা

এটা শুধু এসইও নয় এর মাধ্যমে আপনি আপনার মনের চিন্তা শক্তি অন্যের কাছে উপস্থাপন করতে পারবেন। অনেক কারণেই আপনার সাইট জনপ্রিয় হতে পারে।
  • আপনার সাইডে যদি স্বতন্ত্র কিছু থাকে তবে লোকজন আপনার সাইডে ভিজিট করার জন্য অন্যকে উপদেশ দিবে।
  • অন্যান্য ওয়েবমাষ্টার আপনার সাইডের লিংক অন্য সাইডে দিবে।

উপসংহার

সৃজনশীল স্বতন্ত্র কনটেন্ট খুব কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, এসইও এর নিয়ম আপনার কনটেন্টকে একটি ভাল অবস্থানে নিয়ে যাবে। এটা শুধু সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য নয় বরং এটা আপনার মূল্যবান ভিজিটরের জন্য। ভিজিটর হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইডের একটি সম্পদ। তাই কনটেন্ট এর জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম ও সময় দিতে হবে।

এসইও – টাইটেল অপটিমাইজেশান । SEO – Title Optimization


62015

এসইও – টাইটেল অপটিমাইজেশান । SEO – Title Optimization



কি খবর সবার? সবাই ভালতো । আজ আমি অনেক গুরুত্বপুর্ণ একটা বিষয় এসইও – টাইটেল অপ্টিমাইজেশান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো । তাহলে চলুন শুরু করা যাক …। চলুন
প্রথমেই আমরা এসইও কী, এর ব্যবহার এবং পরিচিতি দেখি…।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (ইংরেজি: Search Engine Optimization) বা সংক্ষেপে এসইও (SEO) হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সার্চ বা অনুসন্ধান ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়। সাধারণত একটি সার্চ ইঞ্জিনের ওয়েব ক্রাউলার বা সার্চ রোবট বিভিন্ন সময় কিংবা কোনো নির্দিষ্ট সময় ওয়েবে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে বেড়ায় এবং তখনকিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য খুঁজে বেড়ায়। ওয়েবসাইটের সেই সকল বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করে ওয়েবসাইটকে সার্চ রোবটের কাছে তথ্যসমৃদ্ধ করার কাজটিই মূলত প্রকৃত চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকে এসইও’র। রোবট সাধারণত একটি ওয়েবসাইট ক্রাউল করার বা ঘুরে বেড়ানোর সময় যে বিষয়গুলোতে দৃষ্টিপাত করে, সেগুলো হচ্ছেঃ
  • ওয়েবসাইটের টাইটেল বা নাম
  • ওয়েবসাইটের ডেসক্রিপশন বা বিবরণ
  • ওয়েবসাইটের মেটা ট্যাগ
  • ওয়েবসাইটের সাইট ম্যাপ
  • ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর টাইটেল বা নাম
  • ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর অল্ট বিবরণ
  • ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর ক্যাপশন ইত্যাদি
এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে দৃষ্টিগোচর করার কাজটিই এসইও’র মূল কাজ বলে পরিগণিত হয়। আজ আমরা দেখব এসইও এর টাইটেল অপ্টিমাইজেশান সম্বন্ধে-

এসইও – টাইটেল অপটিমাইজেশান

একটি HTML টাইটেল ট্যাগ হেড ট্যাগ এর ভিতরে থাকে। পেজ টাইটেল (পেজের জন্য হেডিং দিয়ে বিভ্রান্ত করা যাবে না) আপনার ব্রাউজার উইন্ডোর টাইটেল বারের মধ্যে যা প্রদর্শন করা হয় এবং আপনি যখন একটি পেজ বুক্মার্ক করেন তখন যা প্রদর্শন করে অথবা আপনার ব্রাউজারে পছন্দের তালিকায় যা যোগ করা হয়।
এটি ওয়েব পেজ এর একটি জায়গায় আপনার কীওয়ার্ড অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজের টাইটেলের মধ্যে কীওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার গুগল এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ – বিশেষ করে হোমপেজের জন্য। আপনি যদি আপনার সাইট অপটিমাইজের জন্য কিছু না করে থাকেন তাহলে এটি করতে অবশ্যই মনে রাখবেন!
এখানে একটি ওয়েব পেজ -এর টাইটেল ডিজাইন করার সময় কিছু বিবেচ্য বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে:
  1. টাইটেল ৯ ওয়ার্ড বা ৬০ অক্ষর দ্বারা গঠিত উচিত
  2. টাইটেলের খুব প্রারম্ভে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন
  3. আপনার কোম্পানীর নাম যদি খুব ভালোভাবে পরিচিত না হয় তাহলে টাইটেলে আপনার কোম্পানীর নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন না

