Content

ফ্রিল্যান্সিং এ কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌছানোর তিনটি মূল মন্ত্র… (আমার ৫০ তম টিউন, প্রায় ২১০০ শব্দের গিগা টিউন)













"ফ্রিল্যান্সিং"  ইদানীং কালের ইন্টারনেট ইউজারদের জন্য একটা হট টপিক, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোর জন্য। গত কিছুদিন যাবত ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন জরিপে আমাদের দেশ - এর বেশ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষের জন্যে এটি সৌভাগ্য যে আমরা এখন দেশে বসেই অন্য দেশের কাজ করে নিজেদের প্রয়োজনীয় টাকা আয় করতে পারছি, যদিও সবাই এ বিষয়ে সফল না। সফল না হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ গুলোর মধ্যে ইংরেজি কম জানা, ধৈর্য না থাকা, রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাওয়ার চিন্তা(!!), নিজের ক্ষমতার বাইরের কাজ করতে চাওয়া(যে কাজ পারবেনা সেই কাজ করতে যাওয়া), কোন বিষয়ে শক্ত ভিত্তি নেই তবুও সে কাজ করতে যাওয়া ইত্যাদি অন্যতম।
তবে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার চিন্তাটা কেমন যেন বোকা টাইপের চিন্তাভাবনা, বাহিরের দেশের মানুষরা(উন্নত) অন্য দেশের মানুষকে(তুলনামূলক কম উন্নত) দিয়ে কাজ করাচ্ছে তাদের ব্যয় কমানোর জন্য। তারা কারো জন্য টাকার বস্তা নিয়ে বসে নেই, এক কাজে একাধিক মানুষ আবেদন করবে সেটাই স্বাভাবিক, আর এর মধ্যে আপনাকে ভেঙ্গে না পড়ে নিজের সেরাটুকু দিয়ে যান, সব কাজ যে আপনি পাবেন এমটি ভেবে বসবেন না। ভালো ভালো ফ্রিল্যান্সাররাও অনেক গুলো কাজে আবেদন করে খুব অল্প সংখ্যকই কাজ পায়। আপনি প্রতিদিন বিভিন্ন প্রজেক্টে আবেদন করুন, ভালো কাজ পারলে এবং যে কাজ দিয়েছে তাকে বিভিন্ন  স্যাম্পল দেখিয়ে এবং ভালো ব্যবহার করে যদি আকৃষ্ট করতে পারেন তবেই আপনি কাজ পাবেন, তাছাড়া পাবেন না। মাসে মাত্র ৪-৫টা ভালো মানের কাজ করতে পারলেই কিন্তু আর কাজ করার প্রয়োজন হয় না।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্যে কোন লক্ষ্য ঠিক না করেন তবে আপনি সফল হতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক, এর ব্যতিক্রমও যদি হয়ে থাকে তবে সেটা হবে কাকতালীয়। একজন ভ্রমণকারীকে যেমন ঠিক করতে হয় কোথায় ভ্রমণ করবেন অর্থাৎ তার গন্তব্য কোথায় অনেকটা তেমনি একজন ফ্রিল্যান্সারকেও ঠিক করতে হবে তার গন্তব্য কোথায়।
অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সারই বোঝেন যে ফ্রিল্যান্সিং এ নির্দিষ্ট লক্ষ বা গন্তব্য থাকা আবশ্যক। কিন্তু অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সারই যেটা বোঝেন না বা বুঝেও করেন না সেটা হলো কিভাবে গন্তব্য তৈরি করতে হবে এবং কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌছতে হবে।
নিজের ফ্রিল্যান্সিং লক্ষ্য তথা গন্তব্য খুব সহজ ভাবেই সেট করা এবং সেটা কায়েম করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। ইচ্ছাশক্তি, দক্ষতা আর লক্ষে পৌঁছানোর জন্যে মনোবল ও আত্মবিশ্বাস থাকলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছানো সম্ভব। যা কিনা যেকোনো ফ্রিল্যান্সারকে আরো একটিভ এবং সফল করে তুলতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং এ কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছানোর তিনটি মূল মন্ত্র তথা ধাপ তুলে ধরা হল:

প্রথম ধাপ: ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার নিজস্ব লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিন...

আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই, লক্ষে পৌঁছানোর জন্যে লক্ষ নির্ধারণই প্রথম মন্ত্র। আপনি কখনোই কোন লক্ষের দেখা পাবেন না যদি না আপনার নিজস্ব কোন লক্ষ থেকে থাকে।
তাই নিজের লক্ষ নির্ধারণই আপনার প্রথম কাজ। লক্ষ নির্ধারণ করুন, এক্ষেত্রে আপনাকে রিয়েলিস্টিক এবং সৎ হতে হবে। যা চান ঠিক সেদিকেই আগাবেন, এর অন্যথা করবেন না। লক্ষ পূরণের মাঝপথে থেমে গেলে মনোবল নষ্ট হবে। তাই ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা ভাবনা করুন, ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার উদ্দেশ্য কি এবং লক্ষ কি। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ কতদুর এগোতে চান এর উপর নির্ভর করে আপনার লক্ষ সিলেক্ট করুন। লক্ষ নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন:
  • ১.নিজের যোগ্যতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে লক্ষ নির্ধারণ করুন। ফ্রিল্যান্সিং এ যোগ্যতাই সব। যোগ্যতা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করা কোন মতেই উচিত হবে না।
  • ২.নিজের সাধ্যমত লক্ষ নির্ধারণ করুন। সফলতা না পেলে ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সিং এ নেমে পড়া কারও জন্যে সমীচীন নয়। তাই দিনে কতটুকু সময় আপনি আপনার লক্ষ পূরণে ব্যয় করতে পারবেন আর কোন কোন সময় আপনি পুরোপুরি লক্ষ পূরণে দিতে পারবেন সেটার উপর ভিত্তি করে লক্ষ নির্ধারণ করুন। মনে করুন, আপনি চাচ্ছেন শুধুমাত্র বড় বড় কাজ গুলো করতে যা করতে আপনাকে দিনে ১০-১২ ঘণ্টা ব্যয় করতে হবে।
কিন্তু একজন ছাত্র, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ীর জন্যে ১০-১২ ঘণ্টা ম্যাসেজ করা বেশ কঠিন ব্যাপার। তাও প্রতিদিনই সময় দেয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তাই আপনি সাধ্যমত যতটুকু সময় ব্যয় করতে পারবেন তার উপর ভিত্তি করে লক্ষ নির্ধারণ করুন
অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সার যারা নিজেদের লক্ষ নির্ধারণ করে ফেলেছেন তাদের মধ্যে বেশ সামঞ্জস্য রয়েছে। বলা যায় তারা অনেকটা একই রকম লক্ষ নির্ধারণ করে। নিচে বেশ কিছু কমন লক্ষ দেয়া হল:
  • আমার ইনকাম বা আয় X টাকা পর্যন্ত করতে হবে।
  • নিজেকে এবং নিজের সংসারকে পুরোপুরি সাপোর্ট দিতে হবে, এজন্যে প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করতে হবে।
  • প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে X ঘণ্টা সময় দিতে হবে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্যে।
  • ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি নিজের পারসোনাল লাইফের জন্যে কম করে হলেও X ঘণ্টা সময় হাতে রাখতে হবে।
  • ফুল-টাইম ফ্রিল্যান্সার হবো এবং নিজের একটা ব্র্যান্ড তৈরি করবো।
  • X জনে ক্লায়েন্ট ম্যানেজ করতে হবে, যাদের থেকে নিয়মিত কাজ পাবো।
  • X সংখ্যক কাজ প্রতি মাসে করতে হবে।
  • ভালো একটা ফ্রিল্যান্সিং টিপ তৈরি করতে হবে।
বি.দ্রঃ Xকে আপনার কাঙ্ক্ষিত সংখ্যা দিয়ে পূরণ করুন
উপরের লক্ষগুলো ছাড়াও আপনার নিজস্ব আরো হাজারো লক্ষ থাকতে পারে। কারো একাধিক লক্ষও থাকতে পারে, এতে সমস্যা নেই। আপনি নিজের লক্ষ পূরণে অবিচল থাকুন, সফলতা আসবেই। তো আশা করি যাদের লক্ষ ছিলো না তারা লক্ষ নির্ধারণ করে ফেলেছেন 😉 ।

