অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত (পর্ব – ০২): প্রজেক্ট শুরু করার আগে যে বিষয়গুলো আপনাকে মাথায় রাখতে হবে
আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য মনস্থির করে করে থাকেন তাহলে আমি বলব জীবনের সেরা পদক্ষেপটি আপনি নিয়েছেন।
কেন সেরা পদক্ষেপ?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে লাইফ টাইম প্যাসিভ ইনকাম সম্ভব। এটা প্রমাণিত। বাংলাদেশের বাইরের সফল মার্কেটারদের কথা নাই বললাম। বাংলাদেশেই রয়েছে এর অসংখ্য প্রমাণ। আল-আমিন কবির, রিফাত ভাইদের কথা বাদ দিলাম। তাদের অগনিত স্টুডেন্ট আছে যারা আজ সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার। বর্তমান আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নামী নামী অনেক কোম্পনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর দিকে ঝুকছে। কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যত অত্যন্ত উজ্জ্বল। যাই হোক, এসব নিয়ে অন্য কোন দিন লিখব। আজ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করব।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে যে বিষয়গুলো আপনাকে মাথায় রাখতে হবে...
১. ইনভেস্টমেন্টঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইনভেস্ট করতে হবে। ফ্রীতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব না। ফ্রী কিছু করতে হলে ফ্রীলান্সিং করুন। তবে ফ্রীলান্সিং এ সফল হতে হলে আপনাকে কোন না কোনভাবে ইনভেস্ট করতে হবে। হয়ত ভাল কোন প্রতিষ্ঠানে আপনাকে কোর্স করতে হবে। অথবা এর পেছনে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হবে।২. মৌলিক কাজে দক্ষ হওয়াঃ আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মৌলিক কাজ সমূহ যেমনঃ অনলাইন মার্কেটিং (SEO, SMM, Email Marketing), বেসিক ওয়েব ডিজাইনিং এবং ইংরেজীতে এক্সপার্ট না হন তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একা একা শুরু করবেন না। অন্তত একজন এক্সপার্ট কারোর সহযোগিতা নিন। নাহলে পরে হতাশ হয়ে বলবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কিছু করা সম্ভব না।
৩. শুরুতেই মূল প্রজেক্ট শুরু না করাঃ প্রথমে বাস্তব প্রজেক্ট শুরু করবেন না। আগে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ভালভাবে বুঝুন এবং শিখুন। মিনিমাম ৩ মাস শিখার পেছনে ব্যয় করুন এবং একটা ডেমো প্রজেক্ট দিয়ে শুরু করুন। ডেমো প্রজেক্টে সফল হতে হবে এমন কথা নেই। ডেমো প্রজেক্ট করবেন শুধুমাত্র শিখার জন্য। এটাতে কোন ইনভেস্টও করবেন না। একটা ফ্রী ডোমেইন ও হোস্টিং দিয়ে শুরু করতে পারেন। ডেমো প্রজেক্ট করতে গিয়ে আপনি অনেক ভুল করবেন, অনেক বাধার সম্মুখীন হবেন। পরবর্তীতে মূল প্রজেক্ট শুরু করার সময় সেই ভুল এবং বাঁধাগুলো এরিয়ে যেতে পারবেন। আর ডেমো প্রজেক্টে যদি সফলতা লাভ করতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। আপনি এটাকেই পরে আরো আপডেট করে আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারবেন। এই ডেমো প্রজেক্টের ধারনাটা আমার নিজস্ব মতামত। অন্য কারো মতামতের সাথে মিল নাও থাকতে পারে।
৪. ইনভেস্ট খাত সমূহ মাথায় রাখাঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূল প্রজেক্ট শুরুর আগে আপনাকে যে সব খাতে আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে সে সব খাত সমূহ মাথায় রাখতে হবে এবং সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনাকে একটা নিশ প্রজেক্টের জন্য সর্বনিম্ন ৬০০০০ (ষাট হাজার) থেকে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ)এর অধিক টাকা ইনভেস্ট করতে হতে পারে। আপনার কাজ জানা থাকলে আপনি কিছু কাজ নিজে করতে পারবেন আর কাজ না জানা না থাকলে কাউকে হায়ার করতে হবে। আগামী পর্বে ইনভেস্টের খাত সমূহ নিয়ে বিস্তারিত লিখব।
৫. শর্টকাট রাস্তা থেকে দূরে থাকাঃ সফলতার কোন শর্টকাট রাস্তা নেই। যদি মনে করুন চুরিবিদ্যা প্রয়োগ করে বা ব্লাক হ্যাট এসইও করে বা স্পামিং করে ভিজিটর বাড়াবেন তবে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলেন। যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে নেমে শর্টকাট রাস্তা খুঁজে তারা কোনদিন সফল হতে পারবে না। একশত ভাগ গ্যারান্টি সহকারে ভবিষ্যদ্বানী করে দিলাম।
৬. হাল ছেড়ে না দেওয়াঃ এমন অনেককেই দেখেছি ফ্রিলান্সিং এ কাজ করতে নেমে দ্রুত ইনকামের ধান্দায় নেমে পরে। এতে করে কিছুতেই সফল হতে পারে না। এক সময় হাল ছেড়ে দেয়। শুধু ফ্রিলান্সিং না জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হতে হলে আপনাকে লেগে থাকতে হবে এবং কাজের প্রতি আন্তরিক হতে হবে। টমাস আলভা এডিসন যিনি বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করে পৃথিবীকে আলোকময় করে গেছেন তিনি ৯৯৯ বার ব্যর্থ হয়েছেন এবং ১০০০ তম বারে সফল হয়েছেন। জীবনে ভাল কিছু করতে হলে আপনাকে ধৈর্য্য ধরে পরিশ্রম করে এগিয়ে যেতে হবে। সফল হতে হলে আপনাকে অনেক ধাপ অতিক্রম করতে হবে এবং অনেক বাঁধা উপক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে।
আজ আর বেশি কিছু বলব না। নিজের ভেতর একটা আত্মবিশ্বাস তৈরী করুন। কাউকে অনুসরণ না করে নিজের মত করে চলতে থাকুন। আর এমন একটা সিদ্ধান্ত নিন যা হবে আপনার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত।
source: http://www.techtunes.com.bd/outsourcing/tune-id/438025
No comments:
Post a Comment