কন্টেন্ট রাইটারদের ফিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় খেয়াল করা উচিৎ
সার্চ ইঞ্জিনগুলোর অ্যালগরিদম ক্রমাগত পরিবর্তন আনছে। ফলে ভলো মানের আর্টিকেল এবং খারাপ মানের আর্টিকেল খুব সহজেই ধরা পড়ছে। তাই এখন ফ্রিল্যান্সিং বা অন্য কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজও অনেক গুরুত্বের সাথে করতে হয়। ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে পারলেই তবেই ভালো অবস্থানে থাকা যায়। আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে এখন শর্টকাট ওয়ে বা সংক্ষিপ্ত রাস্তা বলে কিছুই নেই। কপি-পেস্ট বা আর্টিকেল এডিট করে আগে যদিও কিছু লোক আয় করেছে; কিন্তু বর্তমানে তা আর সম্ভব নয়। এখন ওয়েবসাইটের মালিকরাও চায় যে, তাদের খরচ বেশি হলেও, আর্টিকেলটি যেন ভালো মানের হয়।
ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে হলে একজন আর্টিকেল রাইটারের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিৎ। বিষয়গুলো মনে রাখলে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করলে অবশ্যই আর্টিকেল রাইটার হিসেবে সফলতা পাওয়া সম্ভব:
কন্টেন্টের মান : আর্টিকেল রাইটিং এর শুরুর দিকে ওয়েবসাইট মালিকরা যেকোনো মানের আর্টিকেলই প্রকাশ করতে প্রস্তুত ছিল। বর্তমানে সেই দিন আর নেই। এখন সবাই ভালো মানের আর্টিকেল খোঁজে। তাই আপনার লেখার মান সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রাখুন। এবং ভাল মানের আর্টিকেলের সাথে আপনার আর্টিকেলের তুলনা করুন। কি করা দরকার তার একটা গাইডলাইন পাবেন।
ইউনিক লেখা : কপি-পেস্ট লেখা বা অন্যের লেখা সামান্য পরিবর্তন করে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনার লেখাটি যেন আসল বা ইউনিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। অধিকাংশ ক্লায়েন্টই লেখাগুলো আসল কিনা তা বিভিন্ন টুলস দিয়ে চেক করে নেয়। তাই কপি-পেষ্ট বা স্পিন করা লেখা দিলে ধরা খাওয়া প্রায় নিশ্চিত।
বিষয়ভিত্তিক রিসার্চ করুন: অনেক ফ্রিল্যান্স আর্টিকেল রাইটারই এই কাজটি তেমন করেন না। কিন্তু আজকাল আর্টিকেল রাইটিংকে সাংবাদিকতার সাথে তুলনা করা হয়। তাই আপনার লিখিত বিষয় নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা করুন এবং আর্টিকেলে দেওয়া তথ্যগুলোর সত্যতা যাচাই করে নিন। তাতে লেখার গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি কোয়ালিটিও বাড়বে।
লেখার মালিকানা : Google Authorship (https://plus.google.com/authorship) ব্যবহার করে আপনার আর্টিকেলের লিংক আপনার গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট এর সাথে যুক্ত করে নিন। ভবিষ্যতে এই মালিকানার বিষয়টি আরও কাজে লাগবে। আশা করা যায় গুগলের মতো অন্যান্য সার্চ ইন্জিনেও অতি শীঘ্রই এই মালিকানার পদ্ধতি চালু করা হবে।
সোস্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার: বর্তমানে অনেক কম লোকই আছে যারা সোস্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন না। আপনি আর্টিকেল রাইটার কিন্তু সোস্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করেন; তবে এটি আপনার ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সোস্যাল নেটওয়ার্কিং এবং শেয়ারিং-ও আর্টিকেল রাইটিং এর একটি অংশ।