দ্বিতীয় ধাপ: নির্ধারণ করে নিন কি কি লাগবে আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ তথা সোনার হরিণ পেতে...

আপনি হয়তো একটি বা একাধিক লক্ষ নির্ধারণ করে ফেলছেন যে লক্ষে আপনাকে পৌছুতেই হবে। এবার ক্যালকুলেট করে ফেলুন আপনাকে কি কি করতে হবে লক্ষে পৌছুতে। কখনোই সহজ পথে এগোবেন না, ফ্রিল্যান্সিং এ অল্প বিদ্যা প্রয়োগ করতে গেলে কখনোই মহৎ কিছু সম্ভব না। তাই আপনার লক্ষে পৌছুতে যা যা দরকার ঠিক তেমন ভাবে সঠিক ও মোক্ষম পথে আগান।
ধরে নিলাম আপনার লক্ষ আপনি ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে চাচ্ছেন। তো এজন্য প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কি কি বিষয় আপনার জানা বাধ্যতামূলক, কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এখানে ফ্রিল্যান্স রাইটার হওয়ার কিছু টিপস দেয়া হলোঃ

  • ১.ফ্রিল্যান্স রাইটারদের কাজ হলো শুধু আর্টিকেল রাইটিং, ব্লগ রাইটিং, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, আর্টিকেল রিরাইট, বই লেখা ইত্যাদি, তারা অন্য কাজও করতে পারে, তবে যারা প্রফেশনাল তারা একটি বিভাগেই কাজ করে। ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে হলে সবার আগে আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে, ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা না থাকলে ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে পারবেন না।
  • ২.ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরুর আগেই নিজেকে ঝালিয়ে নিতে হবে, প্রথমে নিজে নিজেই টপিক বের করে লেখা শুরু করুন, প্রথমে সহজ বিষয়ে লিখুন, পরবর্তীতে নিজেকে কঠিন কঠিন বিষয়ে লেখার জন্য চ্যালেঞ্জ করুন, এতে আপনার দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
  • ৩.লেখার সময় গ্রামারের প্রতি বিশেষ নজর দিবেন, নিজের পক্ষে অনেক সময় নিজের ভুল ধরা সম্ভব নাও হতে পারে,তাই বিভিন্ন গ্রামার চেকার টুল আছে, সেগুলো দিয়ে গ্রামার চেক করাতে পারেন।
  • ৪.প্রতিদিন কম করে হলেও ১০টি শব্দ শিখবেন ডিকশনারি থেকে, এতে আপনার শব্দের ভাণ্ডার বাড়বে।
  • ৫.ভালো মানের লেখকদের বই এবং ভালো ব্লগারদের বই নিয়মিত পড়ুন, এতে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান বাড়বে।
  • ৬.আপনি যদি সাইড প্রফেশন হিসেবে ফ্রিল্যান্স রাইটিং কে নিতে চান তবে বড় প্রজেক্টে (৫০০ আর্টিকেল বা তারও বেশি) কাজ করবেন না। এতে যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারার ঝুঁকি থাকে, সাধারণত ছোটখাটো প্রজেক্ট যেমন ৫-১০০ আরটিকেলের কাজ করবেন, আপনি কতদিনে শেষ করতে পারবেন তা নিজে প্ল্যান করে নিয়ে তারপর আবেদন করবেন।
  • ৭.প্রফেশনাল আর্টিকেল রাইটার যারা তারা সাধারণত বড় প্রজেক্ট গ্রুপে করেন, মানে কয়েকজন মিলে করেন এতে বেশ সুবিধা পাওয়া যায়।
  • ৮.কখনোই এমনটি ভাববেন না যে আপনি কপে পেস্ট করে আর্টিকেল জমা দিবেন আর তারা এর জন্য আপনাকে টাকা দিবে। যদি কপি পেস্ট আর্টিকেলেরই তাদের প্রয়োজন হত তবে তারা নিজেরাই কপি করে নিত, আপনাকে টাকা দিয়ে কপি পেস্ট নিশ্চয়ই করাবেনা তারা 😉
  • ৯.আর্টিকেল যদি ইউনিক চায়, তবে কখনোই কোন ধরনের সফটওয়্যার বা ট্রান্সলেটরের সাহায্যে রিরাইট করে সেটাকে ইউনিক বানাবেন না, কারণ এতে লেখা ইউনিক তো দূরে থাক, লেখার আগা মাথা কিছুই থাকে না, সেরকম লেখা গ্রহণযোগ্য না, কারণ এতে লেখার ভাশাগত ত্রুটি, শাব্দিক ত্রুটি সহ নানা ভুল থাকবে। সুতরাং যারা এ জাতীয় মনোভাব পোষণ করেন যে আরটিকেল রিরাইট করে দিবেন তারা মনোভাব সংশোধন করুন।
  • ১০.আর্টিকেল রিরাইট করার কোন প্রজেক্ট পেলে সেটা ম্যানুয়ালি করবেন, কোন সফটওয়্যার বা ট্রান্সলেটর ব্যবহার করবেন না, যদি করেন তাহলে টাকা হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা ০.০০%। আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।
  • ১১.সবসময় কোন নির্দিষ্ট ধরণের লেখার কাজ করার চেষ্টা করবেন, অনেকেই ভাবেন যে সব লেখা একই রকম, কিন্তু তা ভুল। অনেকে তাদের নিজস্ব ব্লগের জন্য লেখা চায়, অনেকে প্রিন্ট ম্যাগাজিনে দেয়ার জন্য লেখা চায়, অনেকে বই লেখার জন্য লেখা চায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই লেখার মান, কোয়ালিটি এবং স্টাইল ভিন্ন ভিন্ন, তাদের যে যেভাবে যার জন্য লেখা চায় সেভাবেই লিখতে হবে।
  • ১২.আবেদনের পূর্বে যে বিষয়ের আর্টিকেল রাইটিং এর আবেদন করেছে তার একটা ভালো মানের ইউনিকিউ স্যাম্পল দিয়ে দিন, কখনোই ভুলে করে হলেও স্যাম্পল দেখার জন্য কোন ওয়েবসাইটে যাওয়ার আবেদন করবেন না, এমনটি করলে, কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়, তবে আপনার যদি কোন পোর্টফলিও ওয়েবসাইট থাকে (যা কিনা সকল প্রফেশনাল আর্টিকেল রাইটারেরই রয়েছে) তবে সেটাতে যাওয়ার জন্য বলতে পারেন, নিজের পোর্টফলিও ছাড়া অন্য কোন কিছুর লিঙ্ক দিবেন না।
  • ১৩.নিজেকে কখনোই তুচ্ছ মনে করবেন না, আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীরা যত ভালো মানের লেখকই হন না কেন নিজেকে সবসময় তাদের সমকক্ষ মনে করবেন।
    কারণ তারাও এক সময় আপনার মতই ছিল, ধীরে ধীরে তারা উন্নতি করেছেন।
  • ১৪.নিজেকে লেখার মাঝে উদার করে দিবেন, ভালো মানের লেখা পেলে একি বায়ারের কাজ থেকে পরবর্তীতে আরো কাজ পেতে পারেন।
  • ১৫.কোন কাজ পেলে সেটাকে নিয়ে অবহেলা করবেন না, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আপনার কাজ শেষ করে  সেটাকে প্রুফ-রিড করুন অথবা গ্রামার চেকার এবং স্পেল চেকার দিয়ে লেখার ভুল সংশোধন করুন।
  • ১৬.অনেক সময় কঠিন বিষয়ে লেখতে হতে পারে, তখন আপনার উচিত সে বিষয়ে কিছুটা পড়ালেখা করে নেয়া, এতে লেখতে সুবিধা হবে, যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়ে কোন ধারণা না থাকলে কখনোই ভালো লিখতে পারবেন না। তাই যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়ের বিভিন্ন ফোরাম এবং ব্লগ ভিজিট করুন এবং পড়ুন, এতে আপনার ধারণা ক্লিয়ার হবে।
  • ১৭.কখনোই লেখার মাঝে নিজের মতামত তুলে ধরবেন না। যেমন ধরুন আপনি এমন প্রজেক্ট পেয়েছেন যেঁটাতে বলা হল মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে লিখতে, কিন্তু আপনি মাইকেল জ্যাকসনকে পছন্দ করেন না 😉 আর  সে কারণে যদি আপনি আপনার লেখার নিজের মতামত তুলে ধরেন যে আমি তাকে পছন্দ করি না, সে এই করসে, সেই করসে, তাহলে কিন্তু আপনার প্রজেক্ট গ্রহণযোগ্য হবে না, তাই লেখার সময় পক্ষপাতিত্ব করবেন না।
  • ১৮.ছোটখাটো প্রজেক্ট হলে যেমনঃ ১০০০-২০০০ শব্দের লেখা হলে, এবং কোন জরুরী বিষয়ে লেখা হলে আগে খাতায় খসড়া করে নিয়ে পড়ে টাইপ করবেন।
অর্থাৎ মূল কথা হলো আপনি যে লক্ষে পৌছুতে চাচ্ছেন সে লক্ষ অর্জন করতে আপনাকে চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে কিভাবে এগিয়ে যেতে হবে এবং কি করতে হবে সেটা নির্ধারণ করুন। আবারও বলছি শর্টকাট পথে এগোবেন না, এটা নিজের পায়ে নিজেই কুড়োল মারার সমান। সঠিক দিক নির্দেশনা নিয়ে সঠিক পথে আগানোর জন্যে কি কি করা উচিত এবং করতে হবে তা ঠিক করে ফেলুন। ধরে নিলাম আপনি সেটা করে ফেলেছেন, এবার পরবর্তী ধাপে যাওয়া যাক।

তৃতীয় ধাপ: লক্ষ পূরণে করণীয় কাজগুলো সম্পাদন করুন...


আপনার ফাইনাল ধাপ এটাই, আপনার লক্ষে পৌছুতে যা যা করতে হবে সেগুলোকে বাস্তবতায় রূপ দিতে হবে, অর্থাৎ আপনাকে একশন নিতে হবে। অনেকেই হয়তো জানেন কি করতে হবে এবং কিভাবে করতে হবে কিন্তু কখনোই করার চেষ্টা করেন নি, তাই সফলতার মুখ দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই দরকারি পদক্ষেপগুলো হাতে নিতে হবে।
সবচেয়ে ভালো হয় আপনি নির্দিষ্ট একটা সময় ঠিক করে ফেলুন আপনার লক্ষ পূরণের জন্যে। পরিমাণ মতোই সময় সিলেক্ট করবেন। সময় সিলেক্ট করা হয়ে গেলে কাজে নেমে পড়ুন, ঢিলেমির রেশও যেন না থাকে। সবসময়ই আপনাকে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করার জন্যে। শিডিউল ছাড়া কাজ করলে সেটা সময় মত না হওয়াটাই স্বাভাবিক, তাই আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় কাজগুলো করার জন্যে শিডিউল তৈরি করে নিতে হবে। শিডিউল মোতাবেক কাজ করতে হবে এবং কাজ সম্পাদন না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে বদ্ধপরিকর-ভাবে।
আপনি নিজেই নিজেকে কিছু প্রশ্ন নিয়মিত করতে পারেন, অথবা এমন কোন স্থানে লিখে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন যেখানে আপনি সচরাচর থাকেন (যেমনঃআপনার কম্পিউটারের আশেপাশে)। নিজেকে যে প্রশ্নগুলো করতে পারেন:
  • আমি কি আমার লক্ষ পূরণের জন্যে সঠিক পথে এগোচ্ছি?
  • আমার আগানোর গতি কি আমাকে সময় মত লক্ষে পৌঁছে দিতে সক্ষম?
  • আমি লক্ষের কতটা কাছাকাছি এসেছি?
  • আমার লক্ষ কি আসলেই আমার জন্যে মানানসই নাকি আমাকে নতুন লক্ষ সিলেক্ট করতে হবে?
  • আমাকে লক্ষে পৌঁছানোর জন্যে আর কি করার আছে?
প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন এবং নিজেই নিজেকে যাচাই করুন... আশা করি সফলতা লাভ করবেন আপনার ফ্রিল্যান্সিং লাইফে আর আপনার সফলতার গল্প আমাদের শোনাবেন...

source: http://www.techtunes.com.bd/freelancing/tune-id/78708





ওডেস্ক-এ কাজ পাননি তো কি হয়েছে ।। কাজ দিন অন্য কন্টাক্টরকে



এই টেকটিউন্স-এ অনেক টিউনার কিংবা ভিজিটর আছেন যারা মাসের পর মাস ওডেস্ক এ বিড করেও কাজ পাচ্ছেন না। এতে হয়তোবা অনেকেই ওডেস্ক বিড করা ছেড়ে দিয়েছেন। ভাবছেন অযথা সময় নষ্ট। কিন্তু আজ আমি বলবো আপনি কাজ পান না আপনার ভুলের কারনে, এখন আপনি বলবেন কেন? আমি বলবো হয়তোবা আপনি আপনার প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট করতে পারেন নি। কিংবা আপনি ওডেস্ক এর নিজস্ব রেডিনেস টেস্ট দেন নাই। কিংবা দিলেও ৫ স্কোর না হওয়ার কারনে পাস করতে পারেন নি। অথবা আপনি জবে বিড করার সময় আপনি সুন্দর ভাবে কভার লেটার লিখতে পারেন নি। যার কারনে আপনাকে ক্লায়েন্টারা ডিক্লাইন করেছেন। কারন তারা টাকা দিয়ে যোগ্য কন্টাক্টরকেই খুজে নিবে।
১০০% প্রোফাইল কমপ্লিট করার উপায়,রেডিনেস টেস্ট পাসের তরিকা আর সুন্দর এবং যথাযথ কভার লেটার লেখার নিয়ম কানুন নিয়ে লিখব অন্য কোনো টিউনে।
তবে আমার মতে, যদি অাপনার ভেরিফাইড পেপাল অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তবে আপনি আগে ক্লায়েন্ট হয়ে জব পোস্ট করুন, জব টি হবে ফিক্সট প্রাইজের ছোট খাটো কাজ। যেমন একটা লোগো ডিজাইন এর। হতে পারে ছোটখাটো ডাটা এন্ট্রির কাজ। ভাবছেন কেন বলছি। আসেন দেখা যাক এতে আপনার কি লাভ।
লাভ নং ১। আপনি লাইভ বুঝতে পারবেন, কিভাবে কন্টাক্টররা বিড করে।
লাভ নং ২। আপনি বুজতে পারবেন কি ভাবে সুন্দর এবং হৃদয়গ্রাহী কভার লেটার লিখা যায়। যা জব ইন্টারভিউ এর জন্য ক্লায়েন্ট কে আকৃষ্ট করে। কাজ পাবার হার বেড়ে যায়।
লাভ নং ৩। আপনি এমন সব কন্টাক্টর দের সাথে পরিচিত হবেন যারা আপনার ফ্রিলান্সিং কারিয়ার এর জন্য একসময় কাজের হবে।
লাভ নং ৪। কিভাবে কন্টাক্টরের সাথে চুক্তি করতে হয় তাও শিখতে পারবেন।
লাভ নং ৫। কাজ পাওয়ার পর কিভাবে ক্লায়েন্ট ও কন্টাক্টরের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হয় তাও শিখতে পারবেন। কাজ পাওয়ার পর কিভাবে এবং কেন কন্টাক্টরেরকে বোনাস কিংবা মাইলস্টোন দেয় ক্লায়েন্ট।
লাভ নং ৬। ভালো ফিডবাক পাওয়া যায়।
লাভ নং ৭। ভালো রেটিং পাওয়া যায়।
আরও লিখব কিন্তু জরুরী কাজে এখন বাইরে যেতে হচ্ছে। পরে এ আরও লেখার আশা রাখি।

source: http://www.techtunes.com.bd/freelancing/tune-id/106481


আসুন মাসে ৫০০০ ডলার আয় করি



কি বাপার ভাই শিরোনাম দেখেই চোখ কপালে উঠালেন কেন ?সাভাবিক হন তারপর বিস্তারিত বলছি ।
পোস্ট টা মনোযোগ সহকারে পড়ুন কেননা পোস্ট টা পড়তে আপনার যে সময় নষ্ট হবে তারচেয়ে আপনি
বেশি উপকৃত হবেন ।
আমরা এমন বাঙলী?মোটা টাকার কথা শুনলেই একাউন্ট করে কাজ করা শুরু করে দেই ।
তারপর ????????
টাকা আর কোম্পানি দিলনা!!!!!!!!!!!
তখন মন খারাপ করে বসে থাকি ।
কেন কাজ করার আগে ভেবে কাজ করা গিয়েছিলো না ?
একটা কথা আছে "ভাবিয়া করিও কাজ,করিয়া ভাবিওনা"
অনলাইনে ইনকামের জায়গা প্রচুর আছে ।ধরুন ১০,০০০০০(দশ লক্ষ)
তাদের মধ্যে চোরের কোম্পানি আছে ৯,০০০০০ (নয় লক্ষ )
জেনুইন /ভালো কোম্পানি আছে ১,০০০০০ (এক লক্ষ )
আমরা বেশির ভাগ মানুষ সব সময়ই  পরি চোরের খপ্পরে তাই আমাদের  মেধা ও শ্রম দুইই বৃথা যায় ।
কারণ হলো আমারা  খারাপ জিনিসের মধ্যে ভালো জিনিস টা খুঁজে পাই না ।
তাই বার বার বার্থ হই ।
আমি আজ আপানদের একটি মন্ত্র শিখাবো যে মন্ত্র শিখলে আপনারা  কখনো অনলাইন থেকে ধোকা
খাবেন না এবং সহজেই খারাপ ও ভালো ওয়েবসাইট চিনতে পারবেন ।
জেনুইন ওয়েবসাইট দেখুন 
উদাহরণ:ওডেস্ক,পেপাল
এর অর্থ এই ওয়েবসাইট তাদের আইডি ভেরিফিকেশন করেছে এবং এটি-জেনুইন
চোরের/সাধারণ ওয়েবসাইট দেখুন 
উদাহরণ:দিপাক্কো
এর অর্থ এই ওয়েবসাইট তাদের আইডি ভেরিফিকেশন করেনি  এবং এটি-এখনো জেনুইন না
একটি ওয়েবসাইট এ কাজ করার আগে আরো ভালো ভাবে http://www.website-information.info/ 
থেকে জেনে নিন ।আপনি যে ওয়েবসাইটে কাজ করবেন সেই ওয়েবসাইট এর বর্তমান অবস্থান,
জেনুইন কিনা ইত্যাদি ভালো ভাবে আগে জেনে নিন
তারপর কাজ করুন তাহলে কখনই কাজ করে তার শ্রম বৃথা যাবে না ।
সবসময় কাজ করবেন এমন এক কোম্পানিতে যে কোম্পানিকে সবাই চিনে ও জানে ।
এবং গুগল রেংকিং এ ১০ এর ভিতর থাকে ।আপনারা  ভাবছেন এমন কোম্পানি কোথায় পাবো ।
নিরাশ হবেন না আপনি যে কোম্পানি তে কাজ করছেন সেই কোম্পানিই হয়তবা গুগল রেংকিং ১০
এর মধ্যেই আছে ।
অনেক জায়গায় দেখবেন একাউন্ট করলেই পাবেন ১০০০ ইউরো বা ডলার ।এই সকল কোম্পানিতে কখনই
সময় নস্ট করবেন না কারণ এগুলো ধোকাবাজি ।
এদের এখানে আপনি সারা জীবন কাজ করে দেখবেন কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন কিন্তু
কখনই তুলতে পারবেন না ।
তাই কোনো জায়গায় কাজ করার আগে সব জেনে শুনে কাজ করবেন তাহলে কাজ কতে তার মূল্য পাবেন ।
বি.দ্র. ভাইরে আমি যদি আমার এই পোস্ট এর শিরোনাম দিতাম "অনলাইনে কাজ করার আগে সতর্ক হন "
আপনারা কেও আমার এই পোস্ট পরতেন না এবং এই অজানা জিনিসটা যার জানেন না তারা কখনো
জানতেন ও না ।বার বার সুধু ধোকা খেতেন ।
তাই আমি ভাবলাম আমি আমার এই পোস্ট এর এমন একটি শিরোনাম দিবো যে শিরোনামের উপর ভিত্তি
করে সবাই আমার এই পোস্ট পড়বে  এবং সবারই নজরে পড়বে ।
আমার লাভ সবাই আমার এই পোস্ট টা পরে উপকৃত হবে ।এতে আমার খুব ভালো লাগবে ।
আমার এই পোস্ট এর শিরোনামের  ত্রুটির কারণে বা আপানদের ধোকা দিয়ে আমার এই পোস্ট পড়ানোর
জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুক্ষিত ।
আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন ।I am Sorry !
সবাই ভালো থাকবেন  ও কমান্ড করতে ভুলবেন না ।
আপনার যদি মেধা থাকে তাহলে নিচের ওয়েবসাইট থেকে সত্যিই
মাসে ৫০০০ ডলার না হলেও ৫০০ ডলার  আয় করতে পারবেন 
সর্বদা একটা কথা মনে রাখবেন
"সদা সত্য কথা বলিব এবং পিছিটি সাইট থেকে দুরে থাকিব"
কারণ এই কোম্পানি গুলোর উতপত্তি হয়েছে মানুষের মেধা ও শ্রম
নষ্ট করার জন্য ।যেমন সয়তানের সৃস্টি হয়েছে মানুষকে ধোকা দিয়ে ইমানের
পথ থেকে সরে নেওয়ার জন্য  ।

আপনার ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউব, পিন্টারেস্ট, ইনস্ট্রাগ্রাম একাউন্ট গুলো আপডেট রাখতে ভিসিট করুন https://bestsocialplan.com



ফ্রিল্যান্সিং কি আসলেই খুব সহজ কেন , কেন নয় ? আসুন জেনে নেই



বর্তমান সময়ে তরুনদের মধ্যে ব্যাপক  সাড়া জাগানো একটি পেশা ফ্রিল্যান্সিং । প্রতিদিন শত শত তরুন বুক ভরা সপ্ন নিয়ে , প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশায় ভীড় জমাচ্ছেন এ সেক্টরটিতে। লোভনীয় বিজ্ঞাপন আর আকর্ষণীয় সব অফারের ফাঁদে পড়ে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করে অবশেষে হতাশ হচ্ছেন। ফ্রিল্যান্সিং কি আসলে খুবই সহজ নাকি কঠিন কিছু । আজ আমার টিউনের মাধম্যে এ প্রশ্নেরই উত্তর দিব। এই সেক্টরটি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারনা না থাকার কারনেই প্রথমে যখন শুরু করছে তখন মনে হয় অনেক সহজেই প্রতিষ্ঠিত হওয়া যাবে।আবার কিছুদিন পর বাস্তবতা দেখে বেশিরভাগ মানুষিই হতাশ হচ্ছে । আমার এই লেখাটি ফ্রিল্যান্সিং সম্বন্ধে একটি পুরোপুরি দিকনিদের্শনাও বলতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কেন সহজ ?

  • ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয়তা পাওয়ার একটি মূল কারন হচ্ছে ঘরে বসে আয় করা যায়। আপনি ঘরে বসে পৃথিবীর যেকোন জায়গার কাজ করতে পারবেন। আপনার প্রয়োজন নেই  কোন অফিস। একটি কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই খুব সহজেই ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
  • আর একটি কারন হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনার কোন মামা-চাচার সুপারিশ প্রয়োজন হবে না।আপনার  যোগ্যতাই সবচেয়ে বড় ব্যপার।আপনি যদি নিজের যোগ্যতা প্রমান করতে পারেন তবে আর কিছুর দরকার নেই ।কাজ পাবেন আপনার যোগ্যতার ভিত্তিতে কোন সুপারিশ বা ঘুষের বিনিময়ে নয়।
  • ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি অনেক বেশি আয় করতে পারবেন।একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের জন্য মাসে কয়েকলাক্ষ টাকা উপার্জন করা কোন ব্যাপারই না। আপনিত আর টাকা উপার্জন করবেন না, উপার্জন করবেন  ডলার। এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা ঘন্টায় ২০০-২৫০ ডলার উপার্জন করে। এবার একটা ক্যালকুলেটর নিন, মোবাইল হলেও চলবে । মনে করেন দিনে ৮ ঘন্টা কাজ করলে ১ ডলার সমান যদি ৮০ টাকা হয় মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন । দ্রুত এই সহজ হিসাবটা করে ফেলুন।
  • ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের কোন অভাব নেই । মার্কেট প্লেসে দেখবেন মিনিটে শত শত কাজ টিউন হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর । এর কাজের পরিধিও বাড়ছে। বাংলাদেশের অনেকই আছে যারা কাজের কিছু না জেনেই কাজে এপ্লাই করে, কাজ যখন পায় তখন ফেসবুকে টিউন দেয়, ভাই কাজটা কিভাবে করব? চিন্তা করেন অবস্থা। শুধু কাজ আর কাজ।
  • ফ্রিল্যান্সিং এ নির্দিষ্ট কোন অফিস টাইম নাই । প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা অফিস করতে হবে এমন কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই।আপনার যখন খুশি যেমন করে খুশি কাজ করবেন।
ভাবুনত এমন একটি পেশা, আপনি যেখানে খুশি যেমন খুশি তেমন ভাবে কাজ করছেন। অনেক অনেক টাকা ইনকাম করছেন। পরিবারের সাথে সময় দিতে পারছেন।যেখানে খুশি বেড়াতে যেতে পারছেন।যা খুশি করতে পারছেন। আর এইসব কারনেই ফ্রিল্যান্সিং এত জনপ্রিয় ।

এবার আসুন বাস্তবতায়, ফ্রিল্যান্সিং কেন সহজ নয়:

  • আমি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অনেক ব্লগ  টিউন  পড়েছি। নানা ধরনের আদেশ, উপদেশ, নির্দেশনা  দেখেছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একতরফাভাবে মানুষকে মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে শুধু পজেটিভ দিকগুলো উপাস্থাপন করে মানুষকে ঠকানো হয়।
  • আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হতে চান প্রথমেই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনাকে আন্তর্জাতিক ভাবে প্রতিযোগিতা করতে হবে। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলি, ধরুন একটা পন্য আপনি বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করবেন আর একটা পন্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করবেন। দুটো প্রডাক্ট কি রকম হবে? বাংলাদেশে যে কোন প্রডাক্টের সাধারন একটি মান থাকলেই বিক্রি করা সম্ভব। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের হতে হলে আপনার পন্যে মান আরও অনেক বেশি উন্নত হতে হবে।  ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার যোগ্যতাই হচ্ছে আপনার প্রডাক্ট।যেহেতু আপনি একজন আন্তর্জাতিক মানের পেশাদার কর্মী হতে চাচ্ছেন সেহেতু আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতাকে সেই রকম করে গড়ে তুলতে হবে।
  • আর একটি বিষয় হচ্ছে এ সেক্টরটিতে যেমনি কাজ এর পরিমান বাড়ছে, তেমনি দিনে দিনে প্রতিযোগিতাও বেড়ে চলছে। আপনি যে বিষয় বেছে নেন না কেন, দেখবেন আপনার চেয়েও অনেক দক্ষ লোক আগে থেকেই আছে । আপনারা প্রতিযোগী হবে আপানার চেয়েও অনেক বেশি দক্ষ এবং অভিজ্ঞ্ । তাদের সাথে প্রতিযোগীতা করেই আপনাকে নিজেকে প্রমান করতে হবে।
  • আপনার কাজের ব্যাপারে অনেক বেশি প্রফেশনাল হতে হবে। সময় মত কাজ জমা দেয়া, বায়ারের চাহিদা মত কাজ দেয়া ইত্যাদি  বিষয়কে খুব ভালভাবে মেনন্টেইন করতে হবে।
  • আমার কাছে যখন কেউ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে পরামর্শ চাইতে আসে তখন আমি বলি, ”এখানে এক হাজার জনের মধ্যে একজন সফল হয় বাকি ৯৯৯ জন্য মাঝপথে হতাশ হয়ে ছেড়ে দেয় ।এখানে ঝড়ে পড়ার হার অনেক বেশি।
  • আপনার অনেক বেশি ধৈর্য থাকতে হবে। কতটা ধৈর্যশীল হতে হবে তা বলে বুঝান যাবে না। আপনি দিনের পর দিন চেষ্টা করবেন কাজ পাবেন না, কাজ পাবেনত টাকা পাবেন না, টাকা পাবেনত উঠাতে গিয়ে ব্যাংক হাজার রকম ঝামেলা করবে , বায়ার কাজ নিয়ে ঝামেলা করবে, ছোট্ট একটা ভুলের জন্য সারারাত নষ্ট হবে ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে আপনাকে অপরিসীম ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।
  • ফ্রিল্যান্সিং  এ কোন শর্টকাট ওয়ে নাই । আপনি যতই শর্টকাট ওয়ে ফলো করতে যাবেন ততই ধরা খাবেন।যেকোন কাজ ভালভাবে শিখতে আপনাকে অনেক  সময় দিতে হবে। আপনি যদি কয়েকবছর সময় না দিতে পারেন তবে এই সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কঠিন হয়ে যাবেব।আমার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস:
>>>> ২০,০০০ টাকা  -৩০,০০০ টাকা চাকুরীর জন্য  আমরা ২০ -২৫ বছর পড়াশুনা করি । আর ফ্রিল্যান্সিং এ লাক্ষ লাক্ষ টাকা কামানোর সপ্ন দেখি অথচ কষ্ট করে দুই – তিন বছর কাজ শিখতে পারি না >>>>>
  • এ সেক্টরে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হবেন,  তাই আপনাকে নিজে নিজে সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা থাকতে হবে। কারন বাস্তবতা হচ্ছে বেশিরভাগ সময়ই দেখবেন প্রয়োজনের সময় আশেপাশে কাউকে খুজে পাবেন না।
  • এই সেক্টরে কাজ করতে হলে আপনাকে প্রতিনিয়তই আপডেট থাকতে হবে।আপনি যে কাজই শিখেন না কেন দেখবেন প্রতিদিনই আপনার শেখার বিষয়ের নতুন নতুন আপডেট হচ্ছে । তাই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাইলে, আপনাকে অবশ্যই আপডেট রাখতে হবে।
  • আপনি ফ্রিল্যান্সি এর যে বিষয়ে কাজ করেন না কেন আপনাকে মার্কেটিং দক্ষ হতে হবে। আপনাকে নিজেকে উপস্থাপন করতে জানতে হবে।কিভাবে কাভারলেটার লিখবেন, কিভাবে আপনার বায়ারকে আপনার প্রতি আগ্রহী করবেন,  কিভাবে তার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন ইত্যাদি বিষয়ে  আপনাকে দক্ষ হতে হবে।
তাহলে কি ফ্রিল্যান্সিং খুব কঠিন কিছু, না সেরকম কিছু না । যদি আপনার ধৈর্য্য , মেধা আর পরিশ্রম করার দৃঢ় মানসিকতা তাকে তবেই আপনি এ জগতে টিকে থাকতে পারবেন। মনকে  স্থির করুন । প্রতিজ্ঞা করুন এ সেক্টরে আপনি প্রতিষ্ঠিত হয়েই ছাড়বেন।  পরিকল্পনা করুন। আর প্রতিদিন একটু একটু করে হলেও নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যান। ইনশাল্লাহ একদিন সফল হবেনই।
বাংলাদেশের ব্লগিং জগতে ভাল কিছু উপহার দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে  গড়ে তুলেছি  WEBSOURCESBD । ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে যেকোন ধরনের পরামর্শের জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আমার ব্লগে।
মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সচেতন করে তোলার জন্য, বাস্তব অবস্থা তুলে ধরার জন্য আসুন আমরা এই টিউনটি শেয়ার করি । আপনার এই সামান্য কাজ অনেকের জীবনধারাকে বদলে দিতে পারে। অনেক ধোকাবাজী থেকে রক্ষা করতে পারে। আজকের দিনে এই একটা ভাল কাজ হলেও করার অনুরোধ করছি।

source: http://www.techtunes.com.bd/freelancing/tune-id/294619


ওডেস্কে আপনার জব অ্যাপ্লিকেশান কোটা শূন্য ? আসুন জানি কেন !





সবাইকে সালাম জানিয়ে আমার আজকের টিউন শুরু করছি । বর্তমানে অনেকের প্রোফাইলে জব অ্যাপ্লিকেশান কোটা শূন্য বিশেষ করে নতুন প্রোফাইল গুলুতে  । কি কি কারনে অ্যাপ্লিকেশান কোটা শূন্যতে নেমে আসে সেই কারন গুলু আজকে আমরা জানব । আমি এমন অনেক প্রোফাইল দেখেছি যেই প্রোফাইল গুলু ১০০ ভাগ পরিপূর্ণ অথচ জব অ্যাপ্লিকেশান কোটা শূন্য । অনেকেই মনে করেন যে বেশি টেস্ট দেইনি হয়ত এই কারনেই আমার জব অ্যাপ্লিকেশান কোটা শূন্য আর এর পর অনেক টেস্ট দেওয়ার পরও দেখা যায় তার অ্যাপ্লিকেশান কোটা শূন্যতেই পরে থাকে । এই প্রবলেমটি হওয়ার কারন হচ্ছে অডেস্ক এর টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন গুলু না মানা । আপনি যদি টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন গুলু না মানেন তাহলে আপনার জব অ্যাপ্লিকেশান কোটা শূন্য তে চলে আসে ।  আর আমরা সাধারণত যে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন গুলু মানি না তা হলঃ
# ছবিঃ অডেস্কে আপনি যখন রেডিনেস টেস্ট দেন তখন আপনাকে বলা হয় যে, আপনার নিজের একটি হাসুজ্জল এবং স্পষ্ট ছবি দেওয়ার জন্য আর এখানে কোম্পানির লোগো বা কোন পোষা প্রানির ছবি দিতেও নিষেদ করা হয়  । অনেকেই করে কি কোন রকম একটি ছবি দিয়ে রাখে যেটা অডেস্ক এর নিয়ম এর বিরোধী । আর আরও একটা ভুল অনেকই করে সেটা হল কোর্ট টাই পরে ছবি দেয় । এটা কখনো করা যাবে না ।
# ওভারভিউঃ অনেকেই দেখা যায় আরেক জনের ওভারভিউ কপি করে ব্যাবহার করে আর এটাও অডেস্ক এর নিয়ম এর বিরোধী । অডেস্কে কপি পেস্ট একদম নিষেদ । কেউ কেউ বলে যে ভাইয়া আমিতো আমার ওভারভিউ টাকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখে অডেস্কে পেস্ট করছি , আমিতো কারোর ওভারভিউ টাকে কপি করি নাই তাহলে আমারটা কেন হল । এর কারন হচ্ছে ঐযে আপনি ওয়ার্ড থেকে অডেস্কে পেস্ট করেছিলেন । যা লিখার সেটা সরাসরি অডেস্কে লিখতে হবে ।
# পোর্টফলিওঃ আপনি যদি অন্য কারও পোর্টফলিও নিজের অ্যাকাউন্টে ব্যাবহার করেন তাহলেও সেটা অডেস্ক এর নিয়ম এর বিরোধী । ধরুন আপনি যখন অন্য কারও একজনের পোর্টফলিও নিজের অ্যাকাউন্টে ব্যাবহার করলেন আর একই জিনিস যদি আগেও অডেস্কে কেউ দিয়ে থাকে তাহলে তার ওখানে একটি নোটিফিকেশন যাবে , আর সেখানে বলা হবে যে তোমার পোর্টফলিও অন্যকেউ ব্যাবহার করছে আর সাথে আপনার প্রোফাইল লিঙ্ক চলে যাবে । তখন সে আপনার নামে অডেস্কে রিপোর্ট করবে আর অডেস্ক তখন আপনাকে স্প্যামার হিসেবে ধরে নিবে । যার ফলে আপনার জব অ্যাপ্লিকেশান কোটা শূন্যতে চলে আসে ।
সব সময় অডেস্কের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন গুলু মেনে চলার চেষ্টা করবেন । সব থেকে ভাল যদি আপনার অ্যাকাউন্টিকে ভেরিফাই করিয়ে নেন । হ্যাপি ফ্রীলান্সিং

source: http://www.techtunes.com.bd/freelancing/tune-id/296446


আপনার ব্লগকে সার্চ রেজাল্টে প্রথম পেইজে নিয়ে আসার উপায়সমূহ




প্রত্যেক ব্লগারের স্বপ্ন থাকে তার ব্লগকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেইজে নিয়ে আসা ।
তবে এটি খুব একটা সহজ হয়ে উঠেনা যদি না আপনি রুল অনুযায়ী কাজ করেন ।
আপনার ব্লগকে প্রথম পেইজে নিয়ে আসতে হলে রুল অনুযায়ী কঠোর পরিশ্রম করার মাধমেই আপনি করতে পারবেন।
নিম্নে আমি গুগলের সম্প্রতি পান্ডা এবং পেঙ্গুইন আপডেডের রুল অনুযায়ী কিভাবে আপনার সাইটকে সার্চ রেজাল্টে এগিয়ে আনবেন এটি নিয়ে আলাপ করছি ।
তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আসুন শুরু করি ।


  • হাই কোয়ালিটি ইউনিক কন্টেন্ট :



এক কথায় বলতেই হয় কন্টেন্ট ইজ কিং অলঅয়েস :)
একটা সময় ছিল যখন আপনি শুধু মাত্র ব্যাকলিঙ্ক করে আপনার সাইটকে র‍্যাঙ্ক করাতে পারতেন যদি আপনার কন্টেন্ট কপি পেস্টও হত ।
কিন্তূ এখন কি তা সম্ভব ?
না , সম্ভব না , তাইনা ?
কারন গুগলের পান্ডা এবং পেঙ্গুইন আপডেডের ফলে সব কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে ।
আগে যারা যেই সাইট থেকে প্রতি মাসে ২০,০০০-৩০,০০০ টাকাও কামাতো তারা এখন কোন টাকাই তাদের সাইট থেকে ইঙ্কাম করতে পারছেনা তাই কন্টেন্ট এর গুরুত্ত এটি দ্বারা বুঝা যায় ।
তাই বর্তমানে আপনার সাইটকে র‍্যাঙ্ক করতে হলে হাই কোয়ালিটি ইউনিক কন্টেন্টের ভ্যালু অপরিসীম ।
পোস্টিং করার অনেক নিয়মই আছে তবে আমার মতে ১০০% ইউনিক ৪০০-৬০০ ক্যারেক্টারের পোস্ট করলেই যথেষ্ট ।
অনেক ব্লগার তার সাইটকে ওভার অপ্টিমাইজ করে ধরা খায় , তারা মনে করে ওভার কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি অথবা অন্য টেকনিক্স ফোলে করে র‍্যাঙ্কে এগিয়ে যেতে পারবে আসলে তা ভুল এতে নিজের সাইটের লাভের চেয়েও ক্ষতি বেশি হবে ।
একটা কথা যাই করেন  ন্যাচারেলি করবেন !
তাই পুরনো দিন ভুলে নতুন দিনে এগিয়ে যান ।

  • গেস্ট ব্লগিং :



অনেকেই গেস্ট ব্লগিং করেন না তবে বর্তমানে গেস্ট ব্লগিংয়ের ভূমিকা অপরিসীম ।
তবে সব ব্লগেই গেস্ট ব্লগিং করে কোন লাভ নেই আপনি অবশ্যই বেশ কিছু অথোরিটি সাইটে ব্লগিং করবেন।
এই অথোরেটি সাইটগুলো আপনার ব্লগকে সার্চ রেজাল্টে এগিয়ে আনার জন্য অনেক বেশি হেল্প করবে।
কারন আপনি যখন অথোরেটি সাইটে ব্লগিং করবেন তারা আপনাকে দুইভাবে সাহায্য করবে।
একটি হল অথোরেটি সাইটে পোস্ট করার মাধ্যমে আপনি গুড কোয়ালিটি অথোরেটি ব্যাক লিঙ্ক পাচ্ছেন যা আপনার সাইটের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ তাছাড়াও আপনি ব্লগিং কমিনিটির সাথে ভালো করে পরিচিত হতে পারছেন ।
তাছারা গেস্ট ব্লগিং করার জন্য ব্যাকলিংকের পাশাপাশি আপনি প্রচুর পরিমাণ টার্গেটেড ভিজিটর পাচ্ছেন।
তাহলে গেস্ট ব্লগিংয়ের গুরুত্ত কি সবাই বুঝতে পারছেন নিশ্চয় ?
তাহলে যারা এতদিন গেস্ট ব্লগিং করতেন না তারা আজকে থেকেই গেস্ট ব্লগিং শুরু করে ফেলুন :)

  • লং ট্রাইল কী-ওয়ার্ডের উপর গুরুত্ব দিন !


মনে করেন আপনি একটি পোস্ট লিখছেন এবং এটির কী-ওয়ার্ড দিলেন "Importance of Blogging" এবং আপনার টার্গেট হল এই কী-ওয়ার্ড এর কম্পিটেটরদের আপনার বিড করা তাহলে আপনার এই ধরনের কী-ওয়ার্ড নিয়ে কম্পিটেটরদের বিড করা অনেক কঠিন হবে । আবার আপনি যদি "importance of blogging in 2013" এই ধরনের লং ট্রাইল কী-ওয়ার্ড ইউস করেন তাহলে আপনি অনেক সহজেই আপনার কপিটিটরদের বিদ করতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন লং ট্রাইল কী-ওয়ার্ডের গুরুত্ত কেমন ?
সামনে কী-ওয়ার্ড রিসার্চ নিয়ে বিস্তারিত আকারে একটি টিউন করবো সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন ।

  • ব্যাক লিঙ্ক :



আগে সবাই এতো পরিমাণ ব্যাক লিঙ্ক ক্রিয়েট করতাম সাইটের জন্য যা আমরা নিজেই স্বীকার করতাম যে এটা স্পামের পর্যায়ে ।
তবে এখন স্পাম করলে আপনার খবর আছে যাই করবেন ন্যাচারেলি করবেন ভুলেও স্পাম আকারে ব্যাক লিঙ্ক করতে যাবেন না ।
ব্যাক লিঙ্ক করার জন্য আপনি যা যা করতে পারেন আমি Social Bookmark, Forum Posting, Guest Blogging, Link While, Relevant Blog Comment, RSS Submission, Directory Submission ইত্যাদি তবে স্পামের মত অতিরিক্ত করবেন নাহ ।
আর অনেকেই আছে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যাক লিঙ্ক করে এটাতো অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন সাথে অনেক সাইট আছে যারা ফ্রী ব্যাক লিঙ্ক দেয় ঔ সব সাইটকেও এড়িয়ে চলবেন। তাছাড়াও অনেকেই পেইড ব্যাক লিঙ্ক ক্রিয়েট করে কিন্তূ আপনি কি জানেন এই পেইড ব্যাক লিঙ্ক গুলো কিভাবে করে ?
যদি না জেনে থাকনে তাহলে নিজ দায়িত্তে জেনে নিবেন । আপনার ব্যাক্তিগত সাজেশান হল আপনার যদি ব্যাক লিঙ্ক ক্রিয়েট করতে এতো আলসে লাগে আমাদের দেশে অনেকই আছে যারা আপনাকে অল্প টাকায় ন্যাচারেল ব্যাক লিঙ্ক ক্রিয়েট করে দিবে তাতে আপনারও লাভ হবে সাথে তাঁদেরও ।

আর একটি কাজ যেটি ব্যাক্তিগত ভাবে আমি করি এবং এটা যে কত কাজের তা আমিই জানি তাই আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন জানিনা আর কে করে:)
আপনার ব্লগে নতুন পোস্ট পাবলিশড করার পর পরই চেষ্টা করবেন সেই পোস্টের পারমালিংকের উপর অন্তত ৪-৫ টি হাই কোয়ালিটি অথোরিটি ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করা সেটা যেভাবেই হোক ।
হতে পারে গেস্ট ব্লগিং করে অথবা অন্য যে কোন উপায়ে ।
যদি আপনি এমন ভাবে ব্যাক লিঙ্ক করতে পারেন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার পোস্ট যে অতি শিগ্রই এগিয়ে আসবে সেই ব্যাপারে গ্যারান্টি আমি দিচ্ছি :)

আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে প্রাক্তিকাল এই টিপস গুলোই আমি আপনাদের শেয়ার করলাম ।
যদি কোন ভুল হয় ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেবন।
আর আপনার কোন সাজেশান থাকলে অবশ্যই বলবেন যে আপনার সাইটকে র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য আপনি কোন টিপস ফলো করেন পড়ে আমি আপনারটা অ্যাড করে পোস্ট ইডিট করে দেব।
অনেক কষ্ট হল পোস্টটি লিখতে যদি আপনারা এতে সামান্যতম উপকৃত হন তাহলে আমার কষ্ট সার্থক ।
ভালো লাগলে কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ দিতে ভুলবেন নাহ :)

Source: http://www.techtunes.com.bd/freelancing/tune-id/206517

source

1 comment:

  1. ভাল কিছু লিখেছেন। পড়ে উপকৃত হলাম। অনেক কিছু জানতে পারলাম।ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এমন সুন্দর কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। এর পরে ইন্টারনেট সম্পর্কিত তথ্য আরও ভাল কিছু আশা করছি।

    ReplyDelete