টাইটেল তৈরী করার জন্য সর্বোত্তম উপায়

এখানে পেজের টাইটেল তৈরি করার জন্য কিছু পদ্ধতি দেওয়া হয়েছে যা আপনি অনুসরণ করতে পারেনঃ
  1. প্রতিটি পেজের জন্য একটি ইউনিক টাইটেল রাখতে হবে।
  2. সম্বব হলে, প্রতিটি পেজের প্রতিটি টাইটেল এ প্রাথমিক কীওয়ার্ড ফ্রেজ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  3. আপনার হোম পেজের টাইটেল প্রাথমিক কীওয়ার্ড ফ্রেজ দিয়ে আরম্ব করুন যা সেরা সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড ফ্রেজ অনুসরণ করে।
  4. আপনার নির্দিষ্ট পণ্য, সেবাবা কন্টেন্ট পাতায় আপনার প্রধান কীওয়ার্ড ফ্রেজ আরো সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করুন।
  5. যদি আপনার কোম্পানীর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয় তাহলে টাইটেল এর শেষে করুন
  6. কীওয়ার্ডের জন্য বহুবচন বা একবচন এর সেরা ফর্ম ব্যবহার করুন যা WordTracker এর অনুসন্ধান এর ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়।
  7. টাইটেলে আপনার কীওয়ার্ড 2 থেকে 3 এর অধিক পুনরাবৃত্তি করবেন না।
  8. এটি নিশ্চিত করুন যে <title> ট্যাগ আপনার পেজের <head> বিভাগের প্রথম উপাদান।  এটি Google এর জন্য পেজটি খুঁজে পাওয়া সহজ করে।
আজকের মত এই পর্যন্ত। আশা করি সবার খুব ভাল লেগেছে । পরবর্তি টিউটোরিয়ালে এসইও নিয়ে আরো অনেক কিছু লিখব। সবাই ভাল থাকবেন আর কোন জায়গায় বুঝতে কোন সমস্যা হলে নিশ্চই কমেন্ট করবেন ।

Source: http://bangla.salearningschool.com/

এসইও – প্রাসঙ্গিক ফাইলের নাম । SEO – Relevant Filenames

এসইও – প্রাসঙ্গিক ফাইলের নাম । SEO – Relevant Filenames

গুগলে কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিলে আপনার ওয়েবসাইট এর পেজ যদি সেই একই কিওয়ার্ড থাকে তাহলে টা সার্চ ইঞ্জিন এ প্রদর্শিত হবে।

ফাইল এর নামকরন যেভাবে করবেন

  1. ফাইল এর নামে সাধারনত বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করবে সেটা সংক্ষিপ্ত না বর্ণনামূলক হবে।
  2. পেজ টাইটেল এ যে কিওয়ার্ড করবেন, ফাইল নাম এ ঠিক একই কিওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
  3. জেনারিক ফাইলের নাম যেমন, “job.htm, service.htm”  এগুলো ব্যবহার করা হতে বিরত থাকবেন।
  4. নামের বিভিন্ন অংশগুলোকে যদি পৃথককরনের প্রয়োজন পরে তাহলে আন্ডার স্কর বাদ দিয়ে হাইফেন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  5. সম্ভব হলে শুধুমাত্র ২ টা কিওয়ার্ডস ব্যবহার করুন।

ফাইল নামের উদাহরন

কিছু কিছু আদর্শ নামের উদাহরন নিম্নে উল্লেখ করা হল,
  • slazenger-brand-balls.html
  • wimbledon-brand-balls.html
  • wilson-brand-balls.html
লক্ষ্য করবেন যে, ফাইল নামের এ বিভিন্ন অংশ হাইফেন দ্বারা সংযুক্ত আছে।

ফাইল নামের শেষের অংশ

ফাইল নামের শেষের অংশ যেমন, .htm, .php, .html ইত্যাদি আপনার সাইট এর জন্য গুগল রাঙ্ক এ কোন অবস্থান নির্ণয়ে অবদান রাখে না। এটা শুধু ওয়েব সার্ভার কে বলে দেয়, ফাইল টি সাধারনত কিভাবে খুলবে।