প্রুফরিডিং : যে কোনো কাজের শেষেই প্রুফরিডিং প্রয়োজন। কাজ শেষ করে ভূলগুলো ধরার জন্য পূনরায় শুরু থেকে কাজটি মনোযোগ সহকারে দেখতে হয়। ইংরেজী আর্টিকেল এর ক্ষেত্রে স্পেলচেকার পাওয়া যায়। তাছাড়াও গ্রামাটিক্যাল ভুলগুলো ধরার জন্য গ্রামারলি কিংবা অনলাইন গ্রামার চেকার বিভিন্ন টুলস পাওয়া যায়। গ্রামারটিক্যাল পারফেকশনের জন্য টুলসগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
সময় নিয়ে লিখুন : ভালো আর্টিকেল রাইটারও কম সময়ে ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে পারবে না। তাই সময় নিয়ে আর্টিকেল লিখুন। কোনো আর্টিকেল তড়িঘড়ি করে লেখা হলে, পাঠকেরা তা সহজেই ধরতে পারে। অতি দ্রুত কাজ করলে কোনো কাজই ঠিকমতো হয় না।
আপনার লেখায় আপনার ক্যারিয়ার: অনেক আর্টিকেল রাইটারই খুব দ্রুত লেখার চেষ্টা করে কারণ তারা নিজের কাজের মান সম্পর্কে উদাসিন। কিন্তু এই উদাসিনতাই আপনার ক্যারিয়ারে পতনের কারণ হতে পারে। নিম্ন মানের লেখা পরবর্তিতে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে যদি ভাল লিখতে থাকেন তবে আপনার লেখাই আপনাকে আরও কাজ এনে দিবে।
জড়তা কাটিয়ে উঠুন: আপনার ক্লায়েন্টের সাথে ফোনে কথা বলতে ভয় পান? এর কারণ হতে পারে যে আপনি হয়তো ভাবছেন কিভাবে তার সাথে কথা বলবেন? সে আপনাকে কাজ থেকে বাদ দেবে কি না! কিন্তু এই ভয়গুলো নিতান্তই অহেতুক। আর আপনি যদি একান্তই এই ভয় কাটিয়ে উঠতে না পারেন তবে তো ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।
প্রতিযোগিতা থাকবেই: সারা পৃথিবী থেকে অসংখ্য লোক আর্টিকেল রাইটিং এর কাজে আকৃষ্ট হচ্ছে। তাই এতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। আপনি যদি এই পোস্টে দেওয়া কাজগুলো সঠিকভাবে অনুসরন করতে পারেন তাহলে বলা যায় আপনি এই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত। গুড লাক!
আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। বর্তমানে পাবলিশাররা ভালো আর্টিকেলের মূল্য বুঝতে শুরু করেছে। তাই যোগ্যদের যথাযথ মূল্যয়ন আশা করা যায়। যদিও এই ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে তবুও বলা যায় সম্ভাবনা বাড়ছে বৈ কমছে না। আপনি এই প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি তো?
source: http://www.techtunes.com.bd/outsourcing/tune-id/226587
কন্টেন্টের মান : আর্টিকেল রাইটিং এর শুরুর দিকে ওয়েবসাইট মালিকরা যেকোনো মানের আর্টিকেলই প্রকাশ করতে প্রস্তুত ছিল। বর্তমানে সেই দিন আর নেই। এখন সবাই ভালো মানের আর্টিকেল খোঁজে। তাই আপনার লেখার মান সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রাখুন। এবং ভাল মানের আর্টিকেলের সাথে আপনার আর্টিকেলের তুলনা করুন। কি করা দরকার তার একটা গাইডলাইন পাবেন।
ইউনিক লেখা : কপি-পেস্ট লেখা বা অন্যের লেখা সামান্য পরিবর্তন করে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনার লেখাটি যেন আসল বা ইউনিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। অধিকাংশ ক্লায়েন্টই লেখাগুলো আসল কিনা তা বিভিন্ন টুলস দিয়ে চেক করে নেয়। তাই কপি-পেষ্ট বা স্পিন করা লেখা দিলে ধরা খাওয়া প্রায় নিশ্চিত।
বিষয়ভিত্তিক রিসার্চ করুন: অনেক ফ্রিল্যান্স আর্টিকেল রাইটারই এই কাজটি তেমন করেন না। কিন্তু আজকাল আর্টিকেল রাইটিংকে সাংবাদিকতার সাথে তুলনা করা হয়। তাই আপনার লিখিত বিষয় নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা করুন এবং আর্টিকেলে দেওয়া তথ্যগুলোর সত্যতা যাচাই করে নিন। তাতে লেখার গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি কোয়ালিটিও বাড়বে।
লেখার মালিকানা : Google Authorship (https://plus.google.com/authorship) ব্যবহার করে আপনার আর্টিকেলের লিংক আপনার গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট এর সাথে যুক্ত করে নিন। ভবিষ্যতে এই মালিকানার বিষয়টি আরও কাজে লাগবে। আশা করা যায় গুগলের মতো অন্যান্য সার্চ ইন্জিনেও অতি শীঘ্রই এই মালিকানার পদ্ধতি চালু করা হবে।
সোস্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার: বর্তমানে অনেক কম লোকই আছে যারা সোস্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন না। আপনি আর্টিকেল রাইটার কিন্তু সোস্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করেন; তবে এটি আপনার ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সোস্যাল নেটওয়ার্কিং এবং শেয়ারিং-ও আর্টিকেল রাইটিং এর একটি অংশ।
প্রুফরিডিং : যে কোনো কাজের শেষেই প্রুফরিডিং প্রয়োজন। কাজ শেষ করে ভূলগুলো ধরার জন্য পূনরায় শুরু থেকে কাজটি মনোযোগ সহকারে দেখতে হয়। ইংরেজী আর্টিকেল এর ক্ষেত্রে স্পেলচেকার পাওয়া যায়। তাছাড়াও গ্রামাটিক্যাল ভুলগুলো ধরার জন্য গ্রামারলি কিংবা অনলাইন গ্রামার চেকার বিভিন্ন টুলস পাওয়া যায়। গ্রামারটিক্যাল পারফেকশনের জন্য টুলসগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
সময় নিয়ে লিখুন : ভালো আর্টিকেল রাইটারও কম সময়ে ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে পারবে না। তাই সময় নিয়ে আর্টিকেল লিখুন। কোনো আর্টিকেল তড়িঘড়ি করে লেখা হলে, পাঠকেরা তা সহজেই ধরতে পারে। অতি দ্রুত কাজ করলে কোনো কাজই ঠিকমতো হয় না।
আপনার লেখায় আপনার ক্যারিয়ার: অনেক আর্টিকেল রাইটারই খুব দ্রুত লেখার চেষ্টা করে কারণ তারা নিজের কাজের মান সম্পর্কে উদাসিন। কিন্তু এই উদাসিনতাই আপনার ক্যারিয়ারে পতনের কারণ হতে পারে। নিম্ন মানের লেখা পরবর্তিতে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে যদি ভাল লিখতে থাকেন তবে আপনার লেখাই আপনাকে আরও কাজ এনে দিবে।
জড়তা কাটিয়ে উঠুন: আপনার ক্লায়েন্টের সাথে ফোনে কথা বলতে ভয় পান? এর কারণ হতে পারে যে আপনি হয়তো ভাবছেন কিভাবে তার সাথে কথা বলবেন? সে আপনাকে কাজ থেকে বাদ দেবে কি না! কিন্তু এই ভয়গুলো নিতান্তই অহেতুক। আর আপনি যদি একান্তই এই ভয় কাটিয়ে উঠতে না পারেন তবে তো ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।
প্রতিযোগিতা থাকবেই: সারা পৃথিবী থেকে অসংখ্য লোক আর্টিকেল রাইটিং এর কাজে আকৃষ্ট হচ্ছে। তাই এতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। আপনি যদি এই পোস্টে দেওয়া কাজগুলো সঠিকভাবে অনুসরন করতে পারেন তাহলে বলা যায় আপনি এই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত। গুড লাক!
আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। বর্তমানে পাবলিশাররা ভালো আর্টিকেলের মূল্য বুঝতে শুরু করেছে। তাই যোগ্যদের যথাযথ মূল্যয়ন আশা করা যায়। যদিও এই ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে তবুও বলা যায় সম্ভাবনা বাড়ছে বৈ কমছে না। আপনি এই প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি তো?
source: http://www.techtunes.com.bd/outsourcing/tune-id/226587
No comments:
Post a Comment