যে বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখতে হবে

  1. ফাইলএর নাম ছোট, সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক রাখার চেষ্টা সবসময় করতে হবে।
  2. ফাইলের নামে ৩-৪ টা কিওয়ার্ডস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এবং লক্ষ্য রাখুন সেগুলো যেন সার্চ ইঞ্জিনেও প্রকাশিত হয়।
  3. উপ- ডিরেক্টরি গুলোতে যথাসম্ভব ছোট নাম ব্যবহার করার চেষ্টা করবে।
  4. ফাইলের আকার ১০১ কিলোবাইটে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করুন। গুগল সাধারণত নির্দিষ্ট আকারের বড় ফাইল প্রকাশ করে না।

source: http://bangla.salearningschool.com/

এসইও অনুকূল কীওয়ার্ড । SEO – Optimized Keywords

FEB252015

এসইও অনুকূল কীওয়ার্ড । SEO – Optimized Keywords

এসইও- কীওয়ার্ড অপটিমাইজড

একটি কীওয়ার্ড একটি শব্দ। কীওয়ার্ড ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে কোন তথ্য বা ওয়েব সাইড খূঁজে পায়। অধিকাংশ মানুষ দুই থেকে পাঁচ শব্দ গঠিত বাক্যাংশ সার্চ ইঞ্জিন এর অনুসন্ধান লিখে থাকে। বাক্যাংশ, শব্দ বাক্যাংশ, প্রশ্নের সাথে বাক্যাংশকে শুধু কীওয়ার্ড বলা যেতে পারে। ভাল শব্দ বাক্যাংশ নির্দিষ্ট এবং বর্ণনামূলক হয়ে থাকে।
কীওয়ার্ড সম্পর্কিত নিম্নলিখিত ধারণা একটি ওয়েবপেজ নিখুঁত ভাবে খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

কীওয়ার্ড ফ্রিকোয়েন্সি

একটি কীওয়ার্ড একটি ওয়েবসাইট শিরোনাম বা বর্ণনার সাথে মিল রেখে প্রদর্শিত করে। আপনি চাইবেন না যে আপনি “স্প্যামিং” বা শব্দ ঠাসাঠাসির জন্য আপনার সাইটটি আগে প্রদর্শিত না হয়, একটি কীওয়ার্ড এর পুনরাবৃত্তি সার্চ ইঞ্জিনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
সাধারণভাবে একটি অনুচ্ছেদ বা আর্টিকেলে আপনার কীওয়ার্ড ৩-৭ বার পর্যন্ত হতে পারে এটা স্বাভাবিক এতে করে এসইও-অপটিমাইজেশন এর উপর খারাপ কোন প্রভাব পরবে না।

কীওয়ার্ড প্রক্সিমিটি

একটি অনুসন্ধান শব্দ কীওয়ার্ড এর সাথে সমন্বয় করা যেতে পারে। কিওয়ার্ড প্রক্সিমিটি বলতে অনুসন্ধান শব্দসমষ্টি এর সাথে প্রতিটি পৃথক শব্দের পার্থক্য বোঝায়। কিছু ক্ষেত্রে, এর কীওয়ার্ড হিসাবে অনুরূপ অর্থের সাথে মিল বোঝায়। সার্চ ইঞ্জিন, যে কীওয়ার্ড এর সাথে মিল পায় সেই ওয়েবপেইজ আপনার কাছে উপস্থাপন করে।

কীওয়ার্ড এর বৈশিষ্ট্য

এটি একটি ওয়েবপেইজ তাড়াতাড়ি বা দ্রুততার সাথে খোঁজে পায়। শিরোনামে এবং একটি পৃষ্ঠার প্রথম অনুচ্ছেদের (প্রথম ২০ শব্দ) মধ্যে কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল হয়।

কীওয়ার্ড বসানো

একটি ওয়েবপেজে কিভাবে এবং কোথায় কীওয়ার্ড স্থাপন করা হবে সেই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, পেজ শিরোনামের মধ্যে বা হেডিং ট্যাগ-এ কীওয়ার্ড বসালে অধিকাংশ সার্চ ইঞ্জিনে এটি আরো বেশি ভাল কাজ করে।

কীওয়ার্ড এর ব্যবহার

কীওয়ার্ড কিভাবে ব্যবহার করবেন তার একটি তালিক দেওয়া হলো।
  • Keywords in thetag(s) or other headline tags.
  • Keywords in the keywords link tags.
  • Keywords in the body copy.
  • Keywords in alt tags.
  • Keywords in <!– insert comments here> comments tags.
  • Keywords in the URL or website address.

কীওয়ার্ড খোঁজা

আপনার ওয়েব সাইটের জন্য কীওয়ার্ড খুঁজে বের করার বিভিন্ন উপায় আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভাল হলো Google Keyword Tool ব্যবহার করা।

শব্দ স্টেমিং কি?

গুগল এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি স্টেমিং ব্যবহার করে। যেখানে এক বচন শব্দ এবং বহু বচন শব্দ সকল ধরনের শব্দ ধরতে পারে ।

Source: http://bangla.salearningschool.